আজকের শিরোনাম :

পিএসজিকে হারিয়ে শেষ আটে ম্যানইউ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০১৯, ১১:৩২

গত ১২ ফেব্রুয়ারি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠে গিয়ে ইতিহাস লিখেছিল পিএসজি। ম্যানইউকে তাদের মাঠেই হারিয়ে দিয়েছিল ২-০ গোলে। সবাই ভেবেছিল এবার বুঝি শেষ ষোলোর গিট্টুটা খুলতে পারবে পিএসজি! কিন্তু সেই ধারণা মিথ্যা। গত দুই মৌসুমের ধারাবাহিকতায় এবারও সেই শেষ ষোলোতেই কাটা পড়ল পিএসজি। গতকাল বুধবার পিএসজির মাঠে গিয়েই পিএসজিকে বিধ্বস্ত করেছে ম্যানইউ। ৩-১ গোলে জিতে ইংলিশ ক্লাবটি নাম লিখিয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালে।

দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৩ সমতা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কপাল খুলেছে একটি অ্যাওয়ে গোল বেশি থাকায়। ইউনাইটেডের মাঠে গিয়ে পিএসজি দিয়েছিল ২ গোল। পিএসজির মাঠে গিয়ে ইউনাইটেড দিয়েছে ৩টি। নিজেদের মাঠের প্রথম লেগে ২-০ গোলে হারার পরও কোয়ার্টার ফাইনালে উঠাটা অবিশ্বাস্য ব্যাপারই। কাল রাতে ইউনাইটেডের হয়ে সেই অবিশ্বাস্য কাজটি করেছেন বেলজিয়ান তারকা রোমেলু লুকাকু ও মার্কোস রাশফোর্ড।

ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে পিএসজির জার্মান ডিফেন্ডার টিলো কেরার এক লক্ষ্যহীন ব্যাকপাস করে বসেন। বলের ধারে কাছে ছিলেন না গোলরক্ষক কিংবা ডিফেন্ডার চিয়াগো সিলভা। ছুটে গিয়ে বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে জানলুইজি বুফ্ফনকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে দলকে এগিয়ে দেন লুকাকু।

শুরুর ধাক্কা দ্রুতই সামলে ওঠে স্বাগতিকরা। ১০ মিনিট বাদে সমতাসূচক গোলও আদায় করে নেয় তারা। ডি-বক্সে সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বাঁ দিকে পাস দেন কিলিয়ান এমবাপে। গোলমুখে ফাঁকায় বল পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় কোনাকুনি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার বের্নাত।

আক্রমণ পাল্টা-আক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচে পরপর দুই মিনিটে দুটি সুযোগ নষ্ট হয় পিএসজির। গোল করার মতো পজিশনে বল পেয়ে গোলরক্ষক বরাবর শট নেন বের্নাত আর আনহেল দি মারিয়ার দূরপাল্লার শট পোস্ট ঘেঁষে চলে যায়।

আসরের সবচেয়ে বেশি বয়সী গোলরক্ষক বুফ্ফনের মারাত্মক ভুলে ৩০তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করে পিএসজি। র‌্যাশফোর্ডের সোজাসুজি শট ধরতে গিয়ে তালগোল পাকান অভিজ্ঞ ইতালিয়ান গোলরক্ষক। ছুটে এসে আলগা বল জালে ঠেলে দেন লুকাকু।

সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই নিয়ে শেষ তিন ম্যাচের প্রতিটিতে দুটি করে গোল করলেন বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড লুকাকু।

দ্বিতীয়ার্ধে একচেটিয়া বল দখলে রেখে আক্রমণ করতে থাকে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ররা। কিন্তু গোলের দেখা মেলেনি। ৫৫তম মিনিটে ডি মারিয়া জালে বল পাঠালেও তিনি অফসাইডে থাকায় ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোল দেননি রেফারি।

৮৪তম মিনিটে প্রতি আক্রমণে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন এমবাপে। তবে দাভিদ দে হেয়াকে কাটাতে গিয়ে পড়ে যান ফরাসি ফরোয়ার্ড। আলগা বলে বের্নাতের নেওয়া শট পোস্টে লাগলে হতাশা বাড়ে পিএসজি শিবিরে।

খেলার ধারার বিপরীতে যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে সফল স্পট কিকে স্বাগতিকদের স্তব্ধ করে দেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড র‌্যাশফোর্ড। দিয়েগো দালোতের শট ডি-বক্সে পিএসজির ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিম্পেম্বের হাতে লেগে বাইরে চলে গেলে প্রথমে কর্নারে বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। পরে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেন রেফারি।

এর পরপরই দানি আলভেসকে তুলে চোট কাটিয়ে ফেরা এডিনসন কাভানিকে মাঠে নামান কোচ টমাস টুখেল। কিন্তু বাকি সময়ে পিএসজিকে কাঙ্ক্ষিত গোল এনে দিতে পারেনি কেউই।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ