আজকের শিরোনাম :

বসুন্ধরা কিংসের প্রথম শিরোপা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:৪০

শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মত স্বাধীনতা কাপের শিরোপা জিতলো নবাগত বসুন্ধরা কিংস। ঘরোয়া ফুটবলে এটিই তাদের প্রথম শিরোপা।

বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় শেখ রাসেল ও বসুন্ধরা কিংস। নবাগত বসুন্ধরা কিংস এই মৌসুমে দ্বিতীয় ফাইনাল খেলে প্রথম শিরোপার স্বাদ পেয়েছে। স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে দলটি হারিয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে ২-১ গোলের ব্যবধানে। যে দলটি প্রায় ৫ বছর পর ঘরোয়া ফুটবলের কোন ফাইনাল খেলতে নেমেছিল প্রথমবার।

খেলার ১৭ মিনিটেই মার্কোস ভিনিসিয়াস দ্য কস্তা সুয়ারেস দা সিলভার একক প্রচেষ্টায় লং কিক থেকে পাওয়া গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। প্রথমার্ধে শেষ মুহূর্তে ৪৬ মিনিটে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড রাফায়েলের গোলে (১-১) সমতায় ফেরে শেখ রাসেল।

নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলে ড্র থাকার পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের প্রথম ৫ মিনিটের মাথায় বক্সের ভিতর থেকে মতিন মিয়ার বাঁকানো শটে লিড নেয় বসুন্ধরা কিংস। সমতায় থাকা ম্যাচে শিরোপার পার্থক্য গড়ে দেয় এই গোলটি।

খেলার অতিরিক্ত সময়ে শেখ রাসেলের ডি-বক্সে থাকা তিন ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে আড়াআড়ি শটে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন বসুন্ধরা কিংসের ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া। তার গোলে ২-১ ব্যবধানে শিরোপা নিশ্চিত করে বসুন্ধরা কিংস।

এর আগে গ্রুপ পর্বে বসুন্ধরা কিংস ও শেখ রাসেলের মুখোমুখি লড়াইয়ে গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। বসুন্ধরা কিংস ও শেখ রাসেল উভয় দলই ছিল একই গ্রুপে। ‘ডি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট রাউন্ডে উঠে আসে বসুন্ধরা। পরে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির বিপক্ষে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে সেমিফাইনালে পা রাখে বসুন্ধরা কিংস।

অতিরিক্ত সময়ে মতিন মিয়ার গোলের পর উত্তেজনা বাড়ে আরো। এক আক্রমণে দু’বার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি বসুন্ধরা কিংস। অন্যদিকে শেখ রাসেলের একাধিক আক্রমণে প্রতিহত হয় বসুন্ধরার গোলকিপারের কাছে।

গ্রুপ পর্বে নাসিরউদ্দিন ও বখতিয়ারের গোলে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ২-০ গোলে হারানোর পর শেখ রাসেলের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বসুন্ধরা। অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ আটে উঠে তারা। একই গ্রুপ থেকে শেখ জামালের সঙ্গে ড্র করে কোনো জয় ছাড়াই অপরাজিত হয়ে শেষ আটে পা রাখে শেখ রাসেলও।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ