জিম্বাবুয়ের সামনে পাহাড়সম লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:০১ | আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:৩৭
চতুর্থ দিন সকালে বাংলাদেশ দল ফলোঅন না করিয়ে আবারও ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই টপঅর্ডাররা ব্যর্থ হলেও অভিষিক্ত মোহাম্মদ মিঠুনের ফিফটি ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে সফরকারীদের সামনে পাহাড়সম লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৪ রানের ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচ জিততে জিম্বাবুয়েকে করতে হবে ৪৪৩ রান
আজ সকালের সেশনটা ছিল হতাশায় ভরা। চতুর্থ দিন জিম্বাবুয়েকে ফলোঅন না করিয়ে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। এমন সিদ্ধান্ত ছাপিয়ে সকালে আলোচনায় চলে আসে প্রথম সেশনে টপঅর্ডারের ব্যর্থতা। এ সেশনে ২৫ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ-মিঠুনের ব্যাটে সেই ধাক্কা উতরানো গেছে। তাদের ১১৮ রানের জুটিতে। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে প্রতিপক্ষকে এমনই রেকর্ড ছুড়েছে বাংলাদেশ, যা পূরণে করতে হবে বিশ্বরেকর্ড!
কিন্তু সকালের শুরুটায় তেমন কিছুর আভাস মিলিয়ে গিয়েছিলো টপঅর্ডারের ব্যর্থতায়। সকালে ২ ওপেনার ফিরে গেছেন কাইল জার্ভিসের দিনের ৫ম ওভারেই। আগের ইনিংসে বিশাল সংগ্রহের ভিত গড়ে দেওয়া মুমিনুল-মুশফিকুও ছিলেন একই দোষে দোষী।
জার্ভিসের ওভারে অযথা বাইরের বল কাট করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন ইমরুল। ইনিংস লম্বা করার বদলে অস্থিরতার খেসারত দিতে হয়েছে তাকে। বল থেকে দূরে থাকার পরেও শট খেলতে গিয়ে ফিরে গেছেন ৩ রানে। এক বল বিরতি দিয়ে জার্ভিসের ভেতরে ঢুকে পড়া বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান লিটন দাস। বিদায় নেন ৬ রানে।
একই পদাঙ্ক অনুসরণ করেন মুমিনুল হকও। আগের ইনিংসে ১৬১ রান করা মুমিনুল। তিরিপানোর বাইরের বলটাকে অযথা খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে দেন চাকাভাকে। ফিরে যান রানের খাতা খোলবার আগেই।
ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিমও একই ভুল করেছেন সকাল বেলাতেই। টেস্টে ধৈর্য্য ধারণ করার বদলে শট খেলতে গিয়ে বিদায় নেন দ্রুত। তিরিপানোর শর্ট লেন্থের বাইরের বল টেনে পুল করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন দ্রুত। ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন মাভুতার হাতে। আগের ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরিতে রেকর্ড করা মুশফিক ১৯ বল খেলে ফিরে যান ৭ রান করে।
সেই ধাক্কা সামলে উঠেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মিঠুন। অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা মিঠুন আগের ইনিংসে শূন্য রানে ফিরলেও এই ইনিংসে তুলে নিয়েছেন অভিষেক হাফসেঞ্চুরি। ৬৭ রানে উড়ো শট খেলতে গিয়ে বিদায় নিয়েছেন সিকান্দার রাজার বলে।
তার পর আরিফুলকে বোল্ড করেন শন উইলিয়ামস। নতুন নামা এই ব্যাটসম্যান তড়িঘরি সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন ৫ রানে। এই দুজনের বিদায়ের পরেও স্থির ছিলেন রিয়াদ। দ্বিতীয় সেশন শেষ হওয়ার আগেই পুঁজি সমৃদ্ধ করতে ব্যাট চালিয়েছেন। একই সঙ্গে ব্যাটে থাকা রান খরাও ঘুচিয়েছেন। প্রথম ইনিংসের মতো এমন মুহূর্তে সঙ্গ দিয়েছেন সেই মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজ অবশ্য ব্যক্তিগত ১ রানে এলবিডাব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরার পথে ছিলেন। অনফিল্ড আম্পায়ার তাকে আউট দিলে রিভিউ নিয়ে বাঁচেন মিরাজ। অপরাজিত থাকেন ২৭ রানে। ১২২ বল খেলা মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ১০১ রানে। যেখানে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছয়। এই ইনিংসেও জিম্বাবুয়ের পেসাররা ছিলেন সফল। দুটি করে উইকেট নেন ডোনাল্ড তিরিপানো ও কাইল জার্ভিস। একটি করে উইকেট শন উইলিয়ামস ও সিকান্দার রাজা। এবিএন/সাদিক/জসিম
তার পর আরিফুলকে বোল্ড করেন শন উইলিয়ামস। নতুন নামা এই ব্যাটসম্যান তড়িঘরি সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন ৫ রানে। এই দুজনের বিদায়ের পরেও স্থির ছিলেন রিয়াদ। দ্বিতীয় সেশন শেষ হওয়ার আগেই পুঁজি সমৃদ্ধ করতে ব্যাট চালিয়েছেন। একই সঙ্গে ব্যাটে থাকা রান খরাও ঘুচিয়েছেন। প্রথম ইনিংসের মতো এমন মুহূর্তে সঙ্গ দিয়েছেন সেই মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজ অবশ্য ব্যক্তিগত ১ রানে এলবিডাব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরার পথে ছিলেন। অনফিল্ড আম্পায়ার তাকে আউট দিলে রিভিউ নিয়ে বাঁচেন মিরাজ। অপরাজিত থাকেন ২৭ রানে। ১২২ বল খেলা মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ১০১ রানে। যেখানে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছয়। এই ইনিংসেও জিম্বাবুয়ের পেসাররা ছিলেন সফল। দুটি করে উইকেট নেন ডোনাল্ড তিরিপানো ও কাইল জার্ভিস। একটি করে উইকেট শন উইলিয়ামস ও সিকান্দার রাজা। এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ