আজকের শিরোনাম :

কুষ্টিয়ায় বাসের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু কি এড়ানো যেত?

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০১৮, ২০:২২

বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় বাসের ধাক্কায় মায়ের কোলে থাকা একটি শিশু নিহত হওয়ার ঘটনা সারা দেশে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। ঐ অ্যাকসিডেন্টের মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সড়কে নিরাপদে চলাচলের বিষয়টি আবার সামনে চলে আসে।

বাংলাদেশের কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকা। সময় মঙ্গলবার বেলা পৌনে বারোটা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ঐ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন মা তার শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে রাস্তা পার হয়ে অন্য পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটা বাসের সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন।

পর-মুহূর্তেই বাসটি যাত্রা শুরু করলে বাসের ধাক্কায় শিশুটি মায়ের কোল থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যায়। ভয়াবহ সেই দৃশ্য দেখে শিহরিত হয়েছেন অনেকেই। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেকেই নানা ধরণের মন্তব্য করেছেন।

প্রশ্ন উঠেছে এ ধরণের দুর্ঘটনা কিভাবে এড়ানো সম্ভব?

ঝালকাঠির একটি স্কুলের একজন শিক্ষিকা শিরিন শারমিন বলছিলেন, পথচারীরা যদি এক্ষেত্রে একটু সচেতন হন তাহলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।

প্রত্যেকটা রাস্তায় পথচারীরা যাতে নিরাপদে রাস্তা পারাপার করতে পারে সেটা নিশ্চিত করার জন্য জেব্রা ক্রসিং এবং স্পিড ব্রেকার থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা অনেকেই বলেন।

কিন্তু বাস্তবে সেটা কতটা আছে?

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউটের শিক্ষক শাইফুন নেওয়াজ বলছিলেন, অনেক ক্ষেত্রেই পথচারীদের জন্য জেব্রা ক্রসিং বা চালকদের জন্য সাইন মার্কিংগুলো নেই।

বাংলাদেশে বাসের আঘাতে দু'জন শিক্ষার্থীর নিহত হওয়ার ঘটনায় এ মাসের শুরুর দিকে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়।

সেখানে সড়কের নিরাপত্তার জন্য বেশ কিছু দাবী তুলে ধরা হয়। কিন্তু এই আন্দোলন বা আইন কতটা নিরাপত্তা দিতে পারে?

ঢাকার একজন বাসিন্দা আতিয়া মাসুদা বলছিলেন, সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুরো ব্যবস্থাপনার একটা সার্বিক দ্রুত পরিবর্তন দরকার।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) বলছে, সাম্প্রতিক কয়েকটা সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিআরটিএর পরিচালক অপারেশনস শীতাংশু শেখর বিশ্বাস বলছিলেন, এই সব বিষয় নজরে আনা হয়েছে এবং প্রত্যেকটা দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য স্থায়ী কমিটি গঠন করার জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করবে সংস্থাটি।

এদিকে, বাংলাদেশের একটি বেসরকারি সংগঠন যাত্রী কল্যাণ সমিতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এবারে ঈদ যাত্রার শুরুর দিন ১৬ই অগাস্ট থেকে ঈদের পর ২৮শে অগাস্ট পর্যন্ত সারা দেশে ২৩৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫৯ জন নিহত এবং ৯৬০ জন আহত হয়েছে। বিবিসি। 

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ