আজকের শিরোনাম :

মানুষের উচিত তামিমকে সব সময় মনে রাখা : মাশরাফি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৫৫

চারদিকে প্রশংসার বৃষ্টি। ক্রিকেট ইতিহাসে বিরল একটি জায়গায় পৌঁছে গেলেন তামিম ইকবাল। দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে অধিষ্ঠিত করলেন দারুণ এক সম্মানের আসনে। বাংলাদেশের মানুষ যে হারতে জানে না, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করতে জানে, সেটা দেখিয়ে দিলেন তামিম ইকবাল। স্লিংয়ে ঝোলানো হাত, এই অবস্থায় এক হাত দিয়ে ব্যাট করতে নেমে গেলেন মাঠে। শুধু দেশ এবং দলের প্রয়োজনে।

পুরো দলকে আত্মবিশ্বাসে ভাসিয়েছেন। উজ্জীবনী শক্তি এনে দিয়েছেন দলের প্রতিটি ক্রিকেটারের মধ্যে। যে কারণে ম্যাচটিতে বাংলাদেশ জিতেছে ১৩৭ রানের বিশাল ব্যবধানে। ম্যাচ শেষে বিজয়ী দলের অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি বিন মর্তুজা প্রশংসা করলেন তামিমের। 

ম্যাচ শেষে মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছেন, এ ইনিংসের জন্য মানুষের উচিত তামিমকে অনেক দিন মনে রাখা।

দুবাইয়ে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে শনিবার ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সুরাঙ্গা লাকমলের বাউন্সার পুল করতে গিয়ে হাতে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন তামিম। মাঠ থেকে তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালে। করানো হয় এক্স-রে। এক্স-রে রিপোর্টে তার কবজিতে চিড় ধরা পড়ে। কমপক্ষে ছয় সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে। মানে এশিয়া কাপ শেষ! তখনো কে জানত, ঘণ্টা দুয়েক পরই দেখা যাবে অবিশ্বাস্য এক দৃশ্য।

বাংলাদেশের তখন নবম উইকেট পড়ে গেছে। মুস্তাফিজুর রহমান ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ৯ উইকেটে ২২৯। তামিম আর খেলতে পারবেন না বলে বাংলাদেশের ইনিংসের শেষ ভাবা হচ্ছিল সেখানেই। কিন্তু একি, একটু আগেও যিনি স্লিংয়ে হাত ঝুলিয়ে ড্রেসিং রুমে ছিলেন, সেই তামিম ব্যাট হাতে আবার নামছেন মাঠে! ধারাভাষ্যকাররাও যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না!

তামিম মাঠে নেমে খেলেছেন মাত্র এক বল। সেটাও আবার এক হাতে। তবে তার ওই এক বলের বীরত্বেই বাংলাদেশের স্কোরকার্ডে যোগ হয় আরো ৩২ রান। তামিমকে একপাশে রেখে পরের ১৫ বল একাই খেলেছেন মুশফিক। তাতে বাংলাদেশের স্কোর ২২৯ থেকে পৌঁছে যায় ২৬১ রানে। বাংলাদেশের ১৩৭ রানের জয়ে তাই তামিমের নামটা আলাদা করেই লেখা থাকবে।

ম্যাচ শেষে তাই পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তামিম বন্দনা ঝরল অধিনায়ক মাশরাফির কণ্ঠে, ‘আমি শুধু ওকে নিয়ে একটা কথাই বলতে পারি, মানুষের ওকে সব সময় মনে রাখা উচিত।’

১ রানে ২ উইকেট আর তামিমের ফিরে যাওয়ার পর তৃতীয় উইকেটে মুশফিক ও মোহাম্মদ মিথুনের ১৩১ রানের জুটি গড়ে দেয় বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের ভিত। মুশফিক খেলেছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা ১৪৪ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। ৬৩ রান করা মিথুনের অবদানও কম নয়।

মাশরাফি তাই আলাদা করে বললেন মুশফিক-মিথুন জুটির কথাও, ‘মুশফিক ও মিথুনের প্রতি কৃতজ্ঞতা। শুরুতে দুই উইকেট হারালে সব সময়ই চাপ থাকে। কিন্তু চাপের মধ্যে ওরা সত্যিই খুব ভালো ব্যাট করেছে। মিথুন তো তাও ভুল সময়ে আউট হয়েছে, ওই সময়ে ও আউট না হলে রানটা ২৮০-২৯০ হতে পারত।’

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ