আজকের শিরোনাম :

সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি হতে আলোচনায় রয়েছেন যারা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:২৯

নতুন মন্ত্রীসভার শপথের মধ্যদিয়ে টানা তৃতীয় বারের মতো গঠিত হল নতুন সরকার। সংসদের প্রথম অধিবেশনেই সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যদের যোগদান নিশ্চিত করতে চায় দলটি।  ফলে এর মধ্যেই সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে আওয়ামী লীগ।

সুত্রমতে, নারী এমপি পদে আসতে ইচ্ছুকদের মধ্যে অনেকে গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করেছেন।  প্রায় প্রতিদিনই তারা গণভবনে ভিড় জমাচ্ছেন।  প্রধানমন্ত্রী নিজেই সংরক্ষিত নারী এমপি হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার উপযোগীদের নাম চুড়ান্ত করবেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর এবার সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে নারী প্রার্থীরা। যাদের অনেকে আবার একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন ও চেয়েছেন।

জানা যায়, দশম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক ছাত্রনেত্রী, শিক্ষক, উদ্যোক্তা, অভিনেত্রী, শিল্পী, ব্যবসায়ী, দলের জন্য নিবেদিত অন্যান্য কর্মী বিশেষ করে মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ নেত্রীদের মধ্য থেকে ইতিমধ্যেই নাম সংগ্রহ করছে আওয়ামী লীগ।

দলীয় সভাপতির ঘোষণা অনুযায়ী, বিগত সময়ে জেলা ভিত্তিক সংরক্ষিত এমপি বঞ্চিত হয়েছে, সেসব জেলা থেকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্রার্থী চুড়ান্ত করা হবে বলে জানা যায়।

যারা দলের ও সরকারের দুর্দিনে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, বিভিন্ন সামাজিক কাজে অবদান রেখেছেন, দলের ও দলের সহযোগী সংগঠনে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন -এমন জনপ্রিয় নেত্রীরা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন গুণসম্পন্ন কর্মীর তালিকা তৈরি করছেন বলে জানান দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক।

প্রাধান্য পেতে পারেন নতুন মুখ। নতুনদের মধ্যে যারা এগিয়ে আছেন তারা হলেন- আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, স্বাস্থ্য উপ-কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সাঈদা শওকত জেনি, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা ক্রিক, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট নাসরিন সিদ্দিকা লিনা, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ- কমিটির সদস্য কানতারা খাঁন ও কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের নির্বাহী সদস্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি ঢাকা-২ আসনের বিশিষ্ট নারী নেত্রী সুমাইয়া চৌধুরী বন্যা।

ঢাকার বাইরের সম্ভাব্যদের মধ্যে চট্টগ্রামের এডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী,কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের নির্বাহী সদস্য, বিশিষ্ট সমাজসেবিকা কক্সবাজারের লায়ন জয়া জাহান চৌধুরী, চেমন আরা তৈয়ব, বরিশালের জেবুন্নেছা আফরোজ, ময়মনসিংহের মনিরা সুলতানা, গোপালগঞ্জের আরিফা আকতার রুমা ও শেখ মিলি, নীলফামারীর অ্যাডভোকেট তুরিন আফরোজ, মৌলভীবাজারের সায়রা মহসিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট বাসন্তী প্রভা পালিত, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর রেখা আলম চৌধুরী ও রেহেনা কবির রানু, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরোয়ার কাবেরী এবং কক্সবাজার মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, কুষ্টিয়ার সুলতানা তরুণের নাম শোনা যাচ্ছে।

এছাড়া শিল্পীদের মধ্যে রোকেয়া প্রাচী, অরুণা বিশ্বাস, শমী কায়সার চলচিত্র অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী ও শরীয়তপুর জেলা তাঁতী লীগের সহ-সভাপতি,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের প্রচার সম্পাদক চলচিত্র অভিনেত্রী ও কন্ঠশিল্পী রওনক বিশাকা শ্যামলী রয়েছেন আলোচনায়।

এ ব্যাপারে সংরক্ষিত আসনে এমপি হতে যারা দৌঁড়ে রয়েছেন তাদের কয়েকজন জানান, ‘দলের জন্য পরীক্ষিত নেত্রীদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই মুল্যায়ন করবেন। এ ব্যাপারে আমরা আশাবাদী মনোনয়নের ক্ষেত্রে।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মোট আসন পেয়েছে ২৫৭টি। প্রতি ৬ আসনে একজন করে সংরক্ষিত মহিলা এমপি নির্বাচিত করার বিধান আছে। সে হিসেবে আওয়ামী লীগ পায় ৪৩টি আসন। জাতীয় পার্টি ২২ এমপির বিপরীতে আসন পায় ৪টি। মহাজোটের অন্যান্য দলের ৬টি বা তার বেশি আসন না পাওয়ায় এককভাবে কেউ সংরক্ষিত আসনে মহিলা এমপির মনোনয়ন দিতে পারবেন না।

দশম জাতীয় সংসদে ৫০টি সংরক্ষিত আসনের ৪২টিই আওয়ামী লীগের। এর বাইরে জাতীয় পার্টির ৬টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির একটি করে সংরক্ষিত আসনের এমপি রয়েছে।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সুত্রে জানা যায়, সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচন নিয়ে কালক্ষেপণ করবে না তাঁরা।  দ্রুতই তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।  ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এবিএন/সালাহউদ্দিন তুহিন/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ