আজকের শিরোনাম :

শেষটা রাঙিয়ে গেলেন মাসাকাদজা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২২:০১

সান্ত্বনার জয় নিয়েই দেশে ফিরছে জিম্বাবুয়ে। ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা তিন ম্যাচ হেরে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া জিম্বাবুয়েকে দিশা দেখালেন অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা নিজেই। ব্যাট হতে জ্বলে উঠে দলকে এনে দিলেন ৭ উইকেটের অসাধারণ জয়।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এদিন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। এদিন সতীর্থরা তাকে খালি হাতে ফিরতে দিলেন না। এনে দিলেন দারুণ জয়। ক্রিকেট দেবীর করুণাও ছিলো মাসাকাদজার ওপর। তার ব্যাটে ভর করেছে জিতেছে দল।

আফগানিস্তানের দেয়া ১৫৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ব্রেন্ডন টেইলরকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ শুরু এনে দেন মাসাকাদজা। ১৯ রানে টেইলরকে ফেরান মুজিব। কিন্তু মাসাকাদজার ব্যাটের ঝড় তাতে এতটুকু কমেনি। চাকাভা ক্রিজে এসে দারুণ সঙ্গ দেন। ৪২ বলে ৭১ রানের দৃষ্টি নন্দন ইনিংস খেলে দৌলত জাদরানের শিকার হন মাসাকাদজা। ৪ বাউন্ডারি এবং ৫টি ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ছিলো তার ইনিংসটি। চাকাভার ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান। টপ অর্ডারের কৃতিত্বে হাতে চলে আসা ম্যাচটা সহজেই নিজেদের করে নেন শেন উইলিয়ামসন। তিনি অপরাজিত থাকেন ২১ রানে।

এর আগে ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন বোলাররা। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ঝড় তুললেও শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারায় আফগানিস্তান, সঙ্গে রানের গতিও কমে যায়।
দুই ওপেনর হজরতুল্লাহ জাজাই এবং রহমতুল্লাহ গুরবাজ টি-২০ ক্রিকেটের পুরো সৌন্দর্য নিয়েই হাজির হয়েছিলেন। ইনিংসের নবম ওভারে যখন ওপেনার হজরতুল্লাহ বিদায় নেন তখন আফগানদের রান ৮৩। ২৪ বলে ৩১ রানে ফেরেন জাজাই। রহমতুল্লাহ তখনো কচুকাটা করে চলেছেন জিম্বাবুয়ের বোলারদের। কিন্তু শুরুতে ঝড়ো মেঘের যে গর্জন শোনা যাচ্ছিলো শেষ পর্যন্ত তা পরিণত হয় উইকেট বর্ষণে।

১৪তম ওভারে ৬১ রান করা রহমতুল্লাহকে ফেরান শেন উইলিয়ামস। আর এখান থেকেই শুরু হয় আফগান ব্যাটসম্যানদের ধস।

ক্রিস এমপুফু রান খরচা একটু বেশি করলেও তুলে নেন ৪টি উইকেট। শেষ ১০ ওভারে ৭১ রান তুলতে গিয়ে ৭টি উইকেট হারায় রশিদ খানের দল।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ