আজকের শিরোনাম :

রোহিঙ্গারা আসার পর যেভাবে বদলে গেল কক্সবাজারের বিস্তীর্ণ এলাকা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০১৯, ১৫:৩৩

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী।

সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২৫ আগস্ট ২০১৭ থেকে ১৮ অfগস্ট ২০১৯ পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৪১  রোহিঙ্গা শরণার্থী।

বিপুলসংখ্যক এই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের রাখার জন্য কক্সবাজারে মোট ৩২টি আবাসিক ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ক্যাম্পটি স্থাপিত হয় কুতুপালং-বালুখালী অঞ্চলে।

প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার সুবিধার জন্য উখিয়ার কুতুপালং-বালুখালী এলাকাকে ২২টি ক্যাম্পে বিভক্ত করা হয়। 

এ ছাড়া প্রাথমিকভাবে ৮৪ হাজার অস্থায়ী শেল্টার নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও পরবর্তী সময় শরণার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় শেল্টারের সংখ্যা বাড়িয়ে প্রায় সোয়া দুই লাখে উন্নীত করা হয়।

এগুলোর মধ্যে অন্তর্র্বতীকালীন শেল্টারের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার এবং মধ্যমেয়াদি শেল্টার রয়েছে প্রায় ৭০০টি।

রোহিঙ্গাদের থাকার জন্য সবকটি ক্যাম্প মিলিয়ে মোট সাড়ে ৬ হাজার একর ভূমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

টেকনাফ-কক্সবাজার অঞ্চলের শরণার্থী শিবিরগুলোতে রোহিঙ্গাদের চাপ কমানোর উদ্দেশ্যে গত সেপ্টেম্বরে প্রায় এক লক্ষ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রস্তুতি নেয় বাংলাদেশ সরকার।

তবে রোহিঙ্গারা ভাসানচরে স্থানান্তরিত হতে না চাওয়ায় সেই প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি।
খবর বিবিসি

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ