যা পারেননি তামিম-সাকিবরা, তা করলেন জয়
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:৩৭
দক্ষিণ আফ্রিকায় চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। শুধু যুব বিশ্বকাপই নয়, প্রথমবার যে কোনো ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার কৃতিত্ব অর্জন করল বাংলাদেশ। সেমিতে কিউইদের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ইতিহাস রচনার কারিগর বনে গেছেন যুব দলের ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয়।
যুব দলে চমক দেখিয়ে জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছেন সাকিব-তামিম-মুশফিকরা। তবে তারা কখনো বিশ্বকাপের ফাইনালে দলকে নিয়ে যেতে পারেননি। এমনকি খেলতে পারেননি সেমিফাইনালও। ঘরের মাঠে ফেবারিট তকমা গায়ে লাগিয়েও পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ-সাইফউদ্দিনরা। তারা থেমেছিলেন সেমিফাইনালে উঠলে যেতে পারেননি ফাইনালে। এতদিন মিরাজ-সাইফউদ্দিনদের সেমিফাইনালে যাওয়াই ছিল বাংলাদেশের যুব বিশ্বকাপের সেরা সাফল্য। এবার তাদের ছাড়িয়ে গেলেন জয়-শরিফুলরা। নিশ্চিত করলেন ফাইনাল। ৯ ফেব্রুয়ারির সে ফাইনালে ভারতকে হারাতে পারলে প্রথমবারের শিরোপা জয়ের স্বাদও পাবেন তারা।
সেমিতে কিউই বধের নায়ক মাহমুদুল জয়। তার হাত ধরেই বহু কাঙ্ক্ষিত এক জয় পেল বাংলাদেশ। এ ব্যাটসম্যান তুলে নিয়েছেন যুব ক্রিকেট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। আর তার হাত ধরেই এলো এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরি।
১২৬ বলে ১৩ চারে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ১২৭তম বলেই আউট হন জয়। ২০১ রানে জয় যখন আউট হন তখন জয় থেকে বাংলাদেশ মাত্র ১১ রান দূরে। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার আক্ষেপ থাকলেও জয় যখন সাজঘরে ফেরেন তখন পুরো দেশ বিজয় উল্লাসের প্রস্তুতিই নিচ্ছিল। এরপর অপেক্ষা বাড়াননি শাহদাত-আকবর আলী। ৩৫ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের বড় জয় দিয়েই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে যুবারা।
ব্যক্তিগত অর্জনে তামিম-সাকিবসহ সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন জয়। যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে সেঞ্চুরি পাওয়া একমাত্র বাংলাদেশি এখন তিনি। এর আগে সেমিফাইনালে সর্বোচ্চ রান করেছিলেন মেহেদী মিরাজ। ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনি থেমেছিলেন ৬০ রানে।
এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি
এই বিভাগের আরো সংবাদ