অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ
বাংলাদেশ ও ভারতের ৫ ক্রিকেটারকে শাস্তি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৯:৩৬ | আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৯:৪০
অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ শেষে বিবাদে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতের পাঁচজন ক্রিকেটারকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
জানা গেছে, দোষী ক্রিকেটারদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ দলের তিনজন। তারা হলেন- তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন ও রাকিবুল হাসান। অন্যদিকে ভারতের দু'জন হলেন- আকাশ সিংহ ও রবি বিশনি।
আজ মঙ্গলবার ভোরে এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে আইসিসি। তাতে জানানো হয়, ফাইনালের ফলাফলের পর বিবাদে জড়িয়ে যাওয়ার জেরে যুবা ক্রিকেটাররা ভেঙে ফেললেন আইসিসি কোড অব কন্ডাক্ট এর ২.২১ ধারা। এই ধারায় শাস্তি পেলেন ভারত-বাংলাদেশের পাঁচজন ক্রিকেটার।
বাংলাদেশি ক্রিকেটারেদের মধ্যে তৌহিদ হৃদয় ১০, শামীম আট ও রাকিবুল চারটি ওডিআই, টি-২০, অনুর্ধ্ব ১৯ বা এ দলের হয়ে আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচে খেলতে পারবেন না। ভারতের আকাশ ও রবি যথাক্রমে খেলতে পারবেন না আট ও পাঁচটি ম্যাচ।
ম্যাচ রেফারি গ্রায়েম ল্যাবরয়ের এ শাস্তিতে দোষী পাঁচ ক্রিকেটারই সম্মতি দিয়েছেন। তবে ভারতের রবি বিষ্ণুকে বেশি মাত্রায় বিবাদে জড়িয়ে পড়ার অপরাধে অতিরিক্ত হিসেবে ২.৫ ধারা ভঙ্গের অভিযোগে শাস্তি দেওয়া হয়।
আরো শাস্তি হিসেবে বাংলাদেশের তৌহিদ হৃদয়কে ছয় ডিমেরিট পয়েন্ট, শামীম হোসেনকে ছয় ডিমেরিট পয়েন্ট ও রাকিবুল হাসানকে পাঁচ ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে।
ক্রিকেটারেদের এই শাস্তি পরের আন্তজার্তিক ম্যাচ থেকেই কার্যকর হবে।
যা হয়েছিল ফাইনালে
বাংলাদেশ ও ভারতের যুবদের মধ্যকার জমজমাট ফাইনাল ম্যাচের উত্তাপ দেখা গেছে একদম শুরু থেকেই। তবে সবকিছুর মাত্রা ছাড়িয়ে যায় ম্যাচ শেষে শিরোপা উদযাপনের সময়। বাংলাদেশ দল যখন পতাকা হাতে উদ্দাম উদযাপনে ব্যস্ত, তখন হুট করেই দেখা গেল একটা জটলার মধ্যে প্রায় হাতাহাতির অবস্থা দুই দেশের খেলোয়াড়দের।
কোচিং স্টাফদের মধ্যস্থতায় থামে সে দফার ঝগড়া। এর খানিক পরই দেখা যায়, বাংলাদেশের পতাকা টানছেন ভারতের জার্সি পরা এক খেলোয়াড়। মূলত উদযাপনরত খেলোয়াড়দের কাছ থেকে পতাকা ছিনিয়ে নেয়াই ছিল উদ্দেশ্য। সে ঘটনা টিভি স্ক্রিনে ধরা পড়তেই সরিয়ে নেয়া হয় ক্যামেরা। তবে তখন যে আপত্তিকর কিছু ঘটেছিল- সে বিষয়ে আর সন্দেহ থাকে না কারওরই।
কিন্তু তখন আসলে ঠিক কী ঘটেছে, তা বলতে পারেননি বাংলাদেশ বা ভারতের অধিনায়ক। এমনকি ভারতীয় দলের টিম ম্যানেজার অনিল প্যাটেলও জানিয়েছেন যে, তারা তখনকার ঘটনা কিছুই দেখেননি। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলি বলেন, ‘আমি জানি না ঠিক কী হয়েছে তখন। আমি জিজ্ঞেসও করিনি সেখান কী হচ্ছে।’ ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে একই কথা বলেন ভারতের টিম ম্যানেজার প্যাটেলও। তার ভাষ্যে, ‘আমরা ঠিক জানি না তখন কী হয়েছে। সবাই বিস্মিত ছিলাম। কারণ আমাদের কারওরই জানা ছিল না সেখানে কী হচ্ছে বা হয়েছে।’ এদিকে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় এক দৈনিকে নির্বাচক কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ দলের সাবেক ফাস্ট বোলার হাসিবুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন, পুরো ঘটনায় দায় ছিল ভারতের খেলোয়াড়দেরই। এমনকি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেছে ভারতের ক্রিকেটাররা। তিনি বলেন, ‘ওরা পুরো ম্যাচজুড়েই প্রচুর স্লেজিং করেছে। আমরা জেতার পর তা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। আমাদের ক্রিকেটাররা যখন উৎসব করতে শুরু করল, তখনই ওরা এসে মা-বাপ তুলে গালিগালাজ শুরু করে। কত আর সহ্য করা যায়! ছেলেরা সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদ করতে যায়। এতেই শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি।’ যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে ৩ উইকেট হারানোর পর বাঁধনহারা উদযাপনে মত্ত হয় বাংলাদেশের যুবারা। যার একপর্যায়ে ছিল দলগতভাবে মাঠ প্রদক্ষিণ তথা ভিক্টোরি ল্যাপ পর্ব। তখন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা দেখতে পান মাঠের সীমানা দড়ির ভেতরে অনেক বোতল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। যেগুলো গ্যালারি থেকে ছুড়েছেন দর্শকরা। ভিক্টোরি ল্যাপ দেয়ার সময় এ পড়ে থাকা বোতলগুলো কুড়িয়ে সীমানার ওপারে ফেলে দেন যুবা টাইগাররা। এবিএন/জনি/জসিম/জেডি
কিন্তু তখন আসলে ঠিক কী ঘটেছে, তা বলতে পারেননি বাংলাদেশ বা ভারতের অধিনায়ক। এমনকি ভারতীয় দলের টিম ম্যানেজার অনিল প্যাটেলও জানিয়েছেন যে, তারা তখনকার ঘটনা কিছুই দেখেননি। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলি বলেন, ‘আমি জানি না ঠিক কী হয়েছে তখন। আমি জিজ্ঞেসও করিনি সেখান কী হচ্ছে।’ ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে একই কথা বলেন ভারতের টিম ম্যানেজার প্যাটেলও। তার ভাষ্যে, ‘আমরা ঠিক জানি না তখন কী হয়েছে। সবাই বিস্মিত ছিলাম। কারণ আমাদের কারওরই জানা ছিল না সেখানে কী হচ্ছে বা হয়েছে।’ এদিকে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় এক দৈনিকে নির্বাচক কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ দলের সাবেক ফাস্ট বোলার হাসিবুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন, পুরো ঘটনায় দায় ছিল ভারতের খেলোয়াড়দেরই। এমনকি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেছে ভারতের ক্রিকেটাররা। তিনি বলেন, ‘ওরা পুরো ম্যাচজুড়েই প্রচুর স্লেজিং করেছে। আমরা জেতার পর তা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। আমাদের ক্রিকেটাররা যখন উৎসব করতে শুরু করল, তখনই ওরা এসে মা-বাপ তুলে গালিগালাজ শুরু করে। কত আর সহ্য করা যায়! ছেলেরা সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদ করতে যায়। এতেই শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি।’ যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে ৩ উইকেট হারানোর পর বাঁধনহারা উদযাপনে মত্ত হয় বাংলাদেশের যুবারা। যার একপর্যায়ে ছিল দলগতভাবে মাঠ প্রদক্ষিণ তথা ভিক্টোরি ল্যাপ পর্ব। তখন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা দেখতে পান মাঠের সীমানা দড়ির ভেতরে অনেক বোতল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। যেগুলো গ্যালারি থেকে ছুড়েছেন দর্শকরা। ভিক্টোরি ল্যাপ দেয়ার সময় এ পড়ে থাকা বোতলগুলো কুড়িয়ে সীমানার ওপারে ফেলে দেন যুবা টাইগাররা। এবিএন/জনি/জসিম/জেডি
এই বিভাগের আরো সংবাদ