আজকের শিরোনাম :

চলে গেলেন মেডেনের রাজা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২০, ১২:৫১

দুনিয়ার মায়া কাটিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার রমেশচন্দ্র গঙ্গারাম নাদকার্নি শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে পাড়ি জমিয়েছেন পরপারে। ক্রিকেটমহলে যিনি পরিচিত ছিলেন বাপু নাদকার্নি হিসেবে।

দেশের হয়ে খেলেছিলেন মাত্র ৪১টি টেস্ট। বল হাতে নিয়েছিলেন ৮৮ উইকেট। ব্যাটসম্যান হিসেবে মোট ১৪১৪ রান করেন। ছিল একটি সেঞ্চুরিও। তবে নিখুঁত লাইন-লেন্থে বোলিং করে এই বাঁহাতি স্পিনার খুব দ্রুত নজর কেড়ে নিয়েছিলেন ক্রিকেটবিশ্বের। ১৯৬৪ সালে মাদ্রাজে (বর্তমানে চেন্নাই) ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে টানা ২১টি মেডেন ওভার করে নাদকার্নি নজির গড়েছিলেন। সেই টেস্টে তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৩২-২৭-৫-০।

মহারাষ্ট্রের নাসিকে জন্ম নাদকার্নির। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেছিলেন ১৯১টি ম্যাচ। ছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। মোট রান ছিল ৮৮৮০। গড় ৪০.৩৬। ছিল ১৪টি সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ ২৮৩। বল হাতে নিয়েছিলেন ৫০০ উইকেট। সেরা বোলিং ছিল ১৭ রানে ৬ উইকেট।

১৯৫৫ সালে দিল্লিতে ভারতের হয়ে প্রথম টেস্ট খেলেন বাপু নাদকার্নি। প্রতিপক্ষ ছিল নিউজিল্যান্ড। তার প্রথম অধিনায়ক ছিলেন পলি উমরিগড়। অভিষেক টেস্টে অবশ্য কোনো উইকেট ছিল না তার। কিন্তু ক্রিকেটমহলে ‘অত্যন্ত কৃপণ’ স্পিনার হিসেবে পরিচিত বাপুকে নতুনভাবে চেনা যায় ১৯৬০-৬১ মৌসুমে দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। কানপুর টেস্টে দুই ইনিংসে তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল যথাক্রমে ৩২-২৪-২৩-০ এবং ৭-৪-৬-০। পরে দিল্লি টেস্টে দুই ইনিংসে তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৩৪-২৪-২৪-১ এবং ৫২.৪-৩৮-৪৩-৪।

১৯৬৮ সালে শেষ টেস্ট খেলেন অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। অধিনায়ক ছিলেন মনসুর আলি খান পতৌদি। সেই ম্যাচেও বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ১৪-৬-১৬-১ এবং ২-১-১-১। ভারত জিতেছিল ২৭২ রানে।

তার মৃত্যুর খবর শুনে শচিন টেন্ডুলকার টুইট করেন, ‘বাপু নাদকার্নির মৃত্যুর খবরে মন খারাপ হয়ে গেল। একটি টেস্ট ম্যাচে ওর টানা ২১টি মেডেন নেওয়ার গল্প শুনে বড় হয়েছি। ওর পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাই। শান্তিতে থাকবেন স্যার।’

স্মৃতিচারণ করেছেন সাবেক ভারত অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার। ১৯৮০-৮১ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে তিনি ছিলেন ভারতীয় দলের সহকারী ম্যানেজার। গাভাস্কার বলেছেন, ‘অনেক সফরেই তাকে সহকারী ম্যানেজার হিসেবে পেয়েছিলাম। সকলকে প্রতি মুহূর্তে খুব উৎসাহ দিতেন। তার সব চেয়ে জনপ্রিয় মন্তব্য ছিল ছোড়না মাত।’

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ