ঢাকায় অগ্নিনিরাপত্তা : অবৈধ ভবন শনাক্তে যেভাবে চলবে অভিযান
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০১৯, ১২:৩০
ঢাকার বনানীতে একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ২৬ মারা যাওয়ার পর, অপরিকল্পিত ও অবৈধ ভবন শনাক্তে ১৫ দিনব্যাপী একটি অভিযান আজ (রবিবার) থেকে শুরু হচ্ছে।
বনানীর অগ্নিকাণ্ডের শিকার ভবনটির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, সেটি নকশা বহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে এবং সেখানে অগ্নিনির্বাপণের যথেষ্ট ব্যবস্থা ছিল না।
দমকল বিভাগ বলছে, ঢাকার বেশিরভাগ ভবনে অগ্নিনির্বাপণী ব্যবস্থা নেই।
এসব নিয়ম ভঙ্গকারীরা কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় এ রকম কর্মকাণ্ড চালালেও তাদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেয়ার উদাহরণ বিরল।
বিশেষ করে রাজউক বা সিটি কর্পোরেশন, যাদের এসব ভবন নজরদারি করার দায়িত্ব, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে ভবন মালিকদের কাছ থেকে নানারকম সুবিধা নিয়ে তারাই এসব অনিয়মের প্রশ্রয় দেন।
বাংলাদেশের গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল এ রকম ক্ষেত্রে সেই রাজউক, সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে কতটা কার্যকরভাবে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব?
সে প্রশ্নের উত্তরে রেজাউল জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুর্নীতি-অনিয়মের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। দীর্ঘদিন জমে থাকা জঞ্জাল দূর করতে কিছুটা সময় লাগবে সেটা স্বাভাবিক।
কী পদক্ষেপ নেবে মন্ত্রণালয়?
রেজাউল করিম বলেন, ‘যারা দীর্ঘদিন ধরে বিল্ডিং কোড অনুসরণ করেনি, তাদের সামান্য সুযোগ দিয়ে অ্যাকশনে যেতে চাই। বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন অ্যাক্ট বা বিল্ডিং কোড বা ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত যে সকল শর্তাবলী দেয়া হয়, সেগুলো যারা প্রতিপালন করেনি তাদের সময় দিয়ে বিজ্ঞাপন দেয়া হবে। যারা এর মধ্যেও শর্তাবলী মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে, বলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী। ব্যবস্থা হিসেবে ভবনের অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলা, ভবন বন্ধ করে দেয়া বা দোষীদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে বলে জানান রেজাউল করিম। যদি এ জাতীয় অনিয়মের সাথে ডেভেলপার, মালিক কিংবা রাজউক বা আমার দপ্তরের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকে তাকেও আলাদা কোনো ‘অনুকম্পা (সমবেদনা)’ দেখানো হবে না। অবৈধভাবে নির্মিত ভবনের অনেকগুলোরই মালিক আর্থিক বা রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। এই প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা কতটা সম্ভব হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে রেজাউল করিম বলেন, দূর্নীতি বা অন্যায়ের আশ্রয় নেয়া ব্যক্তি যত প্রভাবশালীই হোক, তাকে ছাড় না দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে।
খবর বিবিসি বাংলা এবিএন/সাদিক/জসিম
রেজাউল করিম বলেন, ‘যারা দীর্ঘদিন ধরে বিল্ডিং কোড অনুসরণ করেনি, তাদের সামান্য সুযোগ দিয়ে অ্যাকশনে যেতে চাই। বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন অ্যাক্ট বা বিল্ডিং কোড বা ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত যে সকল শর্তাবলী দেয়া হয়, সেগুলো যারা প্রতিপালন করেনি তাদের সময় দিয়ে বিজ্ঞাপন দেয়া হবে। যারা এর মধ্যেও শর্তাবলী মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে, বলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী। ব্যবস্থা হিসেবে ভবনের অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলা, ভবন বন্ধ করে দেয়া বা দোষীদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে বলে জানান রেজাউল করিম। যদি এ জাতীয় অনিয়মের সাথে ডেভেলপার, মালিক কিংবা রাজউক বা আমার দপ্তরের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকে তাকেও আলাদা কোনো ‘অনুকম্পা (সমবেদনা)’ দেখানো হবে না। অবৈধভাবে নির্মিত ভবনের অনেকগুলোরই মালিক আর্থিক বা রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। এই প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা কতটা সম্ভব হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে রেজাউল করিম বলেন, দূর্নীতি বা অন্যায়ের আশ্রয় নেয়া ব্যক্তি যত প্রভাবশালীই হোক, তাকে ছাড় না দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে।
খবর বিবিসি বাংলা এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ