বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন
রোজায় গরুর মাংসের দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না কেন?
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ মে ২০১৯, ১৩:৪৩
রোজার মাসের জন্য ঢাকা দক্ষিণের সিটি কর্পোরেশন গরু ও খাসির মাংসের দাম কেজিপ্রতি যথাক্রমে ৫২৫ ও ৭৫০ টাকায় বেঁধে দিয়েছে। কোনো দোকানি এর চেয়ে বেশি দাম রাখলে তার শাস্তি হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাইদ খোকন।
কিন্তু রোজার মাস আসতে না আসতেই মাংসের দাম বাড়ছে কেন?
সীমান্ত থেকে গাবতলী পর্যন্ত আসার পথে সরকারি নির্ধারিত খাজনার চেয়ে বহু গুণ বেশি খাজনা ইজারাদারেরা অবৈধভাবে আদায় করছে বলেই মূলত গরুর মাংসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে বলে জানান মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম।
রবিউল আলম বলেন, ‘গত ৩ বছরে বাংলাদেশে মাংসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। চাঁদাবাজরা যদি পশুর ওপর চাঁদাবাজি বন্ধ করে, তা হলে কেজিপ্রতি ৩০০ টাকায়ও মাংস বিক্রি করা সম্ভব।’
কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না অবৈধ চাঁদাবাজি?
পশুর ওপর সরকার নির্ধারিত খাজনার চেয়ে বেশি চাঁদা আদায় করা গোষ্ঠীকে ঠেকাতে না পারার বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করলেও রবিউল আলম মনে করেন, মূলত ‘সিটি কর্পোরেশনের আন্তরিকতার অভাবেই’ বন্ধ করা যাচ্ছে না চাঁদাবাজি। তিনি বলেন, ‘কর্পোরেশন চাইলে এই চাঁদাবাজি এক মিনিটে বন্ধ করতে পারে। কিন্তু যেহেতু এখানে কোটি কোটি টাকার স্বার্থ জড়িত, তাই আন্তরিকতার অভাব আর কিছু দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারণে চাঁদাবাজি বন্ধ করা যাচ্ছ না।’ রবিউল আলম ধারণা করছেন, চাঁদাবাজির সাথে জড়িত ইজারাদাররা সরাসরি রাজনীতির সাথে যুক্ত না হলেও তাদের সহযোগিতায় রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালীরা থাকতে পারেন। গাবতলী গরুর হাট কর্তৃপক্ষের সরকারি অফিস অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাংসের দাম বাড়ার পেছনে আরেকটি অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেন রবিউল আলম। ‘গাবতলী গরুর হাট ইজারা নেওয়ার শর্ত হলো, প্রতিটি গরুর সরকার নির্ধারিত খাজনা হবে ১০০ টাকা। কিন্তু এই শর্ত না মেনে ইজারাদাররা অবৈধভাবে গরু প্রতি চার বা পাঁচ হাজার টাকাও আদায় করে থাকেন,।’ তিনি বলেন, ‘এভাবে একটি গরু শহরের ভেতরে তিনটি হাটে স্থানান্তরিত হলেই গরুর দাম বেড়ে যায় প্রায় ১৫ হাজার টাকা। যার প্রভাব সরাসরি এসে পড়ে মাংসের দামের ওপর।’ গাবতলী হাটের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত খাজনা আদায় বাস্তবায়িত হলে অতি সত্ত্বর মাংসের দাম কমে আসবে বলে জানান রবিউল আলম। ‘যদি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত খাজনা গ্রহণের বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হয়, তা হলে আগামীকাল থেকেই কেজিপ্রতি মাংসের দাম ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কমে আসবে।’ এবিএন/সাদিক/জসিম
পশুর ওপর সরকার নির্ধারিত খাজনার চেয়ে বেশি চাঁদা আদায় করা গোষ্ঠীকে ঠেকাতে না পারার বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করলেও রবিউল আলম মনে করেন, মূলত ‘সিটি কর্পোরেশনের আন্তরিকতার অভাবেই’ বন্ধ করা যাচ্ছে না চাঁদাবাজি। তিনি বলেন, ‘কর্পোরেশন চাইলে এই চাঁদাবাজি এক মিনিটে বন্ধ করতে পারে। কিন্তু যেহেতু এখানে কোটি কোটি টাকার স্বার্থ জড়িত, তাই আন্তরিকতার অভাব আর কিছু দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারণে চাঁদাবাজি বন্ধ করা যাচ্ছ না।’ রবিউল আলম ধারণা করছেন, চাঁদাবাজির সাথে জড়িত ইজারাদাররা সরাসরি রাজনীতির সাথে যুক্ত না হলেও তাদের সহযোগিতায় রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালীরা থাকতে পারেন। গাবতলী গরুর হাট কর্তৃপক্ষের সরকারি অফিস অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাংসের দাম বাড়ার পেছনে আরেকটি অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেন রবিউল আলম। ‘গাবতলী গরুর হাট ইজারা নেওয়ার শর্ত হলো, প্রতিটি গরুর সরকার নির্ধারিত খাজনা হবে ১০০ টাকা। কিন্তু এই শর্ত না মেনে ইজারাদাররা অবৈধভাবে গরু প্রতি চার বা পাঁচ হাজার টাকাও আদায় করে থাকেন,।’ তিনি বলেন, ‘এভাবে একটি গরু শহরের ভেতরে তিনটি হাটে স্থানান্তরিত হলেই গরুর দাম বেড়ে যায় প্রায় ১৫ হাজার টাকা। যার প্রভাব সরাসরি এসে পড়ে মাংসের দামের ওপর।’ গাবতলী হাটের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত খাজনা আদায় বাস্তবায়িত হলে অতি সত্ত্বর মাংসের দাম কমে আসবে বলে জানান রবিউল আলম। ‘যদি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত খাজনা গ্রহণের বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হয়, তা হলে আগামীকাল থেকেই কেজিপ্রতি মাংসের দাম ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কমে আসবে।’ এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ