জর্দানে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৯:৪০
জর্দানে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২১ উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী আলোচনা সভা ও ভার্চুয়াল কনসার্টের আয়োজন করা হয়। দিবসের প্রত্যূষে দূতাবাসে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও দূতাবাসে স্থাপিত শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ভাষা শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এসময় দূতাবাস নির্মিত একটি ছোট ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত সহ কূটনীতিকবৃন্দ, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, জর্ডানের স্থানীয় নাগরিক এবং জর্ডানে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রতিনিধিবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভার শুরুতেই অনুষ্ঠানের সঞ্চালক, জর্দানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে কোভিড মহামারির কারনে বৈশ্বিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও জর্ডান, বাংলাদেশ ও পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্ত থেকে যুক্ত হওয়া সকল সন্মানিত অতিথি ও দর্শকবৃন্দকে অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান। তিনি আরো বলেন, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব বাঙালি জাতীয় চেতনাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব একটি স্বাধীন জাতির ভিত রচনা করেছিল যা কয়েক দশকের আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দেয়।
ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জর্ডানের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী ডক্টর বাসেম মোহাম্মদ আল তুয়েসি, বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হন বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বানী পাঠ করা হয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রদত্ত ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জর্ডানের সংস্কৃতি মন্ত্রী ডক্টর বাসেম মোহাম্মদ আল তুয়েসি বলেন, বাঙালির ভাষার জন্য আত্মত্যাগ শুধু মাত্র তাদের নিজেদের ভাষাই নয় বরং সে সাথে বিশ্বের প্রতিটি ক্ষুদ্র ও আঞ্চলিক ভাষার মর্যাদাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। যার ফলে বাংলাদেশের ভাষা শহিদ দিবসটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি লাভ করেছে। তিনি আরো বলেন, ভাষা বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং এটি মানুষের অতীত, ঐতিহ্য এবং ভবিষ্যতের সাথে সেতুবন্ধন ও যোগাযোগের মৌলিক মাধ্যম। ভাষা একটি জাতীর পরিচয় বহন করে। তাই বিশ্ব যত বেশি বহুভাষাভাষী সংখ্যা বজায় রাখতে পারবে ততই আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সমৃদ্ধ হবে। তিনি বাংলাদেশ ও জর্দানের পারস্পরিক সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধির লক্ষ্যে উভয় ভাষার শিল্প ও সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য রচনা সমূহ উভয় ভাষায় অনুবাদ করার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি এ দিবসকে আন্তর্জাতিকীকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে একুশের গান “আমার ভাইয়ের রক্তে বাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি”গানটি বাংলা ও আরবী ভাষায় পরিবেশন করা হয়।
উল্লেখ্য, জর্ডানে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এ ওয়েবিনারটি দূতাবাসের “মুজিব বর্ষ ওয়েবিনার” সিরিজের ৪র্থ ওয়েবিনার। এই ওয়েবিনারের পরে বিকালে জর্ডানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে অপর একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এবিএন/জসিম/তোহা
আলোচনা সভার শুরুতেই অনুষ্ঠানের সঞ্চালক, জর্দানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে কোভিড মহামারির কারনে বৈশ্বিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও জর্ডান, বাংলাদেশ ও পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্ত থেকে যুক্ত হওয়া সকল সন্মানিত অতিথি ও দর্শকবৃন্দকে অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান। তিনি আরো বলেন, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব বাঙালি জাতীয় চেতনাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব একটি স্বাধীন জাতির ভিত রচনা করেছিল যা কয়েক দশকের আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দেয়।
ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জর্ডানের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী ডক্টর বাসেম মোহাম্মদ আল তুয়েসি, বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হন বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বানী পাঠ করা হয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রদত্ত ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জর্ডানের সংস্কৃতি মন্ত্রী ডক্টর বাসেম মোহাম্মদ আল তুয়েসি বলেন, বাঙালির ভাষার জন্য আত্মত্যাগ শুধু মাত্র তাদের নিজেদের ভাষাই নয় বরং সে সাথে বিশ্বের প্রতিটি ক্ষুদ্র ও আঞ্চলিক ভাষার মর্যাদাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। যার ফলে বাংলাদেশের ভাষা শহিদ দিবসটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি লাভ করেছে। তিনি আরো বলেন, ভাষা বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং এটি মানুষের অতীত, ঐতিহ্য এবং ভবিষ্যতের সাথে সেতুবন্ধন ও যোগাযোগের মৌলিক মাধ্যম। ভাষা একটি জাতীর পরিচয় বহন করে। তাই বিশ্ব যত বেশি বহুভাষাভাষী সংখ্যা বজায় রাখতে পারবে ততই আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সমৃদ্ধ হবে। তিনি বাংলাদেশ ও জর্দানের পারস্পরিক সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধির লক্ষ্যে উভয় ভাষার শিল্প ও সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য রচনা সমূহ উভয় ভাষায় অনুবাদ করার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি এ দিবসকে আন্তর্জাতিকীকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে একুশের গান “আমার ভাইয়ের রক্তে বাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি”গানটি বাংলা ও আরবী ভাষায় পরিবেশন করা হয়।
উল্লেখ্য, জর্ডানে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এ ওয়েবিনারটি দূতাবাসের “মুজিব বর্ষ ওয়েবিনার” সিরিজের ৪র্থ ওয়েবিনার। এই ওয়েবিনারের পরে বিকালে জর্ডানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে অপর একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এবিএন/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ