মেসির জোড়া গোলে বাঁচল বার্সা

তিন দিন পর এল ক্ল্যাসিকো। রিয়াল মাদ্রিদকে ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে স্বাগত জানাবে বার্সেলোনা। তার আগেই কি না নিজেদের মাঠে বড় ধরনের হোঁচট খেতে বসেছিল বার্সেলোনা। শেষ পর্যন্ত মেসির জোড়া গোলে কোনোমতে রক্ষা পেল কাতালানরা। শেষ পর্যন্ত ভ্যালেন্সিয়ার সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে একটি পয়েন্ট অন্তত রক্ষা করতে পারল মেসির দল। 

ঘরের মাঠে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমে শুরু থেকেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল বার্সা। কারণ প্রথমে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে লিওনেল মেসির দল। সেখান থেকেই মেসির জোড়া গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারে স্বাগতিকরা।

ম্যাচের ২৪ মিনিটেই ভ্যালেন্সিয়াকে এগিয়ে দেন কেভিন গ্যামেইরো। রদ্রিগো মোরেনোর কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের মাঝ বরাবর থেকে ডান পায়ের দুর্দান্ত শটে বার্সা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগানকে পরাস্ত করেন গ্যামেইরো।

১-০ গোলে পিছিয়ে থাকার পর যেখানে বার্সার আরও বেশি জ্বলে ওঠার কথা, সেখানে যেন উল্টো উজ্জীবিত হয়ে উঠলো ভ্যালেন্সিয়ার ফুটবলাররা। যার ফলশ্রুতিতে ৩২ মিনিটে পেনাল্টি আদায় করে নেয় তারা। বক্সের মধ্যে ভ্যালেন্সিয়া ফুটবলার ড্যানিয়েল ওয়াজকে ফাউল করে বসেন সার্জি রবের্তো। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে স্পট কিক নিতে আসেন ড্যানিয়েল পারেয়ো। তার শট বাঁ পাশের কোণ ঘেঁষে জড়িয়ে যায় বার্সার জালে।

ম্যাচের বয়স আধাঘণ্টা পার না হতেই ২-০ গোলে পিছিয়ে গেলো বার্সা। এমতাবস্থায় মেসির দায়িত্ব নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। শেষ পর্যন্ত সেটিই করলেন তিনি। ৩৯ মিনিটে বক্সের মধ্যে বার্সার নেলসন সেমেদোকে ফাউল করে বসেন বার্সার টনি ল্যাটো। স্পট কিক নেন মেসি এবং তাতেই ব্যবধান দাঁড়াল ২-১। এ অবস্থায় শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।

ম্যাচের ৬৪ মিনিটে আরেকটি দুর্দান্ত গোলে বার্সাকে সমতায় ফেরান মেসি। আর্তুরো ভিদালের পাস থেকে বল পেয়ে বাম পায়ের দারুণ এক শটে ভ্যালেন্সিয়ার জাল কাঁপিয়ে দেন মেসি। ২-২। এরপর ম্যাচের বাকি অংশে আর কেউ কারো জালে বল জড়াতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ২-২ ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ল বার্সা-ভ্যালেন্সিয়া।

২২ ম্যাচে ১৫ জয় ও ৫ ড্রয়ে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৫০। ৬ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে এক ম্যাচ কম খেলা আতলেতিকো মাদ্রিদ। তৃতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৩৯।

এবিএন/সাদিক/জসিম