আজকের শিরোনাম :

"শচীন এত বড় ব্যাটসম্যান হবে আগে বুঝিনি'', অকপট স্বীকারোক্তি পাক তারকার

  জি নিউজ

০৬ জুলাই ২০২০, ১১:১১ | অনলাইন সংস্করণ

ক্যারিয়ারের প্রথম থেকেই আকাশছোঁয়া প্রত্যাশা তাকে তাড়া করেছে। জীবনের প্রথম টেস্ট সিরিজ খেলতে নেমে ভয়ানক বাউন্সার ফেস করতে হয়েছে তাকে। সেই বাউন্সার নাকে লেগে গলগল করে রক্ত বেরিয়েছে। শচীন টেন্ডুলকার আবার উঠে দাঁড়িয়ে ব্যাটিং করেছেন। দাপটের সঙ্গে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। কিন্তু সেদিনকার ছোটখাটো চেহারার ওই ব্যাটসম্যানকে দেখে পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওয়াকার ইউনিসের একবারও মনে হয়নি, ওই ছেলেটা একদিন ক্রিকেটের ঈশ্বর হয়ে উঠবে। আর এতদিন পর সেই কথা অকপটে স্বীকার করে নিলেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার। তিনি জানালেন, করাচিতে প্রথমবার শচীনকে দেখে তার কখনোই মনে হয়নি, এই ছেলে লম্বা রেসের ঘোড়া।

১৯৮৯ সালে করাচিতে একই সিরিজে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল দুই দেশের দুই কিংবদন্তির। পাকিস্তানের বর্তমান বোলিং কোচ ওয়াকার বলছিলেন, ''শচীনের মতো ওই সিরিজে আমারও অভিষেক হয়েছিল। যে স্বপ্নটা ছোট থেকে দেখতাম সেটাই পূরণ হয়েছিল। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামার জন্য আবেগতাড়িত ছিলাম। অল্পতেই প্রচন্ড উৎসাহিত বোধ করছিলাম। ওই ম্যাচে নামার আগে আমার সামান্য চোট লেগেছিল। কিন্তু তাই নিয়েই ১৮ ওভার বল করেছিলাম। চারটি উইকেট তুলেছিলাম। ১৫ রানে আউট করেছিলাম সেদিন সচিনকে। তবে সেদিন টেন্ডুলকারকে প্রথম দেখে আমার একবারও মনে হয়নি, ও ভবিষ্যতে বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করবে! তবে হ্যাঁ একটা ব্যাপার মনে পড়ে, শচীনের বেশ কয়েকটা শট দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। 

সময় যত গড়িয়েছে ততই শচীনের ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ হয়েছেন ইউনিস। বিশ্ব ক্রিকেটের মহীরুহে পরিণত হয়েছেন সচিন। প্রথম দর্শনে শচীনকে আন্দাজ করতে না পারার আফসোস করেন ওয়াকার। তিনি বলছিলেন, ''ওই সিরিজের একটা ম্যাচ ছিল শিয়ালকোটে। সিরিজ জেতার জন্য আমরা কিউরেটরকে সবুজ ও বাউন্সি উইকেট তৈরি করতে বলেছিলাম। ওই ম্যাচে আমার একটা বাউন্সার টেন্ডুলকারের নাকে গিয়ে লাগে। আমরা সবাই খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু মিনিট সাত-আটেক বাদেই ও আবার ব্যাটিং করে। ছোটখাটো চেহারা হলেও বাউন্সারের বিরুদ্ধে ওকে টালমাটাল হতে দেখিনি কখনও। ওটা সচিনের সাহসী ইনিংসগুলির মধ্যে একটি।''

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ