আজকের শিরোনাম :

বড় জয়ে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ১৪:০৪ | আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ১৪:২৯

মিরপুর টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ২১৮ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এ জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করল মাহমুদউল্লাহর দল।

৪৪৩ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনে জিম্বাবুয়ে থেমেছে ২২৪ রানে। 

জিম্বাবুয়ের সামনে জয়ের লক্ষ্য ছিল ৪৪৩ রানের। ২ উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে পঞ্চম দিনে খেলা শুরু করে তারা। তৃতীয় উইকেটে অবশ্য ভালোই প্রতিরোধ গড়েছিলেন ব্রেন্ডন টেলর আর শন উইলিয়ামস। মাত্র ২৯ রান যোগ করলেও এই উইকেটে প্রায় ১৩ ওভার কাটিয়ে দিয়েছিলেন দুজন। শেষ পর্যন্ত মোস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে উইলিয়ামস ফিরলে ভাঙে এই জুটি।

উইলিয়ামস শট খেলতে গিয়ে আউট হননি। মোস্তাফিজের বাঁ হাতের ডেলিভারিটি ডিফেন্স করতেই চেয়েছিলেন জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যান। কিন্তু বলটা যে কাটার মাস্টারের! দারুণ সুইংয়ে সেটা ঠিকই খুঁজে নিয়েছে স্টাম্প। উইলিয়ামস করেন ১৩ রান।

এর পর জিম্বাবুয়ের আরও একটি উইকেট তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। আগের ইনিংসে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বাজপাখির মতো এক ক্যাচ নিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এবার নিজের বলেই দারুণ এক ফিরতি ক্যাচ নেন বাঁহাতি এই স্পিনার।

সোজা ব্যাটে খেলতে চেয়েছিলেন সিকান্দার রাজা। ক্রিজের মধ্যেই মাটির সঙ্গে প্রায় মিশে যাওয়া বলটা দারুণ দক্ষতায় ধরে ফেলেন তাইজুল। তাতেই রাজার ১২ রানের ইনিংসের সমাপ্তি।

রাজা ফেরার পর পিটার মুরকে নিয়ে ৬৬ রানের আরেকটি জুটি গড়ে ফেলেছিলেন টেলর। বাংলাদেশ তখন বেশ অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত এই জুটিটি ভাঙেন মিরাজ। ৭৯ বলে ১৩ রান করা মুরকে শর্ট লেগে ইমরুল কায়েসের ক্যাচ বানান এই অফস্পিনার।

২ রান করে রাগিস চাকাভা হন রানআউটের শিকার। আর ডোনাল্ড তিরিপানোকে রানের খাতাই খুলতে দেননি মিরাজ। লিটন দাসের ক্যাচ হয়ে ফিরেন তিনি। এরপর সুইপ করতে গিয়ে বল উপরে তুলে দেন মাভুতা। মিরাজের চতুর্থ শিকার হয়ে শূন্য রানেই ফিরেন লোয়ার অর্ডার এই ব্যাটসম্যান।

আগের ইনিংসে তাইজুলের ৫ উইকেট আর শেষ ইনিংসে মিরাজের ৫। টেইলরের অপরাজিত শতকও ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি জিম্বাবুয়ের। নিজে অপরাজিত ছিলেন তবে যাওয়া আসার খেলা দেখেছেন সতীর্থদের। শেষ পর্যন্ত ২২৪ রানেই শেষ। দলের হয়ে দুটি উইকেট তুলে নেন তাইজুল। একটি উইকেট শিকার কররেন মোস্তাফিজুর রহমান।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ