আজকের শিরোনাম :

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন

আ.লীগ ও বিএনপির সিট ভাগাভাগি এখনো কেন চূড়ান্ত হয়নি?

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০১৮, ১১:৪৯

আজ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত দুই প্রধান দল- আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাদের জোট শরিকদের সঙ্গে সিট ভাগাভাগির বিষয়টি ফয়সালা করেনি।

জানা গেছে, এ ব্যাপারে গতকাল মঙ্গলবার ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এক বৈঠকে বিএনপির সঙ্গে সিট ভাগাভাগি নিয়ে ফয়সালা না হওয়ায় জোটের শরিকরা নিজেদের মতো করে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

কিন্তু এতদিনেও কেন বিষয়টি ফয়সালা হচ্ছে না? এ ব্যাপারে সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে জানান, ‘নির্বাচন সামনে রেখে বড় দুটা দল এখন ড্রাইভিং সিটে আছে, তাদের সঙ্গে থাকা ছোট দলগুলোর সাথে এখন তাদের একটা বোঝাপড়া হয়েছে যে তাদের জন্য তারা কিছু সিট ছেড়ে দেবে। এ ক্ষেত্রে ওই দলগুলোর মধ্যে বড় ধরনের দর-কষাকষির কোন প্রয়োজন নেই।’

তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এ জোটে ড. কামাল হোসেনের ইমেজটা খুব প্রয়োজন বলে মনে করছেন রিয়াজউদ্দিন আহমেদ। বলেন, ‘সেই সঙ্গে ভোটের জন্য বিএনপিকে দরকার। এ ক্ষেত্রে দুপক্ষ একটি সমঝোতায় আসতে বাধ্য।’

তিনি বলেন, ‘এখন এ দরকষাকষি সময়ের মধ্যে অর্থাৎ মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগেই শেষ হলে ভালো হতো। এখনো ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় আছে। তারা হয়তো পুরো সময়টা নেবে। কেননা রাজনৈতিক দলগুলো এ ধরনের সিট ভাগাভাগির বিষয়গুলো শেষ পর্যন্ত দর-কষাকষি করে থাকে।’

এ সিট ভাগাভাগির বিষয়টিকে বেশ জটিল প্রক্রিয়া উল্লেখ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বড় দলের অনেক বড় বড় প্রার্থী আছেন, ভালো প্রার্থী আছে। এমনও হয়েছে যে বড় দলের একজন এমপি তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। অথচ জোটের আরেক বড় নেতার কথা ভেবে তাকেও নিজের সিটটা ছেড়ে দিতে হয়েছিল।’

তবে বড় জোটের মধ্যে এ ধরনের জটিলতাকে তিনি স্বাভাবিক বলেই উল্লেখ করেন। যেই জটিলতা একপর্যায়ে সমাধানও হয়ে যায়। কারণ প্রতিটা জোট দেয়া-নেয়া এবং ছাড় দেয়ার মানসিকতার ভিত্তিতেই গঠিত হয়।

তাই সিট ভাগাভাগির জেরে কোনো জোট ভেঙে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলে মনে করেন রিয়াজউদ্দিন আহমেদ।

তবে আগেভাগে এ সমস্যার সমাধান না হওয়ার ফলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একটি ছোট শরিক দল যদি তাদের ৪০ বা ৫০ জনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে থাকে, তখন এ জটিলতার সুরাহা হবে কীভাবে- এমন প্রশ্নের জবাবে রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দুটো দল এক্ষেত্রে সবার থেকে প্রত্যাহার পত্র নিয়ে নিয়েছে। প্রত্যাহার পত্র নিয়ে নিয়েছে এ জন্য যে, জোটের মধ্যে সমঝোতা করতে গিয়ে কাউকে প্রত্যাহার করতে বা ছাড় দিতে হতে পারে। তাই যখন প্রয়োজন হবে তখন প্রত্যাহার পত্র দিলেই উনি বাদ হয়ে যাবেন।’

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ