আজকের শিরোনাম :

আইপিএল : জমে উঠেছে মূল স্পন্সর হওয়ার লড়াই

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২০, ১২:৩৯

এবছর আইপিএলের মূল স্পনসর হওয়া নিয়ে লড়াই দারুণ জমে উঠছে। চীনের মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা ভিভো আচমকা সরে দাঁড়ানোর ফলে জোর ধাক্কা খেয়েছিল বিসিসিআই। 

বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন, এক বছরের জন্য বিপুল অর্থ খরচ করে এই মন্দার বাজারে কোনও সংস্থাই হয়তো ক্রোড়পতি লিগের স্পনসর হতে চাইবে না। কিন্তু বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হতে আগ্রহী। দরপত্র জমা দেওয়ার কথাও তারা জানিয়েছে। রামদেবের সংস্থা মূলত আইপিএলের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসার পরিধি বিস্তারকেই পাখির চোখ করেছে। 

তবে পতঞ্জলির কাজটা সহজ হবে না। তাদের কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে আসরে হাজির আনঅ্যাকাডেমি নামে আরও একটি সংস্থা। মূলত শিক্ষাপ্রযুক্তির উপর এই কোম্পানি ব্যবসা করে। আইপিএলের কো-স্পনসর হিসেবে তারা যুক্ত। কিন্তু মূল স্পনসর হতে পারলে ফায়দা অনেক বেশি। জার্সিতে থাকবে কোম্পানির লোগো ও নাম। এছাড়া পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ব্যাকগ্রাউন্ড, বাউন্ডারি রোপ, ডাগআউটের ব্যাকগ্রউন্ডেও মূল স্পনসরের নাম ও লোগো ব্যবহৃত হবে। তাই আনঅ্যাকাডেমিও আইপিএলের মঞ্চকে কাজে লাগাতে চাইছে। ইতিমিধ্যে তারা বিড পেপার তুলেছে বলে বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন। ১৪ আগস্টের মধ্যে দরপত্র জমা দিতে হবে। ১৮ আগস্ট নতুন স্পনসরের নাম ঘোষণা করে দিতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।

আইপিএলের স্পনসরশিপ বাবদ ভিভো প্রত্যেক বছর বোর্ডকে ৪৪০ কোটি টাকা করে দিয়ে এসেছে। চীনের কোম্পানিটি এবছর আইপিএল থকে নিজেদের সরিয়ে নিলেও ২০২১, ২০২২ মরশুমে মূল স্পনসর হিসেবে তারা ফিরে আসতে পারে। অবশ্য নতুন করে যদি কোনও সমস্যা তৈরি না হয়। 

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে গালওয়ান উপত্যকায় চীনা ফৌজ নির্মমভাবে ভারতীয় সেনাদের হত্যা করেছিল। তার প্রতিবাদে চীনা পণ্য বয়কটের জোরালো দাবি ওঠে দেশ জুড়ে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই কারণেই ভিভো এবারের আইপিএল থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। তা নাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া সমালোচনার মুখে তাদের পড়ত হত। ফলে নষ্ট হত সংস্থার ভাবমূর্তি। ব্যবসার পক্ষে যা মোটেও ভালো বিজ্ঞাপন হত না।

তবে ভিভো যে অর্থ বোর্ডকে দিয়ে এসেছে, তা নতুন স্পনসরের কাছ থেকে যে পাওয়া যাবে না সে ব্যাপারে নিশ্চিত বোর্ড কর্তারা। জানা গিয়েছে, ২৫০-৩০০ কোটি টাকার টার্গেট স্থির করেছে বিসিসিআই। লড়াই যেভাবে জমে উঠেছে, তাতে আইপিএলের নতুন টাইটেল স্পনসর বাবদ ভালো অর্থই আশা করছে বোর্ড কর্তারা। তাই এখন দেখার, পতঞ্জলি না আনঅ্যাকাডেমি, কার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে। নাকি ডার্কহর্স হিসেবে অন্য কোনও সংস্থা বাজিমাত করবে।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ