আজকের শিরোনাম :

আবারো র‌্যানসমওয়্যারের হানা: ঝুঁকিতে আর্থিক খাত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২০, ০৯:১৯

বাংলাদেশে আবারও সনাক্ত হচ্ছে র‌্যানসমওয়্যারের ওয়ানা ক্রাই। ২০১৭ সালে বিশ্বব্যাপি তুমুল সাইবার হামলার পর অনেকটা হারিয়ে গেলেও নতুন করে আবারও সনাক্ত হচ্ছে এই ম্যালওয়্যার যা আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভয়াবহ এই ম্যালওয়্যারের কারণে ঝুঁকিতে পড়তে পারে দেশের আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। তথ্য নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত সুরক্ষা নেবার পরামর্শ দিচ্ছে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি।

২০১৭ সালে বিশ্বব্যাপি র‌্যানসমওয়্যার নামে এক ম্যালওয়্যার দিয়ে সাইবার হামলা করে হ্যাকাররা। যার কবলে পড়ে বিশ্বের ১৫০টি দেশের লাখ লাখ কম্পিউটার ডিভাইস।

র‌্যানসমওয়্যার এমন এক ম্যালওয়্যার যা যে কোন কম্পিউটার ও ডিভাইসে ঢুকে পড়ে সব তথ্যকে লক করে ফেলে। যা ফিরে পেতে ব্যবহারকারিকে বিট কয়েনের মাধ্যমে প্রদান করতে হয় চাহিদামত অর্থ।

প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের দাবি সম্প্রতি বাংলাদেশে আবারও সনাক্ত হচ্ছে এই ম্যালওয়্যার। যা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা বলছেন, এরইমধ্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান র‌্যানসমওয়্যারের হামরার শিকার হয়েছে। অথ্যাৎ বিট কয়েনের মাধ্যমে তার ডিজিটাল ডেটাগুলো দেয়া হবে।

আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই বিষয়ে আগেই সতর্কবার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি। তবে এখনও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুর্বলতা রয়েছে বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক।

ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির পরিচালক (অপারেশন) তারিক এম বরকতুল্লাহ বলছেন, আমরা যে সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার করি তার সবগুলোই ফ্রি যার কোন সিকিউরিটি থাকে না। অনেকগুলোর আবার মেয়াদও থাকে না। ফলে এই সাইবার হামলাগুলোর ঘটনা ঘটে।

বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাইবার ঝুঁকি চলছে সমান্তরালভাবে। তবে করোনার কারণে দেশে যে প্রযুক্তি নির্ভরতা বেড়েছে তাতে কোন ঝুঁকিকেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই বলছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।

তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ড. মাহফুজুল ইসলাম জানান, আমরা যে ভাবে তথ্য প্রযুক্তিতে এগিয়ে গেছি তাতে এটি ধরে রাখতে হলে আমাদের ডেটা সিকিউটিরি দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান বিটগ্লাসের হিসেবে, গেল ১২ মাসে বিশ্বব্যাপি সাইবার হামলার ৬১ শতাংশই ওই প্রতিষ্ঠান ও কর্মীদের অবহেলার কারণে ঘটেছে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ