সিনেমার গোয়েন্দা আর বাস্তবের গোয়েন্দার মিল-অমিল
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:৫২
জেমস বন্ডের মতো সিনেমার গোয়েন্দা আর বাস্তবের গোয়েন্দার জীবনধারা কি একই রকম?
বিশ্বখ্যাত স্পোর্টস কার কোম্পানি অ্যাশটন মার্টিনের নিত্য নতুন সব ব্র্যান্ডের গাড়ি চড়ে দুনিয়ার এমাথা থেকে ওমাথায় তাড়া করে শত্রুর বিনাশ- আর পুরো ব্যাপারটাই ঘটবে এক নিপুণ ছদ্মবেশে।
জেমস বন্ড সিনেমার নায়কের এ কাজের ফিরিস্তি বাস্তবের গোয়েন্দার সঙ্গে নাও মিলতে পারে, কিন্তু সাধারণ লোকের ধারণা গোয়েন্দারা বুঝি সবাই এমনি কাজ করে থাকে।
ব্রিটেনের ৬ গোয়েন্দা বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে উন্মোচন করেছেন তাদের আসল জীবন কতটা সিনেম্যাটিক।
এ গোয়েন্দারা এমআই-ফাইভ, এমআই-সিক্স (যেখানে জেমস বন্ড কাজ করেন) এবং জিসিএইচকিউর নিয়মিত গোয়েন্দা দলের সদস্য।
সিনেমার সঙ্গে কতটা মিল?
এমআই-সিক্স, যেখানে জেমস বন্ড কাজ করেন, সেটি মূলত ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা তৎপরতা চালানো প্রতিষ্ঠান। ১০ বছর ধরে সেখানে কাজ করছেন কেট। তিনি বলেন, ‘আমার অভিজ্ঞতা মোটেই জেমস বন্ডের মত নয়, এমনকি তার ধারেকাছেও নয়। নামের মধ্যে একটা গ্ল্যামারাস ব্যপার আছে ঠিকই। কিন্তু অ্যাশটন মার্টিনের গাড়ি চেপে কিংবা স্পিডবোটে করে আমরা শত্রুকে ধাওয়া করি না। বরং আমাদের দেখবেন, বাসে বা টিউবে চড়ে যাচ্ছি এখানে সেখানে।’ ১৫ বছর গোয়েন্দা বাছাই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন জো, তিনি বলছেন, একেবারে নেতিবাচক শর্ত নয় এটা। তবে, ব্রিটেনে গোয়েন্দার চাকরি পাওয়াটা ভীষণ কঠিন। জীবনে কখনো মাদক গ্রহণ করে থাকলে, অর্থাৎ কিশোর বয়সে ফুর্তি করে একটু আধটু নেশা করে থাকলে, আগ্রহী গোয়েন্দারা বাদ পড়বেন না। তবে নিয়োগের সময় ড্রাগ টেস্ট হবে এবং তাতে উত্তীর্ণ হতে হবে। আর এ প্রক্রিয়ায় প্রায়শই একটি চুলের স্যাম্পল নেয়া হয়। পেশা সম্পর্কে কাউকে বলা যায় না
কি করে ভাত-কাপড় রোজগার করেন, তা কাউকে বলা যায় না, গোয়েন্দার চাকরির সবচেয়ে বড় অসুবিধা এটাই। একেবারেই কাউকে বলা যাবে না তা নয়, কিন্তু কাকে বলবেন তা নিয়ে বিস্তর ভাব না চিন্তার ব্যাপার আছে। জো বলছেন, তিনি আগেভাগেই তার বাবা মাকে বলে দিয়েছিলেন যে এমআই-সিক্স এ কাজ করতে যাচ্ছেন। কিন্তু একটা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত নিজের ভাইবোনকে বিষয়টি জানাননি। ‘কারণ আমার মনে হয়েছিল, এর ফলে ওদের ওপর একটা মানসিক চাপ তৈরি হতে পারে।’ আর সম্পর্ক হবার ছয় মাস পর স্বামীকে নিজের পেশার ব্যপারে জানিয়েছিলেন জো। তিনি জানিয়েছেন, গোয়েন্দারা বেশিরভাগ সময় পরিবার ও আশপাশের মানুষকে বলে যে তারা সরকারি চাকরি করে। কোথায়, কোন্ বিভাগ তা বিশদ করেন না অনেকেই। নিজেদের গোয়েন্দা বা স্পাই বলেন না
গোয়েন্দারা নিজেদের সাধারণত গোয়েন্দা বা স্পাই বলে পরিচয় দেন না নিজেদের। এমআই-সিক্সের জন বলছেন, আমরা আমাদের দেশকে নিরাপদ রাখার জন্য কাজ করি, এটা খুবই গর্বের কাজ। কিন্তু কাজের স্বার্থেই সেটা খুব খোলাখুলি বলা যায় না সবার সামনে। কেট বলছেন, আমরা গোপন বিষয় উদঘাটনে কাজ করি, ফলে গোপনীয়তা আমার কাজের অবশ্য অংশ। অফিসের মজা ভুলে যান
সহকর্মীর জন্মদিনে কেক, কিংবা অফিসের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করবেন, সে কথা ভুলে যান। এ ধরনের মজা বা হাসি ঠাট্টার কথা ভুলে যান। তবে, এমআই-ফাইভে বছরে একবার মূকাভিনয়ের আয়োজন করা হয়, যাকে বেশিরভাগ কর্মী হাস্যকর বলে মনে করে। জিসিএইচকিউতে ১০ বছর ধরে কাজ করেন দিয়া, তিনি জানিয়েছেন, বছরে একদিন বেক করে আনা খাবারের উৎসব হয়। নিয়মিত যোগাযোগ রাখা যাবে না
গোয়েন্দাদের বেশির ভাগেরই নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হয় না কারো সঙ্গে, অর্থাৎ সামাজিক জীবন বলতে কিছু থাকে না তাদের প্রায় সময়ই। অবাস্তব গোয়েন্দা কাহিনি না-পছন্দ
নাটক বা সিনেমায় অবাস্তব গোয়েন্দা কাহিনী দেখতে অপছন্দ করেন বেশিরভাগ গোয়েন্দা। তবে, জনপ্রিয়, প্রচলিত কাহিনিগুলো মন দিয়ে দেখেন বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। কিন্তু অবাস্তব বা অসম্ভব ঘটনা দেখলে চিৎকার করে বলে উঠতে ইচ্ছে করে, ‘না...., এটা মোটেও সত্যি না!!’
খবর বিবিসি এবিএন/সাদিক/জসিম
এমআই-সিক্স, যেখানে জেমস বন্ড কাজ করেন, সেটি মূলত ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা তৎপরতা চালানো প্রতিষ্ঠান। ১০ বছর ধরে সেখানে কাজ করছেন কেট। তিনি বলেন, ‘আমার অভিজ্ঞতা মোটেই জেমস বন্ডের মত নয়, এমনকি তার ধারেকাছেও নয়। নামের মধ্যে একটা গ্ল্যামারাস ব্যপার আছে ঠিকই। কিন্তু অ্যাশটন মার্টিনের গাড়ি চেপে কিংবা স্পিডবোটে করে আমরা শত্রুকে ধাওয়া করি না। বরং আমাদের দেখবেন, বাসে বা টিউবে চড়ে যাচ্ছি এখানে সেখানে।’ ১৫ বছর গোয়েন্দা বাছাই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন জো, তিনি বলছেন, একেবারে নেতিবাচক শর্ত নয় এটা। তবে, ব্রিটেনে গোয়েন্দার চাকরি পাওয়াটা ভীষণ কঠিন। জীবনে কখনো মাদক গ্রহণ করে থাকলে, অর্থাৎ কিশোর বয়সে ফুর্তি করে একটু আধটু নেশা করে থাকলে, আগ্রহী গোয়েন্দারা বাদ পড়বেন না। তবে নিয়োগের সময় ড্রাগ টেস্ট হবে এবং তাতে উত্তীর্ণ হতে হবে। আর এ প্রক্রিয়ায় প্রায়শই একটি চুলের স্যাম্পল নেয়া হয়। পেশা সম্পর্কে কাউকে বলা যায় না
কি করে ভাত-কাপড় রোজগার করেন, তা কাউকে বলা যায় না, গোয়েন্দার চাকরির সবচেয়ে বড় অসুবিধা এটাই। একেবারেই কাউকে বলা যাবে না তা নয়, কিন্তু কাকে বলবেন তা নিয়ে বিস্তর ভাব না চিন্তার ব্যাপার আছে। জো বলছেন, তিনি আগেভাগেই তার বাবা মাকে বলে দিয়েছিলেন যে এমআই-সিক্স এ কাজ করতে যাচ্ছেন। কিন্তু একটা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত নিজের ভাইবোনকে বিষয়টি জানাননি। ‘কারণ আমার মনে হয়েছিল, এর ফলে ওদের ওপর একটা মানসিক চাপ তৈরি হতে পারে।’ আর সম্পর্ক হবার ছয় মাস পর স্বামীকে নিজের পেশার ব্যপারে জানিয়েছিলেন জো। তিনি জানিয়েছেন, গোয়েন্দারা বেশিরভাগ সময় পরিবার ও আশপাশের মানুষকে বলে যে তারা সরকারি চাকরি করে। কোথায়, কোন্ বিভাগ তা বিশদ করেন না অনেকেই। নিজেদের গোয়েন্দা বা স্পাই বলেন না
গোয়েন্দারা নিজেদের সাধারণত গোয়েন্দা বা স্পাই বলে পরিচয় দেন না নিজেদের। এমআই-সিক্সের জন বলছেন, আমরা আমাদের দেশকে নিরাপদ রাখার জন্য কাজ করি, এটা খুবই গর্বের কাজ। কিন্তু কাজের স্বার্থেই সেটা খুব খোলাখুলি বলা যায় না সবার সামনে। কেট বলছেন, আমরা গোপন বিষয় উদঘাটনে কাজ করি, ফলে গোপনীয়তা আমার কাজের অবশ্য অংশ। অফিসের মজা ভুলে যান
সহকর্মীর জন্মদিনে কেক, কিংবা অফিসের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করবেন, সে কথা ভুলে যান। এ ধরনের মজা বা হাসি ঠাট্টার কথা ভুলে যান। তবে, এমআই-ফাইভে বছরে একবার মূকাভিনয়ের আয়োজন করা হয়, যাকে বেশিরভাগ কর্মী হাস্যকর বলে মনে করে। জিসিএইচকিউতে ১০ বছর ধরে কাজ করেন দিয়া, তিনি জানিয়েছেন, বছরে একদিন বেক করে আনা খাবারের উৎসব হয়। নিয়মিত যোগাযোগ রাখা যাবে না
গোয়েন্দাদের বেশির ভাগেরই নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হয় না কারো সঙ্গে, অর্থাৎ সামাজিক জীবন বলতে কিছু থাকে না তাদের প্রায় সময়ই। অবাস্তব গোয়েন্দা কাহিনি না-পছন্দ
নাটক বা সিনেমায় অবাস্তব গোয়েন্দা কাহিনী দেখতে অপছন্দ করেন বেশিরভাগ গোয়েন্দা। তবে, জনপ্রিয়, প্রচলিত কাহিনিগুলো মন দিয়ে দেখেন বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। কিন্তু অবাস্তব বা অসম্ভব ঘটনা দেখলে চিৎকার করে বলে উঠতে ইচ্ছে করে, ‘না...., এটা মোটেও সত্যি না!!’
খবর বিবিসি এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ