আজকের শিরোনাম :

আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে: প্রধানমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০১৮, ১৮:৩৯ | আপডেট : ১৪ জুলাই ২০১৮, ২০:১০

পাবনা, ১৪ জুলাই, এবিনিউজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলেই হত্যা-লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করে। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে জেল খাটছে। আর আওয়ামী লীগ লুটপাট করতে আসে না, মানুষের কল্যাণ করে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে দেশের জনগণ তখনই কিছু না কিছু পেয়েছে। আজ শনিবার বিকালে পাবনা পুলিশ লাইন্স মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়া এবং এরশাদের ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়াও দুর্নীতি এবং লুটপাট করেছেন। এতিমের টাকা নিয়েও তিনি দুর্নীতি করেছেন, আত্মসাৎ করেছেন। এ কারণে দুর্নীতির দায়ে খালেদা জিয়া আজ জেল খাটছেন।

বর্তমান সরকারের যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় আনতে জনসভায় পাবনাবাসীর কাছে ভোট চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন, তার দেখানো পথে স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর আমরা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছি। বাংলাদেম আজ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমরা আর কারে কাছে হাত পাতবো না, ভিক্ষা চাইবো না, উন্নত জাতি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করবো।

আওয়ামী লীগ সরকার সেই পথেই কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, আমরা ক্ষমতায় থেকে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি, আর বিএনপি ক্ষমতায় এসে দুর্নীতি, লুট, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, বাস পুড়িয়ে দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে। লাখ লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত লাল সবুজ পতাকা তুলে দিয়েছে স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে। তারা এতিমের টাকা মেরে খেয়েছে, ঘুষের টাকাসহ ধরা পড়েছে খালেদা জিয়ার ছেলে।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে আবারো দেশের উন্নয়নে কাজ করেছে আওয়ামী লীগ, সেই ধারা এখনো অব্যাহত আছে। আমরা দেশের মানুষের কর্মসংস্থান করেছি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই আমাদের লক্ষ্য। কর্মসংস্থান ব্যাংক করে বেকারদের বিনা জামানতে লোনের ব্যবস্থা করেছি, এক বছরে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান করেছি বিদেশে, প্রবাসীদের কল্যাণে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা যা যা অঙ্গীকার করেছিলাম তার সবকিছুই করেছি, একটু বেশিই করেছি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। আমাদের সময় দেশে মোবাইল উন্মুক্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছি, ডিজিটাল মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম করে দিয়েছি। শিক্ষার প্রসারে বৃত্তির ব্যবস্থা করেছি, মোবাইলের মাধ্যমে বৃত্তির টাকা এখন সরাসরি লাখ লাখ শিক্ষার্থীর মায়ের মোবাইলে চলে যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য স্বাধীনতা পেয়েছি তাদের কল্যাণে আমরা কাজ করেছি। দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনসহ মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা, তাদের সন্তান-নাতি-নাতনিদের জন্য চাকরিতে কোটার ব্যবস্থা করেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করা আমাদের কর্তব্য। বয়স্ক, বিধবাদের জন্যও আমরা ভাতার ব্যবস্থা করেছি।

পাবনা সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প রূপপুরে দ্বিতীয় চুল্লির ঢালাই কাজের উদ্বোধনসহ পাবনা জেলায় অর্ধশত উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিস্থাপন করেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের কংক্রিট ঢালাই কাজের উদ্বোধনকালে তার সঙ্গে ছিলেন রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী ইউরি বরিসভ, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পরিচালক দোহি হ্যান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।

এর আগে গত বছরের ৩০ নভেম্বর শেখ হাসিনা রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লির জন্য কংক্রিটের মূল স্থাপনা নির্মাণের উদ্বোধন করেন, যার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল নির্মাণ পর্বের কাজ।

ওই সময় থেকে ৬৮ মাসের মধ্যে মূল স্থাপনা নির্মাণের কথা রয়েছে এ কাজের দায়িত্ব পাওয়া রাশিয়ার কোম্পানি অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী পাবনা মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস; ঈশ্বরদী থানা ভবন ৩১টি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের উদ্বোধন এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সিগন্যালিংসহ রেললাইন নির্মাণ; জেলা সদরে ১০০০ আসনবিশিষ্ট অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হলসহ ১৮ উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ