আজকের শিরোনাম :

ইস্তাম্বুলে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপিত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২১, ২৩:১০

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস’ যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা হয়। দিবসটি উপলক্ষে কনস্যুলেট ইস্তাম্বুলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে ভার্চুয়াল মাধ্যমে দিবসটির ঐতিহাসিক পটভূমি ও তাৎপর্যের ওপর একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।

অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে স্বাধীনতার স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক এ দিনটি আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও জাতির ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। মুজিবনগর সরকার গঠন একদিকে যেমন আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামকে সুসংহত, সংঘবদ্ধ ও বেগবান করেছিল, অন্যদিকে তা বিশ্বদরবারে এ মহান স্বাধীনতার সংগ্রামকে পরিচিত করে তুলতে এবং এর সমর্থনে বিশ্ব জনমত গঠনে অর্থবহ ভূমিকা রেখেছিল।

এ দিবসটি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে প্রবাসীদের অবদানের উপর কনসাল জেনারেল বিশেষ জোর প্রদান করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক অগ্রগতি  তুলে ধরেন এবং বর্তমান সরকারের প্রণীত রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে সকলকে স্ব স্ব জায়গায় থেকে অবদান রাখার অনুরোধ জানান। বাংলাদেশ-তুরস্কের সাম্প্রতিক সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিজেপ তাইয়েপ এরদোগানের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে সকলকে অবহিত করেন, যা দু’দেশের সম্পর্কের মধ্যে নতুন গতি সঞ্চার করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি তুরস্কে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলকরণে এবং দু’দেশের জনগণের মধ্যকার বিরাজমান ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো জোরদারকরণে সকলকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

ড. মনিরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কনস্যুলেট কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ সমূহের বর্ণনা করেন। এর মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর উপর তুর্কি ভাষায় বিভিন্ন প্রকাশনা ও প্রামাণ্য চিত্র প্রকাশ, তুরস্কের একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা শিক্ষা কোর্স চালুকরণ, বাংলাদেশের ইতিহাস ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিয়ে তুরস্কের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের সাথে বাংলাদেশের ইতিহাস-সংস্কৃতি ও অগ্রগতি-সাফল্যের উপর ওয়েবিনার আয়োজন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শান্তি-সমৃদ্ধি ও করোনা মহামারি থেকে মুক্তিলাভ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
 

এবিএন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ