আজকের শিরোনাম :

সারাদেশে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২০, ২১:০৩

নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। অপরিবর্তিত রয়েছে রয়েছে জামালপুর, টাঙ্গাইল, কুড়িগ্রামের পরিস্থিতি; তবে কিছুটা উন্নতি সুনামগঞ্জ ও লালমনিরহাটে।

পানিবন্দি আছে লাখো মানুষ। বন্যার পানিতে ডুবে জামালপুরে তিনজন, দিনাজপুরে একজন ও কুড়িগ্রামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বেড়েই চলেছে যমুনা নদীর পানি। এতে সিরাজগঞ্জের সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।  

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের একজন বলেন, ‘ঘরবাড়ি সব তলায় গেছে, গরু-ছাগল নিয়া বিপদে পড়েছি। সবাইকে নিয়ে রাস্তায় এসে পড়ছি। এভাবে আর কতদিন থাকতে হবে আল্লাহ জানে।’  

এদিকে জামালপুরেও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে, পানিবন্দি হয়ে আছেন ৩ লাখেরও বেশি মানুষ। বিভিন্ন সড়কে পানি উঠায় বন্ধ হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। টাঙ্গাইলে পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও ঝুঁকিতে রয়েছে যমুনার পূর্ব তীর রক্ষা বাঁধ। দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। 

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি সামান্য কমলেও ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। অনেকের হাতে কাজ ও ঘরে খাবার না থাকায় অনাহারে দিন পার করছেন।  

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ আরেক ব্যাক্তি বলেন, ‘পানির মধ্যে পড়ে আছি, বাচ্চা-কাচ্চা নিয়া খুব কষ্ট হচ্ছে। সব জায়গাতেই পানি আমাদের অনেক বিপদ হয়ে গেছে। বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে।’

অপরদিকে, গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সুন্দরগঞ্জ, সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটার বিস্তীর্ণ এলাকার বাসভাসীরা খাবার, সুপেয় জলের অভাবসহ নানা সংকটে রয়েছেন।

সুনামগঞ্জে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও আবারো ভারি বৃষ্টিপাতে বড় আকারের বন্যার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। হাওড় থেকে পানি না নামায় এখনো পানিবন্দী অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। 

সিলেটে সুরমা, কুশিয়ারাসহ অন্যান্য নদীর পানি কমতে থাকায় কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের পানি নেমে যাচ্ছে।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ