আজকের শিরোনাম :

২০ বছর আগে জন্মদিনে ঢাকায় ম্যাচ জিতেছিলেন ওয়াসিম

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২০, ১৮:১৯

২০০০ সালের সপ্তম এশিয়া কাপের আয়োজক হয়েছিল বাংলাদেশ। আগের বছর বিশ্বকাপ খেলে আসা একই বছর টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া বাংলাদেশের জন্য এই টুর্নামেন্ট আয়োজনটি ছিল বিশেষ মর্যাদার। ৩ জুন ভারত-পাকিস্তানের জমাট লড়াইয়ের সাক্ষী হয়েছিল ক্রিকেটপ্রেমী ঢাকা। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ৩৬ হাজার সিট সেদিন ছিল কানায় কানায় পূর্ণ।

দিনটি বিশেষ হওয়ার কারণ হচ্ছে, পাকিস্তানের তৎকালীন অধিনায়ক ওয়াসিম আকরামের জন্মদিন। নিজের ৩৪তম জন্মদিনে মাঠে নেমে অবশ্য জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছিলেন বাম-হাতি এই পেসার। আজ ৫৪ বছর বয়স পূর্ণ হলো সুলতান অব সুইং খ্যাত এই কিংবদন্তি বোলারের।

১৯৬৬ সালে এই দিনে লহোরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান ১৯৮৪ সালে। ২০০৩ সাল পর্যন্ত ক্যারিয়ারে ১০৪ টেস্টে তুলেছেন ৪১৪ উইকেট। ৩৫৬ ওয়ানডে খেলে ৫০২ উইকেট শিকার করেন তিনি। সাদা পোশাকে ২৮৯৮ ও ওয়ানডেতে ৩ হাজার ৭১৭ রান রয়েছে নামের পাশে। ছিলেন ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম প্রধান অস্ত্র।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম অবশ্য নতুন ছিল না ওয়াসিমের জন্য। ১৯৯৪/৯৪ মৌসুমে ঢাকা লিগে আবাহনীর জার্সিতে খেলেছিলেন তিনি। কয়েকদিন আগেই তামিম ইকবালের লাইভ শো’তে যোগ দিয়ে স্মৃতি চারণও করেছিলেন তিনি।
ফিরে যাই ২০ বছর আগের এশিয়া কাপের ম্যাচে। প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। জন্মদিনে কয়েন হাতে টস করতে এসে প্রথমে ব্যাট সিদ্ধান্ত নেন ওয়াসিম।

সাঈদ আনোয়ারের ৪৩, মঈন খানের ৪৬ ও মোহাম্মদ ইউসুফের অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংসে বড় সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। ১১ বল খেলে ৯ রান তুলেছিলেন বার্থডে বয়। সাত উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৯৫ রান করে ওয়াসিমের দল। 

ভারতের হয়ে অনিল কুম্বলে তিনটি উইকেট তুলে নেন। দুটি করে উইকেট শিকার করেন অজিত আগারকার ও অমিত ভান্ডারি।

ব্যাট হাতে মাঠে নামেন শচীন টেন্ডুলকার ও সৌরভ গাঙ্গুলি। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে প্রতিদ্বন্দ্বী অধিনায়কের উইকেট তুলে নিয়েছিলেন ওয়াসিম।

ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৩ রান করেন অজয় জাদেজা। রাহুল দ্রাবিড়ের ব্যাট থেকে এসেছিল ২৬ রান ও শচীন খেলেন ২৫ রানের ইনিংস। ৪৭.৪ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করে ২৬১ রানে গুটিয়ে যায় সৌরভ নেতৃত্বাধীন দলটি। অন্যদিকে পাকিস্তান ৪৪ রানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। সেদিন আব্দুল রাজ্জাক চারটি, আরশাদ খান দুটি ও ইমরান নাজির একটি করে উইকেট তুলেন।

শুধু এই ম্যাচ নয় বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভারত ও পাকিস্তানের এই টুর্নামেন্টের সেরা হয়ে বাড়ি ফিরেছিল ওয়াসিম আকরামের অধীনে থাকা দলটি। যা ছিল প্রথমবারের মতো এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ