আজকের শিরোনাম :

নতুন করে শিরোনামে মেসুত ওজিল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০১৮, ০০:১৪

গোটা ফুটবল দুনিয়াকে বিস্ময় উপহার দিয়ে আচমকা জার্মানিকে বিদায় বলেছিলেন মেসুত ওজিল। অবসরের ঘোষণার সময় রীতিমতো ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন বিশ্বজয়ী মিডফিল্ডার। বিদায়বার্তায় জার্মান ফুটবলকর্তাদের বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ এনে ফুটবল বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিলেন ওজিল।

এনিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। বিতর্ক শেষ হয়েও যেন শেষ হচ্ছে না। কদিন পরপরই প্রসঙ্গটা সামনে চলে এসেছে। এর মধ্যেই নতুন করে শিরোনামে এলেন ওজিল। কারোর বিরুদ্ধে তীর্যক মন্তব্য করে নয়। কিংবা বিতর্কিত কোনো কথাও বলেননি তিনি। বরং জার্মানির জন্য শুভ কামনা জানিয়েছেন ওজিল।

কয়েক মাসের বৈরিতা ভুলে শান্তির পায়রা ওড়ালেন আর্সেনাল মিডফিল্ডার। সমর্থন দিয়ে গেলেন জার্মানি ফুটবল দলকে। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ওজিল লিখেছেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি জার্মানি ফুটবল দলকে সমর্থন দিয়ে আসছি। এখনো ওখানে আমার অনেক বন্ধু খেলছে। অবশ্যই আমি এখনো এই দলটাকে সমর্থন দিচ্ছি।’

জার্মানিতে জন্ম, বেড়ে ওঠা হলেও ওজিলের পূর্ব পুরুষরা তুর্কি বংশোদ্ভূত। স্বাভাবিকভাবেই তুরস্কের প্রতি তার একটা দুর্বলতা আছে। সেটা প্রকাশ পেয়েছে গেল মে মাসে লন্ডনের একটি অনুষ্ঠানে। যেখানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এর্দোয়ানকে আর্সেনালের একটি জার্সি উপহার দিয়েছেন ওজিল।

তার জাতীয় এবং ক্লাব সতীর্থ ইকেই গান্ডোগানও তুরস্কের প্রেসিডেন্টের হাতে নিজের একটি জার্সি তুলে দেন। আর্সেনালের দুই তারকাই আলাদাভাবে ফটোসেশন করেছিলেন এরদোয়ানের সঙ্গে। ছবিগুলো আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় বিতর্ক। বিতর্কটা বেশি হলো ওজিলকে নিয়েই।

জার্মান ফুটবলের সর্বোচ্চ কর্তাদের দাবি- রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এমনটা করেছেন ওজিল। আর্সেনাল তারকার মাঠে নিবেদন নেই বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন তারা। এই ঘটনায় অনেক রথী-মহারথীকেই পাশে পেয়েছিলেন ওজিল। এমনকি জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তিরাও সমবেদনা জানিয়েছিলেন আর্সেনাল তারকাকে। জানানোরই কথা, জার্মানিকে অনেককিছুই দিয়েছেন ওজিল। ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ে এই মিডফিল্ডারের অবদান যে অনস্বীকার্য।

জার্মানিকে বিদায় বলা ওজিল তুরস্ক জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা নতুন করে শুরু করতে পারেন বলে গুঞ্জন ছিল। গুজবটা ওজিল নিজেই মাটি চাপা দিয়েছেন। টুইটারে লিখেছেন, ‘(তুরস্কে খেলা) না কখনোই না।’

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ