আজকের শিরোনাম :

চাকরি না করে চাকরি দেব, এই চিন্তা করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:০৫ | আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:৩৫

যুবসমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চাকরি না করে চাকরি দেব, যুবসমাজের এ চিন্তা থাকতে হবে। আজ যে ২৭ জন যুবককে পুরস্কার দিলাম, তারা সবাই অনেকের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। এভাবে যুবকরা আত্মকর্মী হলে আগামীতে বাংলাদেশে কেউ বেকার থাকবে না। যুবকরাই হবে বাংলাদেশের কর্ণধার।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে সফল আত্মকর্মী ও যুব সংগঠনের মাঝে ‘জাতীয় যুব পুরস্কার ২০১৯’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, মুজিববর্ষে কেউ বেকার থাকবে না। সবার কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রেখেই সরকার কাজ করছে। সরকার তরুণদের জন্য প্রশিক্ষণ ও ঋণদানসহ বিভিন্ন সহায়তার ব্যবস্থা করেছে। তাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজার সৃষ্টি ও বিভিন্ন শিল্প স্থাপনেও কাজ চলছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চাকরি না করলেই বেকার, বিষয়টি তা নয়। ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে অনেক ফ্রিল্যান্সারসহ বিভিন্ন পেশাজীবী গড়ে উঠেছেন। তবে সামাজিকভাবে এসব পেশাজীবীকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। এ মানসিকতা বদলাতে হবে। অথচ সরকার অনলাইনে আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। নিজেদের স্বাবলম্বী করতে যুব উন্নয়নসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বিনা জামানতে ঋণের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।

স্টার্টআপ প্রোগ্রামের জন্য সরকার ঋণের ব্যবস্থা রেখেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যুবকদের স্টার্টআপ প্রোগ্রামকে উৎসাহ দিতে ব্যাংকে টাকা আছে। আমরা ফান্ড গঠন করে দিয়েছি। যুবকরা সেখান থেকে সহজ শর্তে ঋণ পাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা স্কুল থেকেই ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে চাই। শিশু ও তরুণদের সৃষ্টির একটা ক্ষমতা আছে। তা বিকশিত করার জন্য আমরা এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এ ছাড়া তাদের আলাদা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করছি। এর মাধ্যমে স্কুল জীবন শেষ করে যারা কলেজ বা উচ্চশিক্ষা নিতে পারে না তারা বিভিন্ন কর্ম করে খাচ্ছে।

সরকার বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠাতে কাজ করছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, বিদেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি। কারণ দক্ষ কর্মী পাঠালে মূল্যায়ন ভালো হয়, আয় বাড়ে। এ জন্য যুব উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ ও ঋণদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে দেশের জন্য লাখো মানুষ রক্ত দিয়েছে, সে দেশ ব্যর্থ হতে পারে না। দেশের সবার জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করছি। স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি ধরে রেখে দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এ সময় বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যুবসমাজকে দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞা নিতে ও তা বাস্তবায়নের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আখতার হোসেন। এ ছাড়া সারাদেশে প্রথম স্থান অধিকারী আত্মকর্মী মো. প্রকৌশলী আতিকুর রহমান এবং নারীদের মধ্যে প্রথম হওয়া পারভিন আক্তার বক্তব্য দেন। যুব উন্নয়ন অধিদফতর থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া ২৭ জন সফল আত্মকর্মীকে অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ