আজকের শিরোনাম :

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচও ‘হাইভোল্টেজ’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০১৯, ০১:০৯

পাকিস্তান-ভারত, অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচ মানেই হাইভোল্টেজ ম্যাচ। এমনই অবস্থা হয় যে একটি টিকিটের স্বাভাবিক দামের ১০ গুণ বেশি দিয়েও টিকিট পাওয়া যায় না। এই ম্যাচগুলো ঘিরে থাকে বাড়তি উন্মাদনা, উচ্ছ্বাস। বানিজ্যিক ভাবেও এই ম্যাচ গুলো অনেক গুরুত্ব পায়। কিন্তু মাশরাফি বললেন ভিন্ন কথা। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ নাকি এখন অনেক বেশি গুরুত্ব পায় ভারত পাকিস্তান ম্যাচ থেকেও!

বিশ্বকাপের আগে এক ভবিষ্যদ্বাণী করে জাতির ‘শত্রু’তে পরিণত হওয়া ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে যে কতভাবে ব্যঙ্গ করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে! সেই ট্রলের একটা আজ দেখানো হলো মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। বাংলাদেশ অধিনায়ক সেটি দেখে হেসেই খুন! ‘ট্রল কি শুধু ফেসবুকে? সেদিন মাঠে ওকে পেয়ে দর্শকেরা গ্যালারি থেকে চিৎকার করছে আর হাতের দুটো আঙুল দেখিয়ে বলছে, ম্যাককালাম দেখো, আমাদের দুটো হয়ে গেছে!’—বার্মিংহামের টিম হোটেলে নিচে দাঁড়িয়ে মাশরাফি বলেন আর হাসেন। এই হাসির মধ্যে ম্যাককালামকে নিয়ে বানানো একটি ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও দেখানো হলো। বাংলাদেশ অধিনায়কের সেটি দেখে পেটে খিল লাগার জোগাড়। হাসি থামিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘এটা কি মানেন, এখন ভারত-পাকিস্তান নয়, এখন বেশি উত্তাপ ছড়ায় বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ! এখন বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানেই ব্লক বাস্টার শো! এসব হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে।’

মাশরাফি ভুল বলেননি। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যা হয়, কখনো সেটি এতটাই সীমা ছড়ায়, অনেক সময় খুবই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে। আর এতে অদৃশ্য চাপ তৈরি হয় ক্রিকেটারদের ওপর। এজবাস্টনে ২ জুলাই নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়েও যেমন তুমুল উত্তেজনা বার্মিংহামে। কাল রাতে কজন বাংলাদেশি প্রবাসী খুব আফসোস করছিলেন, অনেক চেষ্টা করেও পারেননি ২ জুলাই ম্যাচের টিকিট জোগাড় করতে। যে দু-এক জায়গায় খোঁজ পেয়েছেন, কিন্তু টিকিটের দাম ২০০ পাউন্ড (প্রায় ২২ হাজার টাকা) ছাড়িয়ে গেছে! একজন জানালেন, এবার ইংল্যান্ডের প্রতিটি ভেন্যুতে বাংলাদেশের দর্শকদের দাপট থাকলেও বার্মিংহামে সেটি থাকবে না। গ্যালারির ৭০ শতাংশই থাকবে ভারতীয়। কেন থাকবে, সেটির দুটি যুক্তি আছে: প্রথমত, ভারতীয় দর্শকদের সংখ্যা। একটা টিকিটের জন্য বাংলাদেশের যদি ১০ জন আবেদন করেন, ভারতের করে ১০০ জন! আর বাণিজ্যিক কারণে আইসিসিও ভারতের ম্যাচে ভারতীয় সমর্থকদের চাহিদাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

ওভাল, কার্ডিফ, টন্টন, ট্রেন্টব্রিজ, সাউদাম্পটনে যে বিপুল সমর্থন পেয়ে এসেছেন, এজবাস্টনের গ্যালারিতে সেটা যে থাকবে না ভালোই জানা মাশরাফির। ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল তো এ মাঠেই খেলে গেছেন। দেখেছেন লাল সবুজের চেয়ে নীলের বেশি উপস্থিতি! দর্শকদের বিপুল সমর্থন থাকুক বা না-ই থাকুক, বাংলাদেশ অধিনায়ক বেশি চিন্তিত এজবাস্টনের উইকেট নিয়ে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো হাই স্কোরিং উইকেট পাবে নাকি লো স্কোরিং ম্যাচ। নতুন উইকেট দেবে নাকি ব্যবহৃত উইকেট? যদি ব্যবহৃত উইকেটে খেলা হয় তাহলে ভীষণ খুশিই হবে বাংলাদেশ। এই টুর্নামেন্টে মাশরাফি যে তিনটি ম্যাচ জিতেছেন প্রতিটিই ব্যবহৃত উইকেটে খেলে।

মাশরাফি ভারত-ম্যাচ নিয়ে এখনই কিছু বলতে চান না। তবে দলের প্রতিনিধি হয়ে দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা মেহেদী হাসান মিরাজ বলে গেলেন, ‘ভারতের সঙ্গে অনেকগুলো ম্যাচ আমরা খুব কাছে গিয়ে হেরেছি। বলব ভাগ্যের ছোঁয়া সেভাবে পাইনি। আল্লাহ সহায় হলে এই ম্যাচটা আশা করি জিততে পারব। হ্যাঁ, অবশ্যই ভারত কঠিন প্রতিপক্ষ। তারা দাপটের সঙ্গে খেলছে, ভালো খেলছে। আমরা এসব ভেবে চাপ নিচ্ছি না। স্বাভাবিকভাবে খেলা খেললেই ভালো কিছু হবে আশা করি।’

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ