আজকের শিরোনাম :

আল জাজিরার তথ্যচিত্রে স্পট ফিক্সিংয়ের তালিকায় বাংলাদেশের ম্যাচ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:২৫

ফের স্পট ফিক্সিং নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র সম্প্রচার করেছে আল জাজিরা। প্রামাণ্যচিত্রের প্রথম পর্ব দিয়েই তারা ক্রিকেট বিশ্ব কাঁপিয়ে দিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব। এবার সম্প্রচার করলো দ্বিতীয় পর্ব। এ পর্বে তারা নির্দিষ্ট করে ১৫টি ম্যাচে স্পট ফিক্সিং হয়েছে বলে দাবি করেছে। এরমধ্যে বাংলাদেশের একটি ম্যাচও আছে। তবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার।

 এই তথ্যচিত্রে বলা হয়েছে, ২০১১-১২ মৌসুমে ১৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ৭টিতে ইংল্যান্ড আর ৫টিতে জড়িয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। তিনটি ম্যাচে পাকিস্তানের ক্রিকেটার এবং একটি ম্যাচে অন্য কোন একটি দলের ক্রিকেটার স্পর্ট ফিক্সিংয়ে জড়িত ছিল।

তারমধ্যে ২০১১ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে হওয়া বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের ম্যাচটিও রয়েছে। গ্রুপ পর্বের ওই ম্যাচে ২ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ।

নতুন পর্ব সম্প্রচারের পর আইসিসি তথ্যচিত্রের সম্পাদনা ছাড়া অংশগুলো দেখাতে অনুরোধ করেছে আলজাজিরা কর্তৃপক্ষের কাছে।

তবে আলজাজিরার এমন দাবিতে সহমত নয় ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। তারা দাবি করেছে, আল জাজিরার দেওয়া তথ্য খুবই দুর্বল। তারা বলেছে, বিষয়গুলো যাচাই করে তারা কোনও ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে তারা কোনও অভিযোগের প্রমাণ পায়নি।

আইসিসি অবশ্য অভিযোগগুলো গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে বলে বিবৃতি দিয়েছেন আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিটের জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল, ‘ক্রিকেটের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে আইসিসি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আপনাদের প্রত্যাশা মতো আমরা অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখবো।’ 

আল জাজিরা এর আগেও গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজ সম্প্রচার করেছে। দ্বিতীয় পর্বেও প্রথম পর্বের মতো অনিল মুনাওয়ারকে মোক্ষম অস্ত্র বানিয়ে তথ্যচিত্র বানিয়েছে আল জাজিরা। প্রথম পর্বে তার দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে ফিক্সিং তথ্যগুলো পাওয়া গিয়েছিল।

আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের ডি কোম্পানির সদস্য বলেই পরিচিত মুনাওয়ার। গত পর্বে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বলা হয়েছিল, ২০১৬ সালে চেন্নাই টেস্ট ও ২০১৭ সালে রাঁচি টেস্টে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়েছিল ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু ক্রিকেটার। সেখানে ভারতীয় ক্রিকেটারের সংশ্লিষ্টতার কথা দাবি করা হয়নি।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ