আজকের শিরোনাম :

তুরস্কে শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর শাহাদৎ বার্ষিকী উদযাপন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০১৮, ১৬:২৮

ঢাকা, ১৬ আগস্ট, এবিনিউজ : যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে তুরস্কে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৩তম শাহাদৎ বার্ষিকী উদযাপন করা হয়। গতকাল বুধবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী আঙ্কারায় বাংলাদেশের নির্মাণাধীন দূতাবাস প্রাঙ্গণে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করলে এর আনুষ্ঠানিকত শরু হয়।

সকালে বাংলাদেশ দূতাবাস তুর্কী রেড ক্রিসেন্ট (তুর্ক কিজলেই) এর সহযোগিতায় তুরস্কের আঙ্কারায় বসবাসরত ১০০টি দুস্থ সিরিয়ান শরণার্থী পরিবারের মধ্যে খাদ্য-সামগ্রী বিতরণ করে। এসময় তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব এম. আল্লামা সিদ্দীকী এবং তুর্কী রেড ক্রিসেন্ট, আঙ্কারা শাখার প্রেসিডেন্ট আহমেদ হিজানলিওলুসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে দূতাবাসে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা পর্বের শুরুতেই ১৫ আগস্ট কাল রাত্রে সংঘটিত বিয়োগান্তুক ঘটনার শিকার সকল শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সেখানে উপস্হিত সকলকে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী’র বাণী পাঠ করা শোনান। এসময় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও অর্জনের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

 ১৫ আগস্টের বিয়োগান্তুক ঘটনার প্রতি আলোকপাত করতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাঙালি জাতির কল্যাণে ও তাদের অধিকার নিশ্চিতকল্পে বঙ্গবন্ধু আমৃত্যু নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এছাড়া, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক বিশ্বাস এবং দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে তিনি উল্লেখ করেন যে, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত করে শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতাই এনে দেননি বরং স্বপ্নের ‌‌“সোনার বাংলা” বিনির্মাণে এবং বাঙালি জাতির মূল্যবোধ, আদর্শ ও লক্ষ্য প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।

তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‍“সোনার বাংলা” গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন যে, বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকারীরা বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনাকে বাংলাদেশের আপামর জনতার মন থেকে যেমন মুছে ফেলতে পারেনিতেমনিভাবে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতিকে বাধাগ্রস্থ করতে পারেনি। ফলশ্রুতিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ একটি সম্মানজনক অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এখন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা নেতৃত্বের কারনে বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর রোল মডেলে পরিনত হয়েছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দশটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি।

উক্ত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মেরহান ডুনডার এবং সেন্টার ফর ইউরোসিয়ান স্টাডিস এর প্রেসিডেন্ট আলেভ কিলিচ। তারা ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এ সংঘটিত জঘন্য হত্যাকান্ডকে পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম লজ্জাজনক ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বঙ্গবন্ধুকে একজন মহান ব্যক্তিত্ব হিসেবে অভিহিত করেন।

তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন পূরণের জন্য আজীবন কাজ করে গেছেন এবং দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। একটি জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধুর যে গৌরোবজ্জল অর্জন এবং আত্মনিবেদন তা বৈশ্বিক রাজনীতিতে মাইলফলক হয়ে থাকবে মর্মে তারা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন।পরে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত এর মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি  হয়।

এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর

এই বিভাগের আরো সংবাদ