হাথুরুর বিশ্বাসঘাতকতার শিকার আমি: ম্যাথিউজ
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:৪৪
পাঁচবারের শিরোপা জয়ী শ্রীলঙ্কার এমন হার, যেন একটু নয় অনেকটাই বুকে বিঁধে আছে লঙ্কানদের। এশিয়া কাপের একটি ম্যাচেও জিততে পারেনি তারা, বরং আফগানিস্তানের কাছে শোচনীয় হারে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে লঙ্কানদের। তখনই ধারণা করা হয়েছিল, হতে পারে বিশাল পরিবর্তন, যার প্রমাণ মিলল ম্যাথুসের নেতৃত্ব হারানোতে।
তবে ব্যাপারটি চুপেচুপে মেনে নিলেও এর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বোর্ডের প্রধান নির্বাহীর কাছে তার পাঠানো এক চিঠিতে, যেখানে তিনি জানিয়েছেন হাথুরুর বিশ্বাসঘাতকতার শিকার তিনি। এছাড়া তাকে বলির পাঁঠাও বানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
চিঠিতে ম্যাথুস লিখেছেন, ‘গত ২১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার এসএলসিতে এক বৈঠকে নির্বাচকমণ্ডলী এবং জাতীয় দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে উপস্থিত ছিলেন। তারা আমাকে শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলেন। তাৎক্ষণিকভাবে বিস্মিত হয়েছি এবং আমার মনে হয়েছে, এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে গোটা শ্রীলঙ্কা দলের বাজে পারফরম্যান্সের খেসারত হিসেবে আমাকে বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে। আমি দায় নিতে প্রস্তুত তবে শুধু আমার ওপর দায় চাপালে সেটি বিশ্বাসঘাতকতা এবং আমাকে সরানোর চেষ্টা বলেই মনে হয়।’
ম্যাথুস তার চিঠির পরের লাইনে টেনে এনেছেন নির্বাচকমণ্ডলী এবং দলের হেড কোচের প্রসঙ্গ। ‘আপনি জানেন, নির্বাচকমণ্ডলী এবং হেড কোচের সঙ্গে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতেই সব ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর তাই হারের দায় শুধু অধিনায়কের ওপর চাপানো উচিত—এই যুক্তির সঙ্গে আমি একমত নই। যদিও নির্বাচকমণ্ডলী ও হেড কোচ আমাকে সরে দাঁড়ানোর যে কথা বলেছেন, তা আমি মন থেকেই সম্মান করি।’
ম্যাথুসের এই চিঠি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেরই ধারণা, নির্বাচকমণ্ডলী ও হাথুরুসিংহে তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে ইঙ্গিত করেছেন সাবেক এই লঙ্কান অধিনায়ক। অনেকেই ধারণা করছেন বাংলাদেশ দলের কোচ থেকে সড়ে দাঁড়ানোটাও হয়তো অস্বাভাবিক কিছু ছিল।
এবিএন/মমিন/জসিম