আজকের শিরোনাম :

ফুটবলার বোল্টের যাত্রা শুরু

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৫৮

আগাম ঘোষণাটাই সত্যি হলো। পূর্ব ঘোষণা মতো শুক্রবার অভিষেক হলো ফুটবলার উসাইন বোল্টের পেশাদার ক্যারিয়ারের। মানে স্প্রিন্টার বোল্টের নামের সঙ্গে পাকাপাকিভাবেই জুড়ে গেল ‘ফুটবলার বোল্ট’ খেতাব। 

আগেই জানানো হয়েছিল শুক্রবার সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্সের হয়ে প্রাক-মৌসুম প্রীতি ম্যাচটাতে খেলবেন বোল্ট। মেরিনার্সের কোচ মাইক মালভে স্পষ্ট করেই বলেছিলেন, শুক্রবার সেন্ট্রাল কোস্টের নির্বাচিত একাদশের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়েই পেশাদার ফুটবলে অভিষেক হতে যাচ্ছে বোল্টের। ৩২ বছর বয়সী বোল্ট নিজেও দিয়েছিলেন অভিষেকের ইঙ্গিত। হলোও সেটাই।

কোচ মাইক মালভের ইঙ্গিত মতোই শুক্রবার ম্যাচের ৭২ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন বোল্ট। সঙ্গে সঙ্গেই তার নামটি উঠে যায় পেশাদার ফুটবলারের খাতায়। ৭২ মিনিটে নেমে ম্যাচের বাকি সময়টুকু খেলেছেন বোল্ট। মানে অভিষেক তিনি মাঠে কাটিয়েছেন ১৮ মিনিট।

অভিষেক ম্যাচটায় বোল্ট খেললেন বা উইঙ্গার হিসেবে। না, নতুন ক্যারিয়ারের যাত্রায় বোল্ট গোল পাননি। তবে প্রথম পদক্ষেপেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, ফুটবলার হিসেবে নাম কামানোর জন্য প্রস্তুত তিনি! গতি আর শারীরিক উচ্চতা দিয়ে বেশ কয়েকবারই প্রতিপক্ষ রক্ষণকে কাঁপিয়ে দিয়েছেন তিনি। বেশ কয়েকবারই বল নিয়ে ঢুকে পড়েছেন প্রতিপক্ষের বিপদ সীমানায়। তিন তিন বার পরীক্ষা নিয়েছেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকেরও। দুবার হেড করে। একবার জোরালো শটে।

ভাগ্য আর একটু ভালো হলে অভিষেকে গোলও পেতে পারতেন। ম্যাচের শেষ দিকে দূরূহ কোণ থেকে তার জোরালো শটটি ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। মানে অভিষেকেই তাকে পুরতে হয়েছে ‘মিস রোমাঞ্চের’ আগুনে। নিজে গোল না পেলেও অভিষেকেই জয়ের সুবাস গায়ে মেখেছেন বোল্ট। তার দল মেরিনার্স ম্যাচটা দিয়েছে ৬-১ গোলে।
ডেব্যুট্যান্ট বোল্টের পারফরম্যান্সে খুশি মেরিনার্সের কোচ মাইক মালভে। খুশি দর্শকেরাও। তবে কোচ-দশর্কদের চেয়েও বেশি খুশি বোল্ট নিজে।

ম্যাচ শেষে ফক্স স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ৮টি অলিম্পিক সোনাজয়ী বোল্ট স্পষ্ট করেই বলেন, ‘মাঠে নামার সময়টায় আমি কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। তবে মাঠে দ্রুতই তা কেটে যায়। শেষ দিকে আমি বেশ স্বস্তি বোধ করেছি।’

উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন আঁকিয়ে বলেন, আমি মনে করি, আমি খুব ভালো করব। সম্ভবত পেশাদার ফুটবলের কঠিন চ্যালেঞ্জের সঙ্গে মানিয়ে নিতে দুটি মাস লাগবে। দুই মাস পর আমি পুরো ফিট হয়ে যাব। আর ৪ মাস পর আমি হব দলের অন্যতম অপরিহার্য সদস্য।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ