সমুদ্রস্রোতের গতিসীমা নির্ধারণে ড্রোন ব্যবহার
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২১, ১২:৩১
সারা বিশ্বেই কার্বন নিঃসরণ ও উষ্ণায়ন প্রতিরোধে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। বিকল্প উৎস হিসেবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। আর এ নবায়নযোগ্য জ্বালানির অন্যতম উৎস হলো জলবিদ্যুৎ। কিন্তু সমুদ্রসীমায় এ ধরনের প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। তবে এ খরচ কমিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে ড্রোন।
মেরিন রিনিউয়েবল এনার্জি প্রজেক্টের ব্যয় সংকোচনে ড্রোন কতটা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে, তা জানতে একটি গবেষণা চালানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ইউনিভার্সিটি অব দ্য হাইল্যান্ডস অ্যান্ড আইল্যান্ডসের (ইউএইচআই) বিজ্ঞানীরা এ গবেষণা পরিচালনা করবেন। এর আওতায় স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসে পরীক্ষামূলকভাবে মনুষ্যবিহীন আকাশযান ওড়ানো হবে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু অফশোর সাইট নির্বাচন করা হবে। এরপর ড্রোনের মাধ্যমে সেখানকার পানির গতিধারার ভিডিও সংগ্রহ করা হবে। এরপর বিজ্ঞানীরা অ্যালগরিদম ব্যবহার করে এসব ফুটেজ পরীক্ষা করবেন এবং দেখবেন কোন কোন সাইটে সমুদ্রের তলদেশে পানির স্রোতের গতি কেমন।
ইউএইচআই জানিয়েছে, প্রচলিত পদ্ধতিতে জোয়ারের স্রোত পরিমাপ করা হয় সার্ভে ভেসেল ও সাগরের তলদেশে সেন্সর স্থাপনের মাধ্যমে। তবে এ প্রক্রিয়ায় সময় ও খরচ দুটোই বেশি লাগে।
ইউএইচআইয়ের এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. বেঞ্জামিন উইলিয়ামসন গবেষকদের ১২ মাসের এ প্রকল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘অফশোর রিনিউয়েবল এনার্জি সাইট ডেভেলপমেন্টের জন্য সমুদ্রস্রোতের গতি ও দিক নির্ধারণ খুবই জরুরি। সাগরের তলদেশে ঠিক কোন জায়গায় টাইডাল স্ট্রিম টারবাইন স্থাপন করলে এর কার্যকারিতা ও পারফরম্যান্স সবচেয়ে বেশি পাওয়া যাবে, তা নিরূপণের জন্য এ তথ্য জানা দরকার। প্রচলিত পদ্ধতিতে এসব তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়াটি বেশ ব্যয়সাপেক্ষ ও ঝুঁকিপূর্ণ।’
সৌজন্যে: বণিক বার্তা
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি
এই বিভাগের আরো সংবাদ