আজকের শিরোনাম :

চিটাগংয়ের জয়রথ থামাল রংপুর

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:৩৪

২২ গজে এমন ঝড় অনেক দিন দেখেনি চট্টগ্রামবাসী। ২০১৪ সালে এ মাঠেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করেছিলেন অ্যালেক্স হেলস। ৫ বছর পর আবার সেঞ্চুরি করেই ফিরলেন হেলস। তাকে সঙ্গ দিলেন রাইলি রুশো। দুজনের সেঞ্চুরিতে বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে রংপুর রাইডার্স।

২৩৯ রান বিপিএলে এর আগে কোনো দল করেনি। রংপুরের এ রানের পাহাড় টপকাতে পারেনি উড়ন্ত চিটাগং। ১৬৭ রানে থামে তাদের ইনিংস। ৭২ রানের পরাজয়ে ৫ ম্যাচ পর পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেল চিটাগং। আর টানা তৃতীয় জয়ে রংপুর সেরা চারের লড়াইয়ে এগিয়ে গেল।

প্রথম ইনিংসেই ম্যাচের ভাগ্য গড়েছিলেন হেলস ও রুশো। টস জিতে রংপুরকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণে জানিয়ে বিপদ ডেকে আনেন চিটাগংয়ের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। অবশ্য শুরুটা তো ভালোই করেছিল তারা। প্রথম ১৫ বলে কোনো বাউন্ডারি নেই রংপুরের! শুরুতেই রংপুর শিবিরে আসল ধাক্কাটি দেন রাহী। গেইলকে ফিরিয়ে কি উল্লাসেই না ভেসেছিল স্বাগতিক দর্শকরা। কিন্তু কয়েক ওভারের ব্যবধানে তাদের হাসি ম্লান হয়ে যায় রুশো ও হেলস তা-বে।

হেলস ৪৭ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। রুশো ৫১ বলে পেয়ে যান প্রথমটি। তাদের দুজনের ৭৮ বলে ১৭৪ রানের জুটিতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় চিটাগং শিবির। ২২ গজে তাদের ঝড় থামানোর কোনো উত্তর জানা ছিল না রাহী, রবিউল, খালেদদের।

ইংলিশ ওপেনার হেলস ৪৮ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় শতরানের ইনিংসটি সাজান। আর রুশো ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি খেলেন ৫১ বলে। ৮ চার ও ৬ ছক্কায় মাতিয়ে রাখেন সাগরপাড়ের স্টেডিয়াম।

বিপিএলের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি হেলস ও রুশোর ১৭৪ রানের জুটি বিপিএলের তৃতীয় সর্বোচ্চ। ৪৭ বলে সেঞ্চুরি তুলে পঞ্চম দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন হেলস। আর টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয়বারের মতো এক ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরির কীর্তি দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। এর আগে ২০১১ সালে নেইল ও’ব্রায়েন ও হামিশ মার্শাল (ফ্রেন্ডস টি-টোয়েন্টিতে) এবং ২০১৬ সালে এবি ডি ভিলিয়ার্স ও বিরাট কোহলি (আইপিএলে) জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন।

হেলস, রুশোর তা-বের দিনে আড়াল ছিলেন গেইল ও এবি ডি ভিলিয়ার্স। গেইল ২ ও ডি ভিলিয়ার্স ১ রানে ফেরেন। মিথুনের ব্যাট থেকে ১৫ ও নাহিদুল ১১ রান করেন। সব মিলিয়ে রংপুরের দলীয় রান ৪ উইকেটে ২৩৯।

রংপুরের রানের পাহাড় টপকাতে শুরুতেই প্রয়োজন ছিল ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের। পাওয়ার প্লে ভালোভাবে ব্যবহার করতেই হতো। কিন্তু চিটাগং ম্যাচ হারিয়ে বসে প্রথম ৭ ওভারেই। মুশফিক ২২ রানে যখন সাজঘরে ফেরেন তখন স্বাগতিকদের রান ৩ উইকেটে ৬৭। এরপর আর ম্যাচে ফেরেনি তারা। রংপুরের দেয়ালের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান ইয়াসির আলী রাব্বী। ঘরের ছেলে ওপেনিংয়ে নেমে ৪৮ বলে করেন ৭৮ রান। ৬ চার ও ৩ ছক্কায় তার দুর্দান্ত ইনিংসে চিটাগং পরাজয়ের ব্যবধান কমায় মাত্র।

ব্যাটিংয়ের পর রংপুরের বোলাররাও ছিল দারুণ। মাশরাফি ৩৪ রানে নেন ৩ উইকেট। ২৯ রানে ২ উইকেট নেন ফরহাদ রেজা। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন অ্যালেক্স হেলস।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ