আজকের শিরোনাম :

রাজধানীর ৬ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২০, ১৭:০১

সরবরাহ লাইনে আগুন ধরে যাওয়ায় রাজধানীর পশ্চিমের বেশ কয়েকটি এলাকায় গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে।শুক্রবার (২৬ জুন) দুপুর পর্যন্ত মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমণ্ডির আংশিক, শ্যামলী ও কল্যাণপুরে গ্যাস বন্ধ থাকছে বলে রাষ্ট্রায়ত্ত বিতরণ কোম্পানি তিতাস জানিয়েছে।

কোম্পানির জনসংযোগ কর্মকর্তা মির্জা মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সকালে পশ্চিম শেওড়াপাড়া এলাকায় ওয়াসার পানির লাইনের কাজের সময় গ্যাসের লাইন ফেটে আগুন ধরে যায়। গ্যাস লাইনে আগুন লাগার পর তা আর নেভানো যাচ্ছিল না। তাই আগুন নেভাতে গাবতলী ডিআরএস বন্ধ করতে হয়। ফলে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি আংশিক, শ্যামলী ও কল্যাণপুরে দুপুর পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

এর আগে সকালে আগুন লাগার সাড়ে তিনঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় গ্যাস লাইনের আগুন। ভোর চারটার দিকে ওয়াসার পানির লাইনের সংস্কারের সময় গ্যাস লাইন ফেটে এ আগুনের সূত্রপাত বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। তিতাস কর্তৃপক্ষ গ্যাস লাইন বন্ধ করতে বিলম্ব করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।  

শুক্রবার (২৬ জুন) ভোররাত থেকে জ্বলতে শুরু করে এ আগুন। তবে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় আগুন ছড়াতে পারেনি আশপাশের বাসা বাড়িতে। কিন্তু আগুন নিভাতে বিলম্ব হওয়ায় আতঙ্ক আর শঙ্কা ছিলো বাসিন্দাদের মনে।

রাজধানীর পশ্চিম শেওড়াপাড়ার ইকবাল রোডে ওয়াসার সংস্কার কাজ চলছিলো বহুদিন ধরে। আর এ কাজ করতে গিয়েই তিতাসের সংযোগ পাইপ ফেটে আগুন ধরে যায়।

ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস আসলেও আগুন নেভাতে বেগ পোহাতে হয়েছে তাদের। ঘণ্টা দুয়েক পর তিতাস সঞ্চালন বন্ধ করলেও জমে থাকা গ্যাসের কারণে আগুন নেভাতে দেরি হয় বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।

ঢাকা উত্তর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারি পরিচালক আবুল বাশার জানান, চারটা লাইন খুলে আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করি যাতে আগুন না বের হয়। আগুন বন্ধ করেছি কিন্তু গ্যাস লাইন থেকে বুদবুদ আকারে গ্যাস বের হচ্ছে। গ্যাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটা থাকবে। 

ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে অগ্নি নির্বাপনে যুক্ত হওয়া এলাকাবাসী জানান, এর আগে এ লাইনে বেশ কয়েকবার আগুনের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তিতাসকে জানালেও তারা ব্যবস্থা নেননি।

এলাকাবাসী জানায়, আমরা শুরু থেকেই বলছি আপনার গ্যাসের লাইন আগে বন্ধ করেন। এর আগেও বেশ কয়েকবার গ্যাসের লাইন লিক হয়েছিলো, কিন্তু কখনোই কেয়ার নেয়নি।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ