আজকের শিরোনাম :

বাংলাদেশে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চেয়ে মার্কিন কংগ্রেসে রেজ্যুলেশন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৮:০৩

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনকে উৎসাহিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে মার্কিন কংগ্রেস।  

গতকাল শুক্রবার উপস্থাপিত এক রেজ্যুলেশনে কংগ্রেসের ছয়জন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট সদস্য এই আহ্বান জানান। ফরেইন অ্যাফেয়ার্স কমিটির এশিয়া অ্যান্ড দ্যা প্যাসিফিকের চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান টেড ইয়োহো, কংগ্রেসম্যান ইলিয়ট এঙ্গেল, কংগ্রেসম্যান ব্র্যাড শেরম্যান, কংগ্রেসম্যান স্টীভ শ্যাবট ও কংগ্রেসম্যান জেরি কনলি ও নিজের পক্ষে রেজ্যুলেশনটি উপস্থাপন করেন কংগ্রেসম্যান বিল কিটিং।

১১৫তম কংগ্রেসের দ্বিতীয় সেশনে উপস্থাপিত রেজ্যুলেশনটি বিবেচনার জন্য দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

এতে ভোটারদের ইচ্ছের প্রতি সম্মান জানাতে এবং সকল বাংলাদেশী যেন মুক্তভাবে আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে ও নির্বাচন যেন নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয় তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিচারিক কর্তৃপক্ষকে তাড়া দেওয়া হয়েছে।

রেজ্যুলেশনে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা রাজনৈতিক সহিংসতা এবং বাক ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি চ্যালেন্জসহ বহু চ্যালেন্জের সম্মুখীন হয়েছে বলে মতামত ব্যক্ত করা হয়।

অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনকে প্রতিটি গণতন্ত্রের ভিত্তি বলে অভিহিত করে কংগ্রেসের রেজ্যলুশনে বলা হয়, মৌলিক স্বাধীনতায় শ্রদ্ধাশীল বৈধ নির্বাচন চিহ্নিত হয় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, নিরাপত্তা ও ভোটারদের জন্য অভিগম্যতা দ্বারা। কিন্তু গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের ওপর আঘাত বাংলাদেশী জনগণের ত্যাগ এবং মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি দেশটির অঙ্গীকারকে খাটো করছে।

বিএনপির ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন বর্জনের কারণ হিসেবে নির্বাচন প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিয়ে তাদের উদ্বেগেকেই দায়ী করেছেন কংগ্রেস সদস্যরা।

রেজ্যুলেশনে বাক ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান জানাতে এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার অনুরোধে সাড়া দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

তবে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিয়ে রেজ্যুলেশনে নানাবিধ উদ্বেগের কথা বলা হলেও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য এতে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের প্রশংসা করা হয়।

 এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর

এই বিভাগের আরো সংবাদ