আজকের শিরোনাম :

অধরা জয়ের দেখা পেল খুলনা টাইটানস

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:৪০ | আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:৪৩

বিপিএলের ঢাকা পর্বের প্রথম অংশের খেলা শেষে কোন জয়ের দেখা পায়নি খুলনা টাইটানস।  তাই চাতক পাখির মতো এখনো একটি জয়ের অপেক্ষায় ছিল খুলনা।  অবশেষে সিলেটে গিয়ে জয়ের দেখা পেল তারা। সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে মেহেদি হাসান মিরাজের রাজশাহী কিংসকে ২৫ রানে হারিয়েছে তারা।

খুলনার দেওয়া ১২৯ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় রাজশাহী।  শুরুতেই জুনায়েদ খানের বলির পাঁঠা হয়ে ফেরেন লরি ইভানস।  দ্বিতীয় উইকেটে মুমিনুল হককে নিয়ে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠছিলেন মিরাজ।  

তবে হঠাৎই থমকে যান পয়েট অব ডায়নামো। মাহমুদউল্লাহর এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ১৬ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ রান করেন কিংস অধিনায়ক।  লড়াই বলতে ছিল কেবল সেই ইনিংসটিই।  এরপর তাইজুলের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন সৌম্য সরকার।

এর জের না কাটতেই মাহমুদউল্লাহর দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন ইনফর্ম জাকির হাসান। বিপর্যয়ের মধ্যে তাইজুলের তৃতীয় উইকেট বনে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন রায়ান টেন ডেসকাট।  এ পরিস্থিতিতে জুনায়েদের বলে ব্র্যাথওয়েটকে ক্যাচ দেন ক্রিস্টিয়ান জঙ্কার।

ফলে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু খুলনা। পরক্ষণেই ইসুরু উদানাকে ডেভিড উইজ ফেরালে স্বপ্ন আরো পোক্ত হয়। জয়ের প্রহর গুনতে শুরু করে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ধারাবাহিক বিরতিতে কামরুল ইসলাম রাব্বি রানআউট হয়ে ফিরলে জয়টা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় মাহমুদউল্লাহ বাহিনীর। একটু পরই আরাফাত সানিকে জুনায়েদ তুলে নিলে বিজয়োল্লাসে মাতেন তারা।

শেষ পর্যন্ত সবকটি উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান করতে সামর্থ্য হয় রাজশাহী।  খুলনার হয়ে জুনায়েদ ও তাইজুল নেন সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট। ২টি উইকেট ঝুলিতে ভরেন মাহমুদউল্লাহ।  ১ উইকেট শিকার করেন উইজ।

এর আগে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রানের বেশি করতে পারেনি খুলনা।  নিজেদের ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে খুলনা। টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের প্রায় সবাই-ই ভালো শুরু পেলেও নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই। জহুরুল ১৩, জুনায়েদ সিদ্দিকী ১৪ এবং ডেভিড মালান করেন ১৫ রান।

দলের বিপর্যয়ের মুখে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৯ রান। রানখরায় ভুগতে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত এদিনও কিছু করতে পারেননি। খেলেছেন ১১ রানের ইনিংস। কার্লোস ব্রাথওয়েটও ফিরে যান অল্পেই (৮)।

সপ্তম উইকেট জুটিতে ৩২ রান যোগ করে দলীয় সংগ্রহটাকে ভদ্রস্থ করেন আরিফুল হক এবং ডেভিড উইজ। আরিফুলের ব্যাট থেকে আসে ইনিংস সর্বোচ্চ ২৬ রান, উইজ আউট হন ১৩ রান করে। আরিফুলের ২৬ রানের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান আসে অতিরিক্ত খাত থেকে।  খুলনার ইনিংস থামে ৯ উইকেটে ১২৮ রানে।

রাজশাহীর পক্ষে বল হাতে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক মেহেদি মিরাজ, বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানি এবং লঙ্কান পেসার ইসুরু উদানা। এছাড়া কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান নিয়েছেন ১টি উইকেট।

এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর

এই বিভাগের আরো সংবাদ