আজকের শিরোনাম :

খুলল হোম অব ক্রিকেটের তালা, মানা হচ্ছে কড়া স্বাস্থ্যবিধি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২০, ১৫:৪৩

প্রায় সাড়ে তিন মাস পর মোহাম্মদ মিথুন মিরপুর শের-ই-বাংলায়। নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে ঢুকছিলেন হোম অব ক্রিকেটে। ২ নম্বর গেট তাদের জন্য সব সময় খোলা। অথচ এবার প্রবেশদ্বারে কড়া ব্যারিকেড! করোনা পরবর্তীকালে ক্রিকেট বোর্ড এতটাই কড়াকড়ি যে ক্রিকেটারদেরও নুন্যতম ছাড় দিচ্ছে না। ৫ নম্বর গেট গিয়ে ক্রিকেটাররা মাঠে ঢুকেছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার-পরিছন্নতার পাশাপাশি ক্রিকেটারদের যানবাহনেও সাবান-পানি ছিটিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে।

সীমিত আকারে ক্রিকেটারদের ঐচ্ছিক অনুশীলন শুরু হয়েছে মিরপুরে। ঢাকায় বসবাসরত আগ্রহী তিন ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিথুন ও শফিউল ইসলাম আজ ফিটনেস এবং স্কিল অনুশীলন করেছে মিরপুরের সবুজ গালিচায়। তাদের অনুশীলনের মধ্য দিয়ে খুলল মিরপুরের তালা। এছাড়া খুলনায় মেহেদী হাসান মিরাজ, মাহেদী হাসান ও নুরুল হাসান সোহান এবং সিলেটে খালেদ আহমেদ ও নাসুম আহমেদ অনুশীলন করেছেন। চট্টগ্রামে নামার কথা ছিল নাঈম হাসানের। কিন্তু বৃষ্টিতে ডানহাতি অফস্পিনারের অনুশীলন ভেস্তে গেছে।

সকাল ৯টায় রানিং করে শুরু হয় মুশফিকের অনুশীলন। একাডেমি মাঠে মিনিট বিশেক রানিং করেন জাতীয় দলের এ ক্রিকেটার। এরপর মুশফিকের ঠিকানা ইনডোর। সেখানে চলল তার কড়া ব্যাটিং অনুশীলন। মুশফিক যখন রানিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন তখন মিথুন ছিলেন ইনডোরে। ইনডোরের মধ্য উইকেটে তার ব্যাটিং অনুশীলন শেষে মুশফিক সেখানে প্রবেশ করেন। মিথুন চলে আসেন একাডেমি।

বেলা ১১টায় মিরপুরে ঢুকেন শফিউল। আপাতত তাকে বোলিংয়ের অনুমতি দেয়নি বিসিবি। তাকে রানিং এবং অন্যান্য ফিটনেস ট্রেনিং করতে হবে এক সপ্তাহ। ঘণ্ট খানেকের মতো ফিটনেস ট্রেনিং করে শফিউল নিজের অনুশীলন শেষ করেন। মিথুন ও মুশফিক ব্যাটিংয়ের জন্য ব্যবহার করেছেন বোলিং মেশিন। মেশিনে বল দেওয়ার জন্য ছিলেন ইনডোরের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্মী। এছাড়া তাদের তিনজনের ট্রেনিং দেখেছেন ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদার।

করোনা ঝুঁকি মাথায় নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কারণে কড়া বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে বিসিবি। তিন ক্রিকেটারের সঙ্গে প্রস্তুতি সংশ্লিষ্ট কাউকেই মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে ঢুকতে দেয়নি বিসিবি। গণমাধ্যমের জন্য ছিল পৃথক জায়গা। ব্যাটিং অনুশীলনের দেখার কোনো সুযোগ ছিল না। ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলাতেও ছিল নিষেধাজ্ঞা।  

ঈদের পর আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে কন্ডিশনিং ক্যাম্প আয়োজন করার ইচ্ছে বিসিবির। এর আগে ক্রিকেটারদের ঐচ্ছিক অনুশীলনে মহড়া হয়ে যাচ্ছে। মিরপুরসহ অন্য দুই ভেন্যুতেই প্রথম দিন মানা হয়েছে কড়া স্বাস্থ্যবিধি। সামনেও এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে বিসিবি।

বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। স্বাস্থ্য বিধি মেনে রাখতে আমরা সামনেও একই ধারাবাহিকতা ধরে রাখবো। সবার আগে আমাদের ক্রিকেটারদের সুরক্ষা।’

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ