আজকের শিরোনাম :

বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষাকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে গেছেন: প্রধানমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:২৮ | আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:৩৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা বাঙালি, বাংলা আমার ভাষা ও বাংলা আমাদের দেশ। আমরা এই পরিচয় পেয়েছি বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে। আজ রবিবার বাংলা একাডেমীতে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলা ভাষা আজ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে মানুষের প্রাণে অনুরণিত হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এ স্বীকৃতি আদায়ের জন্য কানাডা প্রবাসী সালাম ও রফিকসহ কয়েকজন বাঙালি উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ সরকার এ বিষয়ে জাতিসংঘে প্রস্তাব উত্থাপন করে। যার ফলে ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে ছিলেন আমার মা সব সময় লেখার খাতা কিনে দিয়ে কিছু লেখার জন্য অনুরোধ করতেন। সেই থেকে তার লেখা শুরু। যেহুতু কারাগারে খাতা দেয়া হতো , সেই খাতাগুলো সেন্সর করে দেয়া হতো । ঐ সেন্সরের যে সিল দেয়া আছে, সে সিল থেকে জানা যায় এই বইটি ১৯৫৪ সালের লেখা । 

বঙ্গবন্ধু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজন রাজনৈতিক নেতা যিনি এত অত্যাচারিত হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন পাকিস্তানি শাসক দ্বারা। কেবল তিনি এই নির্যাতন ভোগ করেই তিনি বিদেশে গেলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি পাকিস্তানি শাসকরা যে তাকে এত অত্যাচার করেছে বা এখানে এত কিছু করেছে সে বিষয়ে কিন্তু কোনো কথা কারও কাছে বলেন নাই। বরং তিনি বলছেন আমাদের দেশের ভেতরে যা হচ্ছে সেটা- আমরা তো বিদেশে এসে দেশের বদনাম করতে পারি না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫২ সালে চীনে যে শান্তি সম্মেলন হচ্ছিলো পাকিস্তান থেকে একটি প্রতিনিধি দল সেখানে যান, সেই প্রতিনিধি দলে পূর্ববঙ্গ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, আতাউর রহমান সাহেব ও খন্দকার ইলিয়াসুর রহমানসহ কয়েকজন আমন্ত্রীত ছিলেন। ঐ শান্তি সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষায় বক্তিতা দিয়েছেন। ১৯৫২ বাংলা ভাষাকে বিশ্বদরবারে নিয়ে গিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। 

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এখানে দেখি আমাদের দেশে অনেকেই বিদেশিদের কাছে আমাদের দেশের বদনাম করতে গেলেই যেন আরো বেশি উৎসাহিত হয়ে যা না ঘটে তা আরেকটু বেশি করে বলে। এই প্রবণতাটা আমরা দেখি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ প্রকাশিত হলেও চীন সফরের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখাটি সব থেকে পুরনো বলেও উল্লেখ করেন তার শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রী মেলা ঘুরে দেখেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু হেনা মোস্তফা কামাল, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ