আজকের শিরোনাম :

ডাক্তার-নার্সদের ধন্যবাদ জানালেন মাহমুদউল্লাহ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২০, ১০:৩৮

 করোনা ভাইরাসের আতঙ্কিত দেশের মানুষ। তাদের সচেতন করতে সর্বদা সহায়তা করছে চিকিৎসক-নার্স-সেচ্ছাসেবীকর্মী-আইন শৃঙ্খলবাহিনী। জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকারাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের অভিমত তুলে ধরছেন। সাহস ও দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন মাশরাফি-সাকিব-মুশফিক-তামিমদের মত তারকারা। বাংলাদেশ ক্রিকেটের পঞ্চপাণ্ডবের অন্যতম মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চিকিৎসক-নার্সসহ যারা এই করোনাভাইরাসের বিপক্ষে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত তাদের ধন্যবাদ দিয়েছেন।

মাহমুদউল্লাহ বলেন, “একটা কথা না বললেই নয়, আমাদের ডাক্তারগণ, আমাদের নার্সরা ও চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত আছেন, সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কভিড-১৯ এর মতো এই দুর্যোগ সময়ে আমরা যেভাবে এগিয়ে এসেছেন ও দেশকে সার্ভিস দিচ্ছেন, মন থেকে আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি আপনাদের এই মহৎ কাজে জন্য অবশ্যই পুরস্কৃত হবেন ইনশা আল্লাহ।”

করোনাভাইরাসকে বাঁচতে বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাইকে ঘরে অবস্থান করার পরামর্শ দিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন- “আমাদের ভেতরে হয়তো একটু অবসাদ চলে আসতে পারে। একটু একঘেয়েমি অনুভব হতে পারে। মাথায় আসতে পারে একটু বাসার নিচে যাই। একটু কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলি বা বাসার সামনের মোড় থেকে একটু হেঁটে আসি। যদি কারও মাথায় কিংবা মনে এ রকম চিন্তাধারা উঁকি দিয়ে থাকে সেগুলোও যেন আমরা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলি। কারণ এ মুহূর্তে বাসায় থাকাটাই নিরাপদ। এটা সময়ের দাবি। এই নিয়মটা যেন আমরা মেনে চলি। এটা যতটুকু আমার জন্য প্রযোজ্য ঠিক আমাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রযোজ্য। আবার অন্যদের এবং তাদের পরিবারের জন্য প্রযোজ্য। নিজে নিরাপদে থাকি এবং অন্যদের নিরাপদে রাখার চেষ্টা করি।”

ঘরে নিজের দিন কিভাবে কাটছে তা জানিয়েছেন জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, “কয়েক দিন বাসায় বসে আছি। বাসার নিত্য দিনের কাজগুলো করছি। গাছে পানি দিচ্ছি। বই পড়ছি। ব্যায়াম করছি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছি।”

কঠিন এই পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, “যারা শ্রমজীবী মানুষ আছে তারা হয়তো এ মুহূর্তে বেকার হয়ে পড়ছে। তাদের পাশে দাঁড়ানো জরুরি। আমরা চেষ্টা করব যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার। তাদের সাহায্য করার।”

মাহমুদউল্লাহর বিশ্বাস অস্থির এ সময় দ্রুত কেটে যাবে। শঙ্কার মেঘ সরে দেখা দেবে আশার আলো- “আমরা জিনিসগুলো আমরা কিছুদিন মেনে চলি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে একত্রে কাজ করি। ইনশা আল্লাহ আমরা এ কঠিন সময় দ্রুত কাটিয়ে উঠব। ওই ভালো সময় আমাদের থেকে খুব বেশি দূরে নয়, এটা আমি বিশ্বাস করি। সবাই একত্রে দেশকে ভালো কিছু দেওয়ার চেষ্টা করি।”

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ