আজকের শিরোনাম :

বৃষ্টি আইনে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের পরাজয়

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ জুন ২০১৯, ০০:৩৩ | আপডেট : ১৭ জুন ২০১৯, ১০:০৬

ভারতের কাছে পাত্তাই পেল না পাকিস্তান। বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে এনিয়ে টানা সাত ম্যাচে হেরে গেল পাকিস্তান। বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের পরাজয় যেন নিয়তি!

রোববার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের বোলারদের তুলোধুনো করে সেঞ্চুরি (১৪০) ও বিরাট কোহলি- লোকেশ রাহুলের জোড়া ফিফটিতে ৩৩৬/৬ রানের পাহাড় গড়ে ভারত।

বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডিএল মেথডে পাকিস্তানের টার্গেট দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ৩০২ রান। রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে ৬ উইকেটে ২১২ তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন ফখর জামান। এছাড়া ৪৮ রান করেন বাবর আজম। ইনিংসের শেষ দিকে ৩৯ বলে অপরাজিত ৪৬ রান করেন ইমাদ ওয়াসিম। বৃষ্টি আইনে ৮৯ রানে জয় পায় ভারত।

রোববার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে ভারত-পাকিস্তানের মহারণ শুরুর আগে টুইটবার্তায় ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানকে জিততে হলে আগ্রাসী কৌশল নিতে হবে। আর সেজন্য যদি পিচ খুব খারাপ না হয় তাহলে টস জিতে প্রথমে সরফরাজদের ব্যাটিং নেওয়া উচিত।

কিন্তু ইমরান খানের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটারের পরামর্শ না শোনার মাশুল দিলেন সরফরাজরা।পাকিস্তানের বোলারদের তুলোধুনো করে সেঞ্চুরি করেন রোহিত শর্মা। অনবদ্য ব্যাটিং করে ১১৩ বলে ১৪০ রান করেন রোহিত। এছাড়া বিরাট কোহলি (৭৭) ও লোকেশ রাহুলের (৫৭) জোড়া ফিফটিতে ৩৩৬/৬ রানের পাহাড় গড়ে ভারত।

ভারতের ছুড়ে দেয়া ৩৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ফর্মে থাকা ওপেনার ইমাম উল হক আজ পারেননি ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে, সাজঘরে ফিরে যান দলীয় ১৩ রানের মাথায়। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ফাখর ও বাবর মিলে গড়েন ১০৪ রানের জুটি। দুজন মিলে রান তুলছিলেন বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে।

মনে হচ্ছিলো বেশ ভালো লড়াই হবে ম্যাচে। কিন্তু ২৪ ওভারের শেষ বল থেকে ২৭তম ওভারের শেষ বলের মধ্যেই সব সমীকরণ পাল্টে দিয়েছে ভারত। এই ২৪ বলের মধ্যে মাত্র ১২ রান খরচায় ৪ পাকিস্তানিকে প্যাভিলিয়নের টিকিট ধরিয়েছেন কুলদ্বীপ যাদভ-হার্দিক পান্ডিয়ারা।

যার শুরুটা হয় বাবর আজমকে দিয়ে, যিনি ছুটছিলেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু ৪৮ রানের মাথায় কুলদ্বীপের ভেতরে ঢোকা একটি বল বুঝতে না পেরে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন পাকিস্তানের তিন নম্বর ব্যাটসম্যান।

বাঁহাতি চায়নাম্যান কুলদ্বীপের পরবর্তী শিকার আরেক সেট ব্যাটসম্যান ফাখর জামান। তিনি ফুললেন্থের এক ডেলিভারিকে অবিবেচকের মতো সুইপ খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন ফাইনলেগে দাঁড়ানো ইয়ুজভেন্দ্র চাহালের হাতে। আউট হওয়ার আগে ৭৫ বলে ৬২ রান করেন ফাখর।

দুই সেট ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে থাকা পাকিস্তান অকূল পাথারে ডুবে যায় হার্দিক পান্ডিয়ার করা ২৭তম ওভারে। সে ওভারের চতুর্থ বলে ফ্লিক করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো বিজয় শঙ্করের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন মোহাম্মদ হাফিজ।

আউট হওয়ার আগে ৭ বলে ৯ রান করতে সক্ষম হন মিস্টার প্রফেসর খ্যাত এ অলরাউন্ডার। হাফিজ ফেরার পরের বলেই ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে সরাসরি বোল্ড হন শোয়েব মালিক। রানের খাতাই খুলতে ব্যর্থ হন তিনি। মাত্র ১২ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান।

তবে ষষ্ঠ উইকেটে ইনিংসের হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ও বাঁহাতি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম। দুজন মিলে যোগ করেন ৩৬ রান। ইনিংসের ৩৫তম ওভারের প্রথম বলে ৩০ বলে ১২ রান করে আউট হন সরফরাজ। 

এরপর পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে ব্যাটিং করে যান ইমাদ ওয়াসিম ও শাদাব খান। ৩৫ ওভারের খেলা শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৬৬ রান। এমন অবস্থায় ফের বৃষ্টির বাগড়া। বৃষ্টির কারণে ডিএল মেথডে পাকিস্তানের টার্গেট দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ৩০২ রান। শেষ দিকে ইমাদ ওয়াসিমের ৩৯ বলে ৬টি চারে গড়া অপরাজিত ৪৬ রানে ২১২ রান তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ