দেখেশুনে খেলে বিদায় নিলেন তামিমও

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ জুন ২০১৯, ২২:১৫

দেখেশুনে খেলেও বেশিদূর এগোতে পারলেন না তামিম। মিচেল স্টার্ক এর বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তামিম। আউট হওয়ার আগে ৬২ রান করেন তিনি।

ইনিংসের শুরুতে সৌম্যের বিদায়ের পরে সাকিবও ফিরে যান সাজঘরে। মার্কাস স্টয়নিসের বলে আউট হওয়ার আগে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন বিশ্বের এঅস্ট্রেলিয়ার দেয়া ৩৮২ রানের পাহাড়সম টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফিরে যান টাইগার ওপেনার সৌম্য সরকার। ব্যক্তিগত ১০ রানে রান আউটের ফাঁদে পড়েন তিনি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১৪৬ রান। মাঠে অপরাজিত আছেন লিটন দাস (০১ রান) ও মুশফিকুর রহিম ( ২৪ রান)।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) নটিংহ্যামের টেন্টব্রিজে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ম্যাচটি শুরু হয়েছে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায়।

উদ্বোধনী জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২১ রানের জুটি গড়েন অ্যারন ফিঞ্চ। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা তাদের এই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। মাশরাফি, মোস্তাফিজ, সাকিব, রুবেলরা ইনিংসের প্রথম ২০ ওভার বল করেও দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে ব্যর্থ হন।

টুকটাক বোলিং করা জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য সরকার ২১তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে ৫১ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ রান করেন ফিঞ্চ।

এরপর দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খাজাকে সঙ্গে নিয়ে ১৯২ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। এই জুটিতেই শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন অস্ট্রেলিয়ান এ ওপেনার। বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি করার পর একেরপর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দেড়শ পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। তার ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় গড়ার পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া।

উইকেটে অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া ওয়ার্নারকে শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরান সৌম্য সরকার। সৌম্যর বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। তার আগে ১৪৭ বলে ১৬৬ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান এ তারকা ব্যাটসম্যান। ৪৪.২ ওভারে দলীয় ৩১৩ রানে আউট হন ওয়ার্নার।

এরপর উইকেটে এসে ছোটখাটো এক ঝড় তুলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৪৭তম ওভারে এসে আবারও চমক দেখান সৌম্য। ১০ বলে ২ চার আর ৩ ছক্কায় ৩২ রান করা ম্যাক্সওয়েল শর্ট ফাইন লেগে বল ঠেলে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। রুবেল হোসেন সরাসরি থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন।

ওই ওভারেরই পঞ্চম বলে উসমান খাজাকে মুশফিকুর রহীমের ক্যাচ বানান সৌম্য। ৭২ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৮৯ রানে সাজঘরের পথ ধরেন খাজা, সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। এরপর ১ রান করে মোস্তাফিজের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফিরেন স্মিথ।

শেষ পর্যন্ত মোস্তাফিজের করা শেষ ওভারে ১৩ রান নিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে অজিরা। ২০১৫ বিশ্বকাপে আফগানদের বিপক্ষে ৪১৭ রান বিশ্বকাপে তাদের সেরা স্কোর, যা আবার বিশ্বকাপ ইতিহাসেরও সর্বোচ্চ।

বল হাতে টাইগার বোলারদের মধ্যে সেরা বোলিং করেছেন সৌম্য সরকার। ৮ ওভারে ৫৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন এই পার্ট-টাইম বোলার। ১ উইকেট ঝুলিতে পুরলেও ৯ ওভারে ৬৯ রান খরচ করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৮ ওভারে ৫৬ রান খরচ করে উইকেটশুন্য মাশরাফি। মেহেদি হাসান মিরাজ ১০ ওভারে ৫৯ রান খরচ করেছেন।

যাকে দলে নিতে এতদিন ব্যাপক আলোচনা হচ্ছিল সেই রুবেল হোসেন ৯ ওভারে দিয়েছেন ৮৩ রান। রান খরচ করেছেন ওভার পিছু ৯.২২ করে। সাকিব ৬ ওভারে দিয়েছেন ৫০ রান। অর্থাৎ, বল হাতে ব্যর্থ এই সেরা অলরাউন্ডার।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ