আজকের শিরোনাম :

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল

লাওসকে হারিয়ে শুভসূচনা বাংলাদেশের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৩৪

শক্তিশালী লাওসকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভসূচনা করেছে বাংলাদেশ। সোমবার সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে লাওসকে ১-০ গোলে পরাজিত করেছে জামাল বাহিনী। স্বাগতিক দলের হয়ে জয় সূচক একমাত্র গোলটি করেছেন বিপলু। 

আগামী শুক্রবার ফিলিপাইনের বিপক্ষে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এর আগেই অবশ্য ফিলিপাইনের মুখোমুখি হবে লাওস। ওই ম্যাচে লাওস পয়েন্ট খোয়ালেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের।

গত ২৭ মার্চ ভিয়েনতিয়েনে প্রীতি ম্যাচে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ২-২ ড্র করে আসতে পেরেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। জেতার সমান এক ড্র। ওই ড্রয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়েই সোমবার মাঠে নামে বাংলাদেশ। বারো আউলিয়ার শহর সিলেট স্টেডিয়াম শুরুতেই গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। তবে সুফিল জায়গা মতো না থাকাতে গোল হয়নি। পরের দুই মিনিটে লাওসের বক্সের আশপাশেই ঘুরেছে বল। ম্যাচের ১১ মিনিটে ওয়ালি ফয়সালের ট্রু পাস এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জীবনের নেয়া শট সাইড পোস্ট ঘেসে বাইরে চয়ে যায়। পরের মিনিটে আবারও জীবনের কাটব্যাক সুফিলের ব্যাকহীল কর্নারে রক্ষা করেন লাওসের এক ডিফেন্ডার।

ম্যাচের ২৩ মিনিটে সুবর্ণ এক সুযোগ নষ্ট করেন রবিউল হাসান। বিপলু আহম্মেদের মাইনাসে ফাকায় দাঁড়িয়েও মাথা ছোয়াতে ব্যর্থ হন এই ফরোয়ার্ড। ২ মিনিট পরেই ওয়ান টু ওয়ানে গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল বাইরে মারেন সুফিল। জামাল ভূঁইয়ার লম্বা পাসে জীবনও সুযোগ পেয়েছেন। তরিঘড়ি করে এ ফরোয়ার্ড যা করলেন তা ছিল ক্ষমার অযোগ্য। ৩৩ মিনিটে প্রথম কর্ণার পায় লাওস। সুফিল বিপলুর ভুলে কাউন্টার আক্রমণে গিয়ে কর্ণার আদায় করে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৬৯ নাম্বারে থাকা লাওস। কর্ণারে সুবিধা আদায় করতে না পারলেও পরের মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে গোলের সুযোগ তৈরী করেছিল লাওস। মাঝমাঠ থেকে একাই বল নিয়ে বক্সে ডোকেন বনকং। দুই ওয়ালি তপুকে বোকা বানিয়ে তার নেয়া শট ডাকদিনে ঝাঁপিয়ে পরে রক্ষা করেন গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা।

ম্যাচের ৪৭ মিনিটে আবারো সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সুফিল। ওয়ালির বাড়ানো বল দুজনকে কাটিয়ে সুফিলকে দেন জীবন। আগুয়ান গোলরক্ষককে একা পেয়ে বাইরে মারেন এই ফরোয়ার্ড। পরের মিনিটে স্বাগতিক দর্শকদের মনে ভয় ধরিয়ে দেন লাওসের ফরোয়ার্ড নাতপাসাউক। ম্যাচের ৬০তম মিনিটে কাক্সিক্ষত গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। সুফিলের বাড়ানো বল নিয়ে বক্সে ডোকেন জীবন। দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে তার নেয়া শট এক ডিফেন্ডারে গায়ে লেগে ফিরে আসে ফিরতি বলে আবার হেড করেন জীবন, তার হেড গোলরক্ষকের হাতে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে লাওসের ডিফেন্ডার কাটাতে ব্যর্থ হলে ডাকদিনে পেয়ে যান বিপলু। জটলার মধ্যে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন এই ফরোয়ার্ড (১-০)।

অথচ সাফের স্কোয়াডেই ছিলেন না রবিউল। ম্যানেজমেন্টের ভুলে বাড়তি এক গোলরক্ষকে জায়গা দিতে গিয়ে শেষ মুহূর্তে দল থেকে বাদ পড়েন রবিউল। আজ গোল করার পরই এই ফরোয়ার্ডকে উঠিয়ে জাফর ইকবালকে মাঠে নামান কোচ জেমি’ডে। জাফর মাঠে নামায় গতি বাড়ে ম্যাচে। তবে ইব্রাহিম জীবন এই সুযোগ থেকে সুবিধা আদায় করতে পারেননি। উল্টো ম্যাচের ৮৪ মিনিটে বক্সের বাইরে ফাউল করে বসেন। তবে বিপজ্জনক অবস্থানে পাওয়া এই ফ্রিকীক থেকে বাড়তি সুবিধা আদায় করতে পারেনি লাওস। লাওসের কর্নারে প্রতিআক্রমণে যায় বাংলাদেশ। জামাল ভুইয়ার বাড়িয়ে দেয়া বল ধরে ইব্রাহিমের দেয়া টোকা একটু জোরে হয়ে যাওয়াতে এগিয়ে এসে দারুণ সেভ করেন লাওসের গোলরক্ষক পাসিউথ।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ