আজকের শিরোনাম :

আগামীকাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০১৮, ২০:৩৬

২০০৫ সালের পর থেকে দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের কাছে কোন ওয়ানডে সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। সেই রেকর্ড ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নামছে মাশরাফির দল। সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদি বাংলাদেশ। তবে সিরিজের শুরুটা ভালোভাবে করতে চায় টাইগাররা। অন্যদিকে, সিরিজে ভালো করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বেলা আড়াইটায় শুরু হবে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে।

দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আটটি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে ১টি বাদে সবগুলোই জিতেছে টাইগাররা। নিজেদের মাটিতে ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বপ্রথম ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় টাইগাররা। তবে এরপর আর কোন ওয়ানডে সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। তাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে দুর্দান্ত রেকর্ডটি ধরে রাখার মিশন টাইগারদের।
তবে এই ধরে রাখার মিশনে বাংলাদেশকে নামতে হচ্ছে দলের দুই সেরা খেলোয়াড়কে ছাড়া। আঙ্গুলের ইনজুরির কারনে এই সিরিজে দলে নেই সাকিব আল হাসান। কব্জির ইনজুরির কারনে খেলতে পারবেন না তামিম ইকবাল। তারপরও দলের যারা আছেন, তাদের নিয়ে যে লড়াই করার যায় সেটি দেখিয়েছেন বাংলাদেশের দলনেতা মাশরাফি বিন মর্তুজা।

গেল মাসে শেষ হওয়া এশিয়া কাপে সাকিব-তামিমকে ছাড়াই ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই হাতে ইনজুরিতে পড়েন তামিম। এরপর আর কোন ম্যাচই খেলতে পারেননি তিনি। তবে হাতের ইনজুরি নিয়ে এশিয়া কাপে চার ম্যাচ সার্ভিস দিয়েছেন সাকিব। সুপার ফোরে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ থেকে মাঠে নামতে পারেননি তিনি । সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। ফাইনালে সাকিব-তামিমকে ছাড়াই দুর্দান্ত লড়াই করেছে টাইগাররা। শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ।

ঐ সিরিজের দুর্দান্ত পারফরমেন্স সাহস যোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। এটি বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ব্যাট-বল হাতে জ্বলে উঠতে হবে দলের খেলোয়াড়দের। বিশেষভাবে সাকিব-তামিমের শুন্য স্থান পূরণের কাজটা দায়িত্ব নিয়েই করতে হবে মুশফিকুর রহিম-মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ-মোহাম্মদ মিথুনদের।

নতুন মুখ ফজলে মাহমুদের দিকেও চোখ থাকবে। কারন বাঁ-হাতে ব্যাটিং ছাড়াও, বল হাতে ঘুড়াতে পারদর্শী তিনি। ঘরোয়া আসরে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ৬৮ ম্যাচে ৭টি সেঞ্চুরি ও ১৭টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৩৭১৫ রান করেছেন ফজলে। বল হাতে ২৮ উইকেট শিকার রয়েছে তার। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৮০ ম্যাচে ৪টি সেঞ্চুরি ও ১২টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ২২০০ রান করেন ৩০ বছর বয়সী ফজলে। বল হাতে ২৭ উইকেটও নিয়েছেন তিনি। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো কিছু করতে পারেননি রাব্বি।

পক্ষান্তরে চলতি বছর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একেবারেই ফ্লপ জিম্বাবুয়ে। একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ, তিনটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ ও বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে অংশ নিয়ে সাফল্যের স্বাদ পায়নি। বাংলাদেশ থেকেই এ বছর আন্তর্জাতিক লড়াই শুরু করে জিম্বাবুয়ে। শ্রীলংকার সাথে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করে ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয় তারা। এরপর আফগানিস্তানের কাছে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হারে আফ্রিকার দলটি। ঐ সিরিজ হারের ক্ষত নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে খেলতে নেমে ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করে তারা। বিশ্বকাপে খেলার ছাড়পত্র পায়নি জিম্বাবুয়ে। এরপর পাকিস্তানের কাছে ৫-০ ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারে জিম্বাবুয়ে।

২০১৫ সালে বাংলাদেশের মাটিতে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে অংশ নেয় জিম্বাবুয়ে। ঐ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় তারা। তাই সাম্প্রতিক সময়ের পারফরমেন্স থেকে আত্মশ্বিাসী হবার কোন রসদই নেই জিম্বাবুয়ের। তবে এবারের সফরে সিকান্দার রাজাসহ সিনিয়র খেলোয়াড়রা দলে ফেরায় দলটি বেশ অভিজ্ঞ। তাই নিচেদের সেরা পারফরমেন্স দিয়ে টাইগারদের বিপক্ষে ভাল কিছু করতে আশাবাদী জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশ দল : মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), লিটন দাস, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, আবু হায়দার, আরিফুল হক, ফজলে মাহমুদ, ইমরুল কায়েস, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ মিথুন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুশফিকুর রহিম, মুস্তাফিজুর রহমান, নাজমুল হোসেন শান্ত, নাজমুল ইসলাম ও রুবেল হোসেন।

জিম্বাবুয়ে দল : হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (অধিনায়ক), তেন্ডাই চাতারা, এলটন চিগুম্বুরা, ক্রেইগ আরভিন, কাইল জার্ভিস, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্রেন্ডন মাভুতা, সলোমন মির, পিটার মুর, তারিসাই মুসাকান্দা, রিচার্ড এনগারাভা, জন নিয়ুম্বু, ব্রেন্ডন টেইলর, ডোনাল্ড তিরিপানো, সিন উইলিয়ামস ও চেপাস ঝুয়াও।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ