বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন
তরুণরা এবার আওয়ামী লীগকে কতটা সমর্থন দেবে?
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ১২:১১ | আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:৪৮
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার সারা দেশ থেকে নির্বাচিত কিছু তরুণদের সঙ্গে বিশেষ এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বসেছিলেন।
বলা হচ্ছে, তাদের পরামর্শ ও পরিকল্পনার কথা শুনেছেন তিনি। বাংলাদেশে কাছাকাছি সময়ে বড় যে আন্দোলনগুলো হয়েছে সেগুলো প্রায় সবই তরুণদের আন্দোলন।
সবচাইতে আলোচিত কোটা আন্দোলন বা নিরাপদ সড়ক আন্দোলন যেভাবে সামাল দেয়া হয়েছে তাতে আওয়ামী লীগের সাথে তরুণ প্রজন্মের দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে এবারের নির্বাচনে প্রথমবার ভোটারের সংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি।
পাঁচই জানুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে যে পাঁচটি বিষয় সবচাইতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছিলো তার অন্যতম হল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ইস্যু। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ইস্যুও তরুণদের আকর্ষণ করতে প্রচারণায় ব্যবহার করা হয়েছে।
বলা হয় সেবার তরুণ প্রজন্ম আওয়ামী লীগের জয়ে ভূমিকা রেখেছিল।
তরুণদের এবার কীভাবে আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন- এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চেীধুরী বলেছেন, ‘ধামরা তো পৃথিবীটা তাদের হাতের মুঠোর ভেতরে এনে দিয়েছি, দিন বদলের সনদ ডিজিটাল বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে। তারা পৃথিবীর যে প্রান্তে বিচরণ করতে চায় সেখানেই তারা যেতে পারে। এ যে সুবিধাগুলো তাদেও দিয়েছে বর্তমান সরকার। তথ্যপ্রযুক্তিতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছি। এগুলো সবকিছু হচ্ছে তরুণদের জন্য।’
কিন্তু বাংলাদেশের তরুণ ভোটাররা বুঝতে শেখার পর গত ১০ বছর আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোন দলকে ক্ষমতায় দেখেনি।
অন্য কোন দলকে যাচাই করার কোনো সুযোগ তারা পায়নি। কাছাকাছি সময়ে তাদের জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল কোটা সংস্কার ও সড়ক নিরাপত্তা আন্দোলন।
এ দুটি আন্দোলনই একটি পর্যায়ে ক্ষমতাসীনদের জন্য বিব্রতকর হয়ে উঠেছিলো।
দুটি আন্দোলনের ক্ষেত্রেই সরকারের ভূমিকা সেসময় প্রশ্নের মুখে পড়েছিলো। কোটা সংস্কারের আন্দোলনের ক্ষেত্রে সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রাখছে না বলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিলো।
শেষমেশ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলেও অনেক নাটক ও বিলম্বের পর।
এই আন্দোলন দুটি তারা সঠিকভাবে সামাল দেননি বলে মনে করেন নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ।
তিনি বলছেন, এর প্রভাব ভোটে হয়ত পড়তে পারে। দুটো আন্দোলনই নির্বাচনের খুব কাছাকাছি সময়ের মধ্যেই হয়েছে। আরও সেনসিটিভভাবে এটা সামাল দেয়া যেতো। তা করা হয়নি বা করতে পারেনি সরকার। তরুণদের কিছু ইনসেনসিটিভ কিছু ঘটনার অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেটার কিছু প্রভাবতো পড়বে।
তবে তিনি মনে করছেন, ‘বর্তমান সরকার একটা যায়গায় তরুণদের ওপর অনেক নজর দিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তারা করার চেষ্টা করেছে সেখানে তরুণদের মাথায় রেখে অনেক কাজ হয়েছে। সেটিও নিশ্চয়ই কোন প্রভাব ফেলবে।’ তবে এ মুহূর্তে তরুণদের জন্য কোন ইস্যুটা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ, তারা কি চায়, তাদের কোনো বিষয়টি সবচাইতে দরকার, তাদের উদ্দেশ্য করে ইশতেহারে এমন কিছু থাকে না যা তাদের আকর্ষণ করতে পারে, বলছিলেন তিনি। তরুণরা আসলে কি চায়? সেটি বোঝার জন্য অনেকের সংগে কথা বলে মনে হল চাকরী বিষয়টা এই বেশিরভাগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কথা হচ্ছিলো নিশিতা মিতুর সাথে। তিনি এ বছর ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বের হয়েছেন। বাংলাদেশে এ বয়সী আরও অনেকের মতোই সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিতে নিজেকে প্রস্তুত করছেন। তিনি বলছিলেন তার কাছে এখন সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল একটা ভালো চাকরি। তিনি বলছেন, ‘কোটা আন্দোলন নিয়ে একটা সেইযে ঘোলাটে পরিবেশ, তার একটা স্বচ্ছ অবস্থান এটাই বোধহয় তরুণরা এখন সবচেয়ে বেশি ভাবছে।’ কিন্তু ভোটে সেটা কতটা প্রভাব শেষমেশ ফেলবে? এ বিষয়টি আওয়ামী লীগ এবারের ভোটে কতটা আমলে নিচ্ছে? খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলছেন, ‘চাকরি বলেন, নিরাপদ সড়ক বলেন, বা কোটা বলেন, আমরা তো তরুণদের বিরুদ্ধে যাইনি। আমরা তরুণদের সঙ্গেই ছিলাম। আমরা যে তরুণদের চিন্তাগুলোকে আমাদের আমলে নিচ্ছি এটা তাদের উপলব্ধির মধ্যে আছে।’ কিন্তু তরুণ ভোটাররা শেষমেশ কার পক্ষ নেবেন সেটি হয়ত সামনে বোঝা যাবে তবে তাদের উপর একটা বিশাল পরিমাণে ভোট নির্ভর করছে আর সেটি ভোটের ফলাফল বদলে দেয়ারও ক্ষমতা রাখে সেটি বোধহয় বলাই যায়। এবিএন/সাদিক/জসিম
তবে তিনি মনে করছেন, ‘বর্তমান সরকার একটা যায়গায় তরুণদের ওপর অনেক নজর দিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তারা করার চেষ্টা করেছে সেখানে তরুণদের মাথায় রেখে অনেক কাজ হয়েছে। সেটিও নিশ্চয়ই কোন প্রভাব ফেলবে।’ তবে এ মুহূর্তে তরুণদের জন্য কোন ইস্যুটা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ, তারা কি চায়, তাদের কোনো বিষয়টি সবচাইতে দরকার, তাদের উদ্দেশ্য করে ইশতেহারে এমন কিছু থাকে না যা তাদের আকর্ষণ করতে পারে, বলছিলেন তিনি। তরুণরা আসলে কি চায়? সেটি বোঝার জন্য অনেকের সংগে কথা বলে মনে হল চাকরী বিষয়টা এই বেশিরভাগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কথা হচ্ছিলো নিশিতা মিতুর সাথে। তিনি এ বছর ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বের হয়েছেন। বাংলাদেশে এ বয়সী আরও অনেকের মতোই সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিতে নিজেকে প্রস্তুত করছেন। তিনি বলছিলেন তার কাছে এখন সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল একটা ভালো চাকরি। তিনি বলছেন, ‘কোটা আন্দোলন নিয়ে একটা সেইযে ঘোলাটে পরিবেশ, তার একটা স্বচ্ছ অবস্থান এটাই বোধহয় তরুণরা এখন সবচেয়ে বেশি ভাবছে।’ কিন্তু ভোটে সেটা কতটা প্রভাব শেষমেশ ফেলবে? এ বিষয়টি আওয়ামী লীগ এবারের ভোটে কতটা আমলে নিচ্ছে? খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলছেন, ‘চাকরি বলেন, নিরাপদ সড়ক বলেন, বা কোটা বলেন, আমরা তো তরুণদের বিরুদ্ধে যাইনি। আমরা তরুণদের সঙ্গেই ছিলাম। আমরা যে তরুণদের চিন্তাগুলোকে আমাদের আমলে নিচ্ছি এটা তাদের উপলব্ধির মধ্যে আছে।’ কিন্তু তরুণ ভোটাররা শেষমেশ কার পক্ষ নেবেন সেটি হয়ত সামনে বোঝা যাবে তবে তাদের উপর একটা বিশাল পরিমাণে ভোট নির্ভর করছে আর সেটি ভোটের ফলাফল বদলে দেয়ারও ক্ষমতা রাখে সেটি বোধহয় বলাই যায়। এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ