বিশ্বকাপ ২০১৮: কেন বেলজিয়াম ফেভারিট
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০১৮, ১৯:৫২
ঢাকা, ০৯ জুলাই, এবিনিউজ : "আমি নির্দ্বিধায় মঙ্গলবারের সেমিফাইনালে (ফ্রান্সের বিরুদ্ধে) বেলজিয়ামকে এগিয়ে রাখবো," বিবিসিকে বললেন ফুটবল ভাষ্যকার একেএম মারুফুল হক।
এবারের বিশ্বকাপে আগাম ধারণা করতে গিয়ে বিশ্লেষকদের যেখানে ঘাম ছুটে যাচ্ছে, সেখানে বেলজিয়ামকে ফেভারিট মনে করতে কোনো দ্বিধা দেখালেন না বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক এই কোচ।
কেন বেলজিয়াম? মি. হক বলছেন, ব্রাজিলের মত 'অল-রাউন্ড" দলকে যেভাবে তারা কোয়ার্টার ফাইনালে হারালো, তাতে বেলজিয়াম এখন শিরোপার এক নম্বর দাবিদার।
"দল, কোচ, ডিফেন্স, মিডফিল্ড এবং অ্যাটাক - এই পাঁচটি বিষয়ের বিবেচনায় গ্রুপ স্টেজে ব্রাজিলকে পাঁচের মধ্যে পাঁচ দিতেই হতো। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে (জাপান এবং ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ম্যাচ দুটো) বেলজিয়ামকে সাড়ে পাঁচ দিতে হবে।"
বেলজিয়ান কোচ মার্টিনেজকে নিয়ে মুগ্ধ মি. হক। "শেষ দুই ম্যাচে কৌশল প্রয়োগে অসামান্য বিচক্ষণতা দেখিয়েছেন তিনি।"
বিশ্বের বহু সাবেক ফুটবলার এবং ফুটবল ভাষ্যকাররা এখন সম্ভাব্য কাপ জয়ী হিসাবে বেলজিয়ামের নাম করছেন।
ইংল্যান্ড এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবের সাবেক ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ড বলছে, অন্য তিনটি দলের এখন এক নম্বর প্রতিদ্বন্দ্বী বেলজিয়াম। "বেলজিয়ামকে হারাতে হবে তাদের ।"
এডিন আজা, কেভিন দ্য ব্রাইনা বা রোমেরু লুকাকু বর্তমানে ইউরোপীয় ফুটবলের তিন নক্ষত্র। কিন্তু তারপরও বেলজিয়াম সম্পর্কে অনেকের একটাই দ্বিধা ছিল যে তারা কখনো বিশ্বকাপ বা বড় কোনো টুর্নামেন্ট জেতেনি।
রিও ফার্ডিনান্ড এখন বলছেন, "টুর্নামেন্টের আগে এই দলটির মেন্টালিটি নিয়ে প্রশ্ন ছিল, দুবছর আগে ইউরোতে তারা হতাশ করেছে। কিন্তু এখন তারা সমালোচকদের সঠিক জবাব দিতে পারছে, ব্রাজিলের মত দলকে তারা যেভাবে নাস্তানাবুদ করে হারালো, তাতে পরিষ্কার যে তাদের দাঁত এখন কতটা ধারালো।"
বিবিসির ফুটবল ভাষ্যকার প্যাট নেভিন বলছেন, "বেলজিয়ামের কাপ জেতার সম্ভাবনা এখন সবচেয়ে বেশি... কোনো দলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দলের প্রধান খেলোয়াড়দের ফর্মে থাকা।" ব্রাজিলের সাথে ম্যাচে আজা, দ্য ব্রাইনা এবং লুকাকু সেই প্রমাণ দিয়েছেন।
কোচ রবার্তো মার্টিনেজ দ্বিতীয়বারের মত বেলজিয়ামকে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে এনে দিতে পেরেছেন।
কীভাবে মার্টিনেজ বদলে দিয়েছেন বেলজিয়ামকে? জার্মানির বিশ্বকাপ (১৯৯০) জয়ী দলের তারকা ইয়োর্গেন ক্লিন্সম্যান বেলজিয়ামের কোচ রবার্তো মার্টিনেজের ব্যাপারে মুগ্ধ। "আপনি পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছেন কী অসামান্য টিম স্পিরিট এখন তাদের, মার্টিনেজ দারুণ কাজ করেছেন।" ১৯৮৬ সালে বেলজিয়াম প্রথমবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠে। তারপর ৩২ বছর পর রবার্তো মার্টিনেজ আবারো তাদের সেই উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। দু'বছর আগে মার্টিনেজ ইংলিশ প্রিমিয়ারশিপ ক্লাব এভার্টন থেকে বরখাস্ত হন। কিন্তু বেলজিয়াম জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়ে তিনি ম্যাজিক দেখাতে শুরু করেছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম ম্যাচে স্পেনের কাছে হেরেছিল বেলজিয়াম। কিন্তু তারপর পরপর গত ২৪ টি ম্যাচে বেলজিয়াম কারো কাছে হারেনি। রিও ফার্ডিনান্ড বলছেন, "আজা, দ্য ব্রাইনা বা লুকাকুর মত বড় বড় তারকাদের অহম বা ইগোকে ভালোভাবে সামলাতে পেরেছেন মার্টিনেজ। তিনি পুরো দলকে একত্রিত করতে পেরেছেন, প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন সত্যে পরিণত করার মত আস্থা আনতে পরেছেন।" "আর সে কারণেই দুবছর আগের বেলজিয়াম এবং এখনকার বেলজিয়ামের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত।" ইয়ুর্গেন ক্লিন্সম্যান বলছেন, "বেলজিয়াম দলের আত্মবিশ্বাস দেখার মতো, পুরো দলের মধ্যে খুব ভালো কেমিস্ট্রি কাজ করছে, সবাই যেন একটি পাতায়। জাপান এবং ব্রাজিলের সাথে ম্যাচ চলার সময় যেভাবে মার্টিনেজ কৌশল পরিবর্তন করেছেন, খেলোয়াড় বদলেছেন, তাতে মুগ্ধ সাবেক ইংলিশ লেজেন্ড আ্যালান শিয়ারার। "যে যে সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন, সবগুলো কাজ করেছে।" রবার্তো মার্টিনেজ নিজে সমস্ত কৃতিত্ব দিচ্ছেন তার দলের খেলোয়াড়দের। "আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে গর্বিত মানুষ...অমি তাদের কানে খুব কঠিন সব কৌশলের মন্ত্র দিয়ে মাঠে নামিয়ে দিই, এবং তারা যেভাবে তাতে আস্থা রেখে কাজ লাগানোর চেষ্টা করছে, তা অবিশ্বাস্য। সূত্র: বিবিসি বাংলা। এবিএন/মমিন/জসিম
কীভাবে মার্টিনেজ বদলে দিয়েছেন বেলজিয়ামকে? জার্মানির বিশ্বকাপ (১৯৯০) জয়ী দলের তারকা ইয়োর্গেন ক্লিন্সম্যান বেলজিয়ামের কোচ রবার্তো মার্টিনেজের ব্যাপারে মুগ্ধ। "আপনি পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছেন কী অসামান্য টিম স্পিরিট এখন তাদের, মার্টিনেজ দারুণ কাজ করেছেন।" ১৯৮৬ সালে বেলজিয়াম প্রথমবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠে। তারপর ৩২ বছর পর রবার্তো মার্টিনেজ আবারো তাদের সেই উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। দু'বছর আগে মার্টিনেজ ইংলিশ প্রিমিয়ারশিপ ক্লাব এভার্টন থেকে বরখাস্ত হন। কিন্তু বেলজিয়াম জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়ে তিনি ম্যাজিক দেখাতে শুরু করেছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম ম্যাচে স্পেনের কাছে হেরেছিল বেলজিয়াম। কিন্তু তারপর পরপর গত ২৪ টি ম্যাচে বেলজিয়াম কারো কাছে হারেনি। রিও ফার্ডিনান্ড বলছেন, "আজা, দ্য ব্রাইনা বা লুকাকুর মত বড় বড় তারকাদের অহম বা ইগোকে ভালোভাবে সামলাতে পেরেছেন মার্টিনেজ। তিনি পুরো দলকে একত্রিত করতে পেরেছেন, প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন সত্যে পরিণত করার মত আস্থা আনতে পরেছেন।" "আর সে কারণেই দুবছর আগের বেলজিয়াম এবং এখনকার বেলজিয়ামের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত।" ইয়ুর্গেন ক্লিন্সম্যান বলছেন, "বেলজিয়াম দলের আত্মবিশ্বাস দেখার মতো, পুরো দলের মধ্যে খুব ভালো কেমিস্ট্রি কাজ করছে, সবাই যেন একটি পাতায়। জাপান এবং ব্রাজিলের সাথে ম্যাচ চলার সময় যেভাবে মার্টিনেজ কৌশল পরিবর্তন করেছেন, খেলোয়াড় বদলেছেন, তাতে মুগ্ধ সাবেক ইংলিশ লেজেন্ড আ্যালান শিয়ারার। "যে যে সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন, সবগুলো কাজ করেছে।" রবার্তো মার্টিনেজ নিজে সমস্ত কৃতিত্ব দিচ্ছেন তার দলের খেলোয়াড়দের। "আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে গর্বিত মানুষ...অমি তাদের কানে খুব কঠিন সব কৌশলের মন্ত্র দিয়ে মাঠে নামিয়ে দিই, এবং তারা যেভাবে তাতে আস্থা রেখে কাজ লাগানোর চেষ্টা করছে, তা অবিশ্বাস্য। সূত্র: বিবিসি বাংলা। এবিএন/মমিন/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ