আজকের শিরোনাম :

২৩৩ রানে থামলো টাইগারদের প্রথম ইনিংস

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:২১ | আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:০৬

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রান করে অলআউট হলো বাংলাদেশ। শুক্রবার ম্যাচের প্রথম দিন বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয়েছে দিনের শেষ সেশনে। টাইগাররা ৮২.৫ ওভার ব্যাট করতে পেরেছে। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হওয়ার পরই আলোক স্বল্পতার কারণে দিনের খেলা শেষ বলে ঘোষণা দেন আম্পায়াররা।

দলের মাত্র একজন ব্যাটসম্যান হাফ সেঞ্চুরির গণ্ডি পেরোতে পেরেছেন। ৬৩ রান করে আউট হন মোহাম্মদ মিথুন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পাকিস্তানের পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি ৫৩ রান দিয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া মোহাম্মদ আব্বাস ২টি, নাসিম শাহ ১টি ও হারিস সোহেল ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন।

পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে শুক্রবার শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ। সকালবেলা টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দলীয় ৩ রানের মাথায় দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও তামিম ইকবালকে হারায় বাংলাদেশ।

দলের দুঃসময়ে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেন মুমিনুল হক। কিন্তু বিপদটা না কাটতেই দলীয় ৬২ রানের মাথায় শাহীন আফ্রিদির বলে উইকেটরক্ষক রিজওয়ানকে ক্যাচ দিয়ে বসেন টাইগার অধিনায়ক (৩০)।

অধিনায়কের বিপদের পর ধাক্কা সামাল দেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনের সাবধানী ব্যাটিংয়ে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান তুলে বাংলাদেশ। ওই সময় ফিফটি থেকে মাত্র ৬ রান দূরে ছিলেন শান্ত।

হাফ সেঞ্চুরি ছুঁইছুঁই অবস্থায় মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু বিরতির ঠিক পরের ওভারেই বিদায় নিতে হয় তাকে। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আব্বাসের করা ওই ওভারের পাঁচ বল ঠিকঠাক সামলালেও শেষ বলে ধৈর্য হারিয়ে বসেন শান্ত। অফ স্ট্যাম্পের অনেকটা বাইরের বলে অযথা শট খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।

শাহীন শাহ আফ্রিদি যেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য ক্রমেই দুর্বোধ্য হয়ে উঠছেন। দলীয় ১০৭ রানে তার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন বাংলাদেশ স্কোয়াডের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (২৫)।

রিয়াদ ফেরার পর ৫৪ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ মিথুন ও লিটন দাস। দলের রান যখন ১৬১ তখন এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন লিটন। অবশ্য আম্পায়ার প্রথমে আউট দেননি। কিন্তু পাকিস্তান রিভিউ নিলে ফিরতে হয় লিটনকে। তিনি করেছেন ৩৩ রান।

পরের ওভারে এক বল বিরতিতেই বাংলাদেশের শেষ ভরসা মোহাম্মদ মিঠুনকেও তুলে নেন নাসিম শাহ। হাফসেঞ্চুরিয়ান মিঠুন অবশ্য নিজের ভুলে আউট হয়েছেন বলা যাবে না। নাসিমের দুর্দান্ত ডেলিভারিটি হাত আর পেটের মাঝখানের ফাঁক দিয়ে ব্যাটে লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে। শুরুতে আউট দেননি আম্পায়ার। পাকিস্তান রিভিউ নেয়। তাতে দেখা যায় পরিষ্কার ইনসাইড এজ।

মিঠুনের ১৪০ বলে ৭ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৬৩ রানের লড়াকু ইনিংসটার সমাপ্তি সেখানেই। এরপর আর এগোতে পারেনি বাংলাদেশ। মোহাম্মদ আব্বাসের সরাসরি থ্রোতে রানআউট হন আবু জায়েদ। শাহীন শাহর বলে এক রান নিতে চেয়েছিলেন জায়েদ, কিন্তু সঙ্গী এবাদত হোসেন না করে দেন। ক্রিজে ফিরে যান জায়েদ, কিন্তু বোকার মতো ব্যাটটা রাখেননি ক্রিজের দাগে। আব্বাসের থ্রোতে স্ট্যাম্প ভাঙলে শেষ উইকেটটির পতন হয় বাংলাদেশের।

পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল শাহীন শাহ আফ্রিদি। ৫৩ রানে তিনি নিয়েছেন ৪টি ‍উইকেট। ২টি করে উইকেট মোহাম্মদ আব্বাস আর হারিস সোহেলের।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ