আজকের শিরোনাম :

করোনাভাইরাস : চীন থেকে বাংলাদেশিদের ফেরত আনা যাচ্ছে না যে কারণে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:১৭

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, চীনের উবেই প্রদেশে আটকা পড়া ১৭১ বাংলাদেশিকে বিমানের ব্যবস্থা করতে না পারায় ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এর আগে তিন শতাধিক বাংলাদেশিকে উহান থেকে বিমানে করে নিয়ে আসার পর সেই পাইলট এবং ক্রুদের কেউই এখন কোথাও যেতে পারছে না। তাদেরও কোয়ারিনটিনে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে বিমানটিকে জীবাণুমুক্ত করা সত্ত্বেও সেটিকেও ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রায় পাঁচ থেকে সাড়ে ৫ হাজার বাংলাদেশি পড়াশোনা এবং কাজের সুবাদে চীনে আছেন। এর মধ্যে উহান থেকে ৩১২ জনকে ইতোমধ্যে ফেরত আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘চীন সরকার উহান নগরী পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। তখন উহানের এই বাংলাদেশি ছেলেমেয়েরা আমাদের অনুরোধ করার পর আমরা চীনের সঙ্গে আলাপ করে তাদের ফিরিয়ে আনতে রাজি করাই। চীন রাজি হওয়ার পর আমরা দেশ থেকে একটা বিমান ভাড়া করে ওখানে পাঠাই এবং তাদের নিয়ে আসি। কিন্তু উহান নগরীতে উবেই প্রদেশের আরও বিভিন্ন জায়গায় কিছু বাংলাদেশি ছাত্র রয়ে গিয়েছিল, যারা তখন আসতে চায়নি। তারা মনে করেছিল বাংলাদেশে গেলে বরং তাদের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।’

মন্ত্রী জানান, মোট ১৭১ বাংলাদেশি যারা প্রায় ২৩টি এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, তারা এখন ফিরে আসতে চাইছে। কারণ চীনা কর্তৃপক্ষ তাদের কোথাও বেরুতে দিচ্ছে না। যদিও তাদের খাবার-দাবার চীনা কর্তৃপক্ষ নিয়মিত সরবরাহ করছে।

বিমান পাওয়া যাচ্ছে না
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আটকে পড়াদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হচ্ছে কোনো বিমান পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা যে ফ্লাইটটি উহানে পাঠিয়েছিলাম, সেটির পাইলট এবং ক্রুরাও এখন কোয়ারিনটিনে। তারাও কোথাও আর তাদের পূর্ব নির্ধারিত ফ্লাইটে কাজ করতে পারছেন না। এমনকি বিমানটিকেও কোয়ারানটিনে রাখা হয়েছে। একটা বিমান চার্টার করার চেষ্টা করা হয়েছিল, এ নিয়ে আমরা চীনা বিভিন্ন বিমান সংস্থার সঙ্গে আলাপ করেছি। কিন্তু কেউ তাদের নিয়ে আসতে রাজি না।’

তবে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সঙ্গে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষণিক যোগাযোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দূতাবাস দুটি হটলাইন খুলেছে। ২৪ ঘণ্টা, সপ্তাহে সাত দিন এগুলো খোলা। আমরা দুতিনটি ওয়েব গ্রুপ খুলেছি। তাদের সঙ্গে যেমন আমাদের দূতাবাসের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে, একইভাবে, চীন সরকারেরও দুজন প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।’
খবর বিবিসি

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ