আজকের শিরোনাম :

অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:২৮

বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মেয়েদের ম্যাচটি ছিল অলিখিত ফাইনাল।  সমান পয়েন্ট ও সমান গোলগড় থাকায় দুই দলের সামনেই ছিল গ্রুপসেরা হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার লক্ষ্য।  

ভিয়েতনামকে ২-০ গোলে হারিয়ে আসরে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লাল সবুজের মেয়েরা।  দুই বছর আগেও ঢাকায় এএফসি’র এই বাছাই আসরে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশের কিশোরা। খেলেছিল মূল পর্বে।

এবার অবশ্য সরাসরি মূল পর্বে নয়।  দল বাড়ায় বদলেছে টুর্নামেন্টের ফরম্যাট। মূল পর্বের আগে ছয় গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও দুই সেরা রানার্সআপ নিয়ে হবে দ্বিতীয় পর্ব। আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে সেই আসর। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেই আসরে পা দিল কিশোরীরা।

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় শুরু হয় খেলা। ভিয়েতনাম আসলে বাংলাদেশের বড় পরীক্ষা নিতে পারেনি। তবে ম্যাচটা চাপের ছিল বলেই হয়তো বাংলাদেশকে গোল পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে তহুরা এবং দ্বিতীয়ার্ধে আঁখি খাতুন গোল করে বাংলাদেশের জয় ছিনিয়ে এনেছেন।

পুরো ম্যাচে অফসাইডে জড়িয়ে বেশ ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশকে। মোট ৩টি গোল বাংলাদেশের বাতিল হয়েছে অফসাইডে। যার একটি নিয়ে অবশ্য ঘোরতর আপত্তি আছে অনেকের।

এ ম্যাচে তিনটি পরিবর্তন এনে মাঠে নামে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করলেও এম্যাচে প্রথম একাদশে সুযোগ পাননি আনুচিং মগিনি।  বিশ্রাম পাওয়া অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা ফিরেন নিলুফার জায়গায়।  রোজিনার জায়গায় ফিরে আসেন ঋতুপন্না চাকমা।

প্রথম থেকেই বাংলাদেশে খেলেছে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে।  তবে ভিয়েতনামের রক্ষণ ছিল বেশ আটোসাটো।  যে কারণে বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডদের বেশ পরীক্ষা দিতে হয়।

খেলার ৩৮ মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়র বল জালে জড়ালেও অস্ট্রেলিয়ান রেফারি তা অফসাইডে বাতিল করেন।

তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ডান প্রান্ত থেকে আনাই মগিনির ক্রস ভিয়েতনাম গোলরক্ষক গ্রিপ করতে পারেননি। সেখানে থেকে ডি-বক্সে বল পেয়ে যান শামসুন্নাহার জুনিয়র। গোল মুখে তার আলতো টোকায় তহুরা মাথা ছোঁয়ালে বল জালে জড়ায়।

দ্বিতীয়ার্ধেও সেই গোলের জন্য মরিয়া বাংলাদেশকেই দেখা যায়। ৫৬ মিনিটে ঋতুপন্নার চমৎকার এক ক্রস ভিয়েতনাম গোলরক্ষক বাঁ দিকে ঝাপিয়ে রক্ষা করেন। ৫৯ মিনিটে তহুরা বল জালে জড়ালেও রেফারি তা অফসাইডে বাতিল করেন।

এরপর ৬৩ মিনিটে আঁখির গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাংলাদেশ। কর্নার কিক থেকে শামসুন্নাহার জুনিয়রের হেড প্রথমে পোস্টে লেগে ফিরলে আঁখির শট নেন ফিরতি বলে। সেটি গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলেও পরের বার বল জালে জড়িয়ে দেন এই ডিফেন্ডার।

পরে তহুরার আরেকটি গোল অফসাইডে বাতিল হলে বাংলাদেশকে ২-০ গোলের জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।

বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাহরাইনকে ১০-০, দ্বিতীয় ম্যাচে লেবাননকে ৮-০ আর তৃতীয় ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয়। অর্থাৎ বাংলাদেশ ৪ ম্যাচে মোট গোল করেছে ২৫টি।  বিপরীতে হজম করেনি একটি গোলও।

এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর

এই বিভাগের আরো সংবাদ