সেই হোসনা আক্তারকে দেশে ফেরত আনা হচ্ছে
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০১৯, ২১:২৫
নির্যাতনের শিকার হয়ে সৌদি আরব থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে ভিডিও বার্তা পাঠানো গৃহকর্মী হোসনা আক্তারকে দেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের উদ্যোগে গৃহকর্মী হোসনা আক্তারকে উদ্ধারের পর পুলিশের নজরদারিতে এবং সেইফহোমে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তিনি নিরাপদে আছেন। তাকে বাংলাদেশে পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এ বিষয়ে জেদ্দা কনস্যুলেটের ফলোআপ অব্যাহত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জেদ্দা কনস্যুলেট হোসনা আক্তারকে উদ্ধারের জন্য নাজরান পুলিশকে জানায়। হোসনা আক্তার সৌদি রিক্রুটিং অফিস ‘রুয়াদ নাজরানের’ (লাইসেন্স নং- ৩৯১৮৬১৮) মাধ্যমে প্রায় তিন মাস আগে সৌদি আরব যান। তার কর্মস্থল ছিল সৌদি আরবের নাজরান শহরে, যা জেদ্দা থেকে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে।
হোসনা আক্তারের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার আজমিরিগঞ্জ উপজেলায়। তার বাবার নাম মো. মুজিবুর রহমান।
হোসনার পরিবার জানায়, মাত্র ২০ দিন আগে দালাল শাহীন মিয়া ও প্রস্তাবিত রিক্রুটিং এজেন্সি আরব ওয়ার্ল্ড ডিস্ট্রিবিউশনের প্রলোভনে পড়ে এজেন্সি আল-সারা ওভারসিসের (আরএল-৭৫২) মাধ্যমে সৌদি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন হোসনা। তবে গত ৬ নভেম্বর সৌদি যাওয়ার পর থেকে সেখানে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন বলে তার অভিযোগ।
ভিডিও বার্তায় হোসনা তার ওপর চালানো নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে বাঁচার আকুতি জানান স্বামী শফিউল্লাহর কাছে। ভিডিও বার্তায় হোসনা বলেন, দালাল ভালো কাজের কথা বলে আমারে সৌদি পাঠাইছে। আমি এসে দেখি, ওরা আমার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে না। আমার ওপর অত্যাচার করে।
তার স্বামী সেই ভিডিও প্রকাশ করলে পরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম খবর প্রকাশিত হয়।
এর আগে পঞ্চগড়ের সুমি আক্তার সৌদি আরবে গৃহকর্মে গিয়ে নির্যাতিত হওয়ার বার্তা ভিডিওতে দিলে দূতাবাসের উদ্যোগে তাকে দেশে ফেরত আনা হয়।
এবিএন/মমিন/জসিম